মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৫- নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১০৯২
- নামাযের অধ্যায়
২৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের কাতার সোজা করা
১০৯২। হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, পুরুষদের কাতারের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট হল প্রথম কাতার এবং সর্বণিকৃষ্ট হচ্ছে শেষ কাতার। আর স্ত্রী লোকদের কাতারের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট হচ্ছে শেষ কাতার (যা পুরুষের কাতার হতে দুরে থাকে), এবং সর্বণিকৃষ্ট হলো প্রথম কাতার (যদি পুরুষদের কাতারের নিকটবর্তী হয়)। (মুসলিম)
كتاب الصلاة
بَابُ تَسْوِيَةِ الصَّفِّ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُ صُفُوفِ الرِّجَالِ أَوَّلُهَا وَشَرُّهَا آخِرُهَا وَخَيْرُ صُفُوفِ النِّسَاءِ آخِرُهَا وشرها أَولهَا» . رَوَاهُ مُسلم
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, পুরুষের জন্য সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে নামায পড়া অতি উত্তম। আর মহিলাদের জন্য জামাতের তুলনায় একা নামায উত্তম এবং ঘরের গভীর প্রকাষ্ঠে আরো বেশী উত্তম। এতদ্সত্ত্বেও যদি কোন মহিলা পুরুষদের সাথে এক জামাতে নামায আদায় করে, তাহলে তার জন্য প্রথমে আবশ্যক হলো পুরুষদের কাতার যেখানে শেষ হবে তার পরের কাতারে দাঁড়ানো। এমন কি মহিলাদের একাধিক কাতার থাকলে তাদের জন্য উত্তম কাতার হবে সর্বশেষ কাতার। পুরুষদের জন্য সামনের কাতার উত্তম হওয়ার ব্যাপারে হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, রসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন: যদি লোকেরা জানতো যে, আযান দেয়া এবং প্রথম কাতারে নামায আদায়ের কি ফযীলত অতঃপর লটারী করা ব্যতীত এ কাজে সুযোগ না পেত তাহলে মানুষ এর জন্য লটারী করতো। (বুখারী: ৫৮৮, পৃষ্ঠা:) হযরত ইরবায বিন সারিয়াহ রা. থেকে অপর একটি সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে যে, রসূলুল্লাহ স. প্রথম কাতারের মুসল্লীদের জন্য তিনবার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন আর দ্বিতীয় কাতারের মুসল্লীদের জন্য একবার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। (ইবনে মাযা-৯৯৬, মুসনাদে আহমাদ-১৭১৪১)