মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৫- নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ৯০০
- নামাযের অধ্যায়
১৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সিজদা্ ও তার মর্যাদা
৯০০। হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ) দুই সিজদার মধ্যস্থলে বলতেন, “হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে মাফ কর। আমাকে রহম কর। আমাকে হেদায়াত কর। আমাকে শান্তি ও স্বস্তিদান কর এবং আমাকে রিযিক দান কর।” -আবু দাউদ, তিরমিযী
كتاب الصلاة
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ: «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَاهْدِنِي وَعَافِنِي وَارْزُقْنِي» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, দুই সিজদার মাঝে উপরিউক্ত দুআটি পড়তে হয়। হযরত হুজাইফা রা. থেকে বর্ণিত একটি সহীহ হাদীসে আছে যে, রসূল স. দুই সিজদার মাঝে رَبِّ اغْفِرْ لِي দুআটি বারংবার পড়তেন। (ইবনে মাযা-৮৯৭, আবু দাউদ-৮৭৪, নাসাঈ-১০৬৯, মুসনাদে আহমাদ-২৩৩৭৫) মুসনাদে আহমাদের তাহকীকে শায়খ শুআইব আরনাউত রহ. এ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। এ দুটি দুআ ছাড়াও অন্যান্য দুআ হাদীসে বর্ণিত আছে। অতএব, রসূলুল্লাহ স. বা সাহাবায়ে কিরাম যা পড়েছেন অথবা ইমামগণ যেটাকে বৈধ বলেছেন এমন যে কোন দুআই এখানে পড়া যেতে পারে। একা নামাযের ক্ষেত্রে সময়-সুযোগ ও সামর্থ অনুযায়ী বড় ও প্রয়োজনীয় দুআ পড়া ভালো। আর জামাতের নামাযে অসুস্থ ও দূর্বল মুসল্লীদের প্রতি লক্ষ রেখে যথা সম্ভব ছোট দুআ পড়া উত্তম হবে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৫০৫)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ - হাদীস নং ৯০০ | মুসলিম বাংলা