মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৫- নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৯৮২
- নামাযের অধ্যায়
১৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়েয ও যে সব কাজ করা জায়েয
৯৮২। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একবার আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে নামাযের মধ্যে এদিক-সেদিক তাকানো সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, তা হলো শয়তানের ছোঁ মারার ন্যায়। শয়তান ছোঁ মেরে বান্দার নামাযের কিছু অংশ নিয়ে যায়। —বুখারী, মুসলিম
كتاب الصلاة
بَابُ مَا لَا يَجُوْزُ مِنَ الْعَمَلِ فِي الصَّلَاةِ وَمَا يُبَاحُ مِنْهُ
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: سَأَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الِالْتِفَاتِ فِي الصَّلَاةِ فَقَالَ: «هُوَ اختلاس يختلسه الشَّيْطَان من صَلَاة العَبْد»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, নামাযের মধ্যে এদিক-ওদিক তাকানো মাকরূহ। একান্ত যদি দেখতে হয় তো নফল নামাযে দেখতে পারে ফরযে নয়। বরং মুসল্লীর জন্য উচিত হলো তার দৃষ্টি সিজদার স্থানে নিবদ্ধ রাখা।  হযরত ইবরাহীম নাখাঈ রহ. থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি পছন্দ করতেন মুসল্লীর দৃষ্টি সিজদার স্থান অতিক্রম না করুক। (ইবনে আবী শাইবা: ৬৫৬৩) হযরত ইবনে ছীরীন রহ. থেকেও বর্ণিত আছে যে, তিনি পছন্দ করতেন মুসল্লী তার দৃষ্টি সিজদার জায়গা বরাবর রাখবে। যদি সে এটা না করে তাহলে তার দু’চোখ বন্ধ করে রাখবে। (ইবনে আবী শাইবা: ৬৫৬৪)