মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৫- নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ৮০৪
- নামাযের অধ্যায়
১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের নিয়ম-কানুন
৮০৪। হযরত রিফাআহ ইবনে রাফে' (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, (একদা) এক ব্যক্তি মসজিদে এসে নামায পড়ল, তারপর সামনে গিয়ে নবী পাক (ﷺ)-কে সালাম করল। তিনি বললেন, তোমার নামায় আবার পড়। তুমি নামায পড় নি। তখন লোকটি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)। (তবে) আমি কিরূপে নামায পড়ব আমাকে শিখিয়ে দিন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি কেবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে) প্রথমে তাকবীর (তাহরীমা) বলবে, তারপর সূরা ফাতেহা পড়ে তুমি আল্লাহ্ প্রদত্ত তাওফীক অনুযায়ী (কুরআনে পাকের) আর যা পার পাঠ করবে। তারপর যখন রুকূ করবে, দু' হাতের করতল দু' হাঁটুর উপর রাখবে এবং সুস্থির থাকবে এবং পিঠ সমান রাখবে। এরপর উঠার সময় পিঠ সোজা করবে এবং মাথা এভাবে উঠাবে যেন হাড়সমূহ নিজ নিজ স্থানে পৌঁছে যায়। তারপর সিজদায় গিয়ে তাতে সুস্থির থাকবে। আবার যখন (সিজদাহ হতে) উঠবে, তখন বাম উরুর উপর বসবে। অতঃপর প্রত্যেক রুকূ ও সিজদায় এরূপ করতে থাকবে (খুব) ধীরস্থিরভাবে। এটা মাছাবীহের ভাষ্য।
এই হাদীস সামান্য পরিবর্তন সহকারে আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী এবং নাসায়ী এর অর্থের অনুরূপ (বর্ণনা করেছেন)।
তিরমিযীর বর্ণনান্তরে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যখন তুমি নামাযের জন্য দাঁড়াতে মনস্থ করবে, তুমি আল্লাহর নির্দেশানুরূপ অজু করবে। তারপর কালেমায় শাহাদাত পাঠ করবে। তারপর একামত বলে নামায আরম্ভ করবে। এই সময় তোমার কুরআন (কিরাত) জানা থাকলে তা পড়বে, জানা না থাকলে আল্লাহ্ পাকের কিছু হাম্দ এবং তাকবীর তাহলীল পাঠ করবে। তারপর রুকূ করবে।
كتاب الصلاة
وَعَن رِفَاعَة بن رَافع قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ فَصَلَّى فِي الْمَسْجِدِ ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَعِدْ صَلَاتَكَ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ» . فَقَالَ: عَلِّمْنِي يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ أُصَلِّي؟ قَالَ: «إِذَا تَوَجَّهَتْ إِلَى الْقِبْلَةِ فَكَبِّرْ ثُمَّ اقْرَأْ بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَمَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ تَقْرَأَ فَإِذَا رَكَعَتْ فَاجْعَلْ رَاحَتَيْكَ عَلَى رُكْبَتَيْكَ وَمَكِّنْ رُكُوعَكَ وَامْدُدْ ظَهْرَكَ فَإِذَا رَفَعْتَ فَأَقِمْ صُلْبَكَ وَارْفَعْ رَأْسَكَ حَتَّى تَرْجِعَ الْعِظَامُ إِلَى مَفَاصِلِهَا فَإِذَا سَجَدْتَ فَمَكِّنِ السُّجُودَ فَإِذَا رَفَعْتَ فَاجْلِسْ عَلَى فَخِذِكَ الْيُسْرَى ثُمَّ اصْنَعْ ذَلِكَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ وَسَجْدَةٍ حَتَّى تَطْمَئِنَّ. هَذَا لَفَظُ» الْمَصَابِيحِ . وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدُ مَعَ تَغْيِيرٍ يَسِيرٍ وَرَوَى التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ مَعْنَاهُ. وَفِي رِوَايَةٍ لِلتِّرْمِذِيِّ قَالَ: «إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلَاةِ فَتَوَضَّأْ كَمَا أَمَرَكَ اللَّهُ بِهِ ثُمَّ تَشَهَّدْ فَأَقِمْ فَإِنْ كَانَ مَعَكَ قُرْآنٌ فَاقْرَأْ وَإِلَّا فَاحْمَدِ اللَّهَ وَكَبِّرْهُ وَهَلله ثمَّ اركع»
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান