মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৫- নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৮০৮
- নামাযের অধ্যায়
১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের নিয়ম-কানুন
৮০৮। হযরত আলী ইবনে হোসায়েন মুরসাল সূত্রে বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মাথা নীচু করবার কালে এবং উপরে উঠানোর কালে তাকবীর বলতেন। তিনি ইনতিকাল পর্যন্তই নামায এভাবে পড়েছেন। -মালেক
كتاب الصلاة
وَعَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ مُرْسَلًا قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكَبِّرُ فِي الصَّلَاة كلما خفض وَرفع فَلم تزل صلَاته حَتَّى لَقِي الله تَعَالَى. رَوَاهُ مَالك
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, নামাযে প্রত্যেক উঠা-বসার সময় তাকবীর বলতে হয়। এ ছাড়াও হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, রসূলুল্লাহ স. যখন নামাযে দাঁড়াতেন তখন তাকবীর বলতেন আবার রুকুতে যাওয়ার সময় তাকবীর বলতেন। রুকু থেকে পিঠ সোজা করে উঠার সময় سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَه বলতেন এবং দাঁড়িয়ে رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলতেন। অতঃপর সিজদাতে যাওয়ার সময় এবং সিজদা থেকে উঠার সময়, আবার দ্বিতীয় সিজদাতে যাওয়ার সময় এবং সিজদা থেকে উঠার সময় তাকবীর বলতেন। এভাবেই পুরো নামায শেষ করতেন। আর দ্বিতীয় রাকাতের বৈঠক শেষে যখন উঠতেন তখনও তাকবীর বলতেন। (বুখারী: ৭৫৩) এ হাদীস থেকে আরো স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, নামাযে প্রত্যেক উঠা-বসায় তাকবীর বলতে হয়। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৭৬)