মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৫- নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ১৪২৪
- নামাযের অধ্যায়
৪৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ভয়কালীন সালাত
১৪২৪। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) “বতনে নখল' যুদ্ধে লোকদের লইয়া যোহরের নামায ভয়ের অবস্থায় পড়িতেছিলেন (এবং এইরূপে পড়িলেন) তিনি এক দলকে লইয়া দুই রাকআত পড়িলেন এবং সালাম ফিরাইলেন। অতঃপর দ্বিতীয় দল আসিল এবং তিনি তাহাদের লইয়াও দুই রাকআত পড়িলেন এবং সালাম ফিরাইলেন। —শরহে সুন্নাহ্
كتاب الصلاة
عَنْ جَابِرٌ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي بِالنَّاسِ صَلَاةَ الظُّهْرِ فِي الْخَوْف بِبَطن نخل فَصَلَّى بِطَائِفَةٍ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ جَاءَ طَائِفَةٌ أُخْرَى فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ. رَوَاهُ فِي «شرح السّنة»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

ইহা ‘সালাতুল খওফ'-এর পঞ্চম পদ্ধতি। ইহাতে হুযূর (ﷺ) প্রত্যেক দলের সহিত পৃথক পৃথক সালাম ফিরাইয়াছিলেন বলিয়া পরিষ্কারভাবে উল্লেখ রহিয়াছে। ইমাম শাফেয়ীর মতে হুযূরের শেষ দুই রাকআত ছিল নফল। সুতরাং তাঁহার মতে নফল পড়নেওয়ালার পিছনে ফরয পড়নেওয়ালার একতেদা জায়েয। কাহারও কাহারও মতে হুযূরের শেষ দুই রাকআতও ফরযই ছিল। ফরয পুনঃ পড়া জায়েয আছে বলিয়াই হুযূর (ﷺ) এইরূপ করিয়াছিলেন। কিন্তু ইমাম আবু হানীফার মতে ইহা 'সালাতুল খওফ'-এরই বৈশিষ্ট্য।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান