মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৫- নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ৮২২
- নামাযের অধ্যায়
১২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮২২। হযরত উবাদাহ ইবনে ছামেত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে সূরা ফাতিহা* পাঠ করে না, তার নামায হয় না।—বুখারী, মুসলিম
মুসলিমের বর্ণনান্তরে রয়েছে, যে উম্মুল কুরআন এবং তা ছাড়া আরও কিছু বেশী পাঠ করে না তার নামায় হয় না।

* নামাযে সূরা ফাতিহা পড়া ফরজ না ওয়াজিব এ সম্পর্কে ইমামগণের ভিন্ন মতামত রয়েছে- (১) ইমাম আহমদ ও শাফী (রহ) এর প্রসিদ্ধ মতে নামাযে সূরায়ে ফাতিহা পড়া ফরজ। তাঁরা আলোচ্য হাদীসকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করেন। (২) ইমাম আবু হানিফা (রহ)-এর মতে নামাযে সূরা ফাতিহা পড়া ওয়াজিব। তাঁদের দলীল কুরআনের আয়াত فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآَنِ উক্ত আয়াতে কোন সূরাকে নির্দিষ্ট না করে শুধু কুরআন তেলাওয়াতের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া রাসূল (সা.) জনৈক বেদুইনকে শিক্ষা দেয়ার সময় বলেছিলেন, কুরআন শরীফের যেখান থেকেই তুমি পাঠ করা সহজ মনে কর, সেখান থেকেই পাঠ কর। এজন্য হানাফীগণ বিশেষ কোন সূরাকে নির্দিষ্ট না করে “কেরাত" পাঠকে ফরজ বলেছেন এবং সূরা ফাতিহা পাঠকে ওয়াজিব বলেছেন। এতে কুরআন ও হাদীসের মধ্যে কোন বৈপরীত্য থাকে না। (আশি 'আহল লুমআত)
كتاب الصلاة
بَابُ الْقِرَاءَةِ فِى الصَّلَاةِ
عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا صَلَاةَ لمن لم يقْرَأ بِفَاتِحَة الْكتاب»

وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ: «لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِأُمِّ الْقُرْآن فَصَاعِدا»
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)