আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
হাদীস নং: ৩৬৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৭২ - ৩৯৭৩
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭০. আবু জাহলের নিহত হওয়ার ঘটনা
৩৬৮৬। আবদান ইবনে উসমান (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) সূত্রে নবী কারীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি সূরা নাজম তিলাওয়াত করলেন এবং সাথে সাথে সিজদা করলেন। এক বৃদ্ধ ব্যতীত নবীজীর (ﷺ)- এর নিকট যারা উপস্থিত ছিলেন তারা সকলেই সিজদা করলেন। সে বৃদ্ধ এক মুষ্টি মাটি উঠিয়ে কপালে লাগিয়ে বলল, আমার জন্য এতটুকু যথেষ্ট। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, কিছুদিন পর আমি তাকে কাফির অবস্থায় নিহত হতে দেখেছি।
ইবরাহীম ইবনে মুসা .... হিশামের পিতা (উরওয়া) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, (তার পিতা) যুবাইরের শরীরে তিনটি মারাত্নক আঘাতের চিহ্ন বিদ্যমান ছিল। এর একটি ছিল তার কাঁধে। উরওয়া বলেন, আমি আমার আঙ্গুলগুলো ঐ ক্ষতস্থানে ঢুকিয়ে দিতাম, বর্ণনাকারী উরওয়া বলেন, ঐ আঘাত তিনটির দু’টি ছিল বদর যুদ্ধের এবং একটি ছিল ইয়ারমুক যুদ্ধের। উরওয়া বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর শহীদ হলেন তখন আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান আমাকে বললেন, হে উরওয়া, যুবাইরের তরবারিখানা তুমি কি চিন? আমি বললাম হ্যাঁ চিনি। আব্দুল মালিক বললেন, এর কি কোন চিহ্ন (তোমার জানা) আছে?
আমি বললাম, এর ধার পাশে এক জায়গায় ভাঙ্গা আছে যা বদর যুদ্ধের দিন ভেঙ্গে ছিল তখন তিনি বললেন, হ্যাঁ তুমি সত্যি বলেছ, (তারপর তিনি একটি কবিতাংশ আবৃত্তি করলেন) بِهِنَّ فُلُولٌ مِنْ قِرَاعِ الْكَتَائِبِ সে তরবারীর ভাঙ্গণ ছিল শত্রু সেনাদের আঘাত করার কারণে। এরপর আব্দুল মালিক তরবারী খানা উরওয়ার নিকট ফিরিয়ে দিলেন, হিশাম বলেন, আমরা নিজেরা এর মূল্য নির্ধারণ করেছিলাম তিন হাজার দিরহাম। এরপর আমাদের এক ব্যক্তি তা (উত্তরাধিকার সূত্রে) নিয়ে নিল। আমার মনে বাসনা জাগল যে,যদি আমি তরবারীটি নিয়ে নিতাম।
ইবরাহীম ইবনে মুসা .... হিশামের পিতা (উরওয়া) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, (তার পিতা) যুবাইরের শরীরে তিনটি মারাত্নক আঘাতের চিহ্ন বিদ্যমান ছিল। এর একটি ছিল তার কাঁধে। উরওয়া বলেন, আমি আমার আঙ্গুলগুলো ঐ ক্ষতস্থানে ঢুকিয়ে দিতাম, বর্ণনাকারী উরওয়া বলেন, ঐ আঘাত তিনটির দু’টি ছিল বদর যুদ্ধের এবং একটি ছিল ইয়ারমুক যুদ্ধের। উরওয়া বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর শহীদ হলেন তখন আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান আমাকে বললেন, হে উরওয়া, যুবাইরের তরবারিখানা তুমি কি চিন? আমি বললাম হ্যাঁ চিনি। আব্দুল মালিক বললেন, এর কি কোন চিহ্ন (তোমার জানা) আছে?
আমি বললাম, এর ধার পাশে এক জায়গায় ভাঙ্গা আছে যা বদর যুদ্ধের দিন ভেঙ্গে ছিল তখন তিনি বললেন, হ্যাঁ তুমি সত্যি বলেছ, (তারপর তিনি একটি কবিতাংশ আবৃত্তি করলেন) بِهِنَّ فُلُولٌ مِنْ قِرَاعِ الْكَتَائِبِ সে তরবারীর ভাঙ্গণ ছিল শত্রু সেনাদের আঘাত করার কারণে। এরপর আব্দুল মালিক তরবারী খানা উরওয়ার নিকট ফিরিয়ে দিলেন, হিশাম বলেন, আমরা নিজেরা এর মূল্য নির্ধারণ করেছিলাম তিন হাজার দিরহাম। এরপর আমাদের এক ব্যক্তি তা (উত্তরাধিকার সূত্রে) নিয়ে নিল। আমার মনে বাসনা জাগল যে,যদি আমি তরবারীটি নিয়ে নিতাম।
كتاب المغازى
باب قَتْلِ أَبِي جَهْلٍ
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ بْنُ عُثْمَانَ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَرَأَ (وَالنَّجْمِ) فَسَجَدَ بِهَا، وَسَجَدَ مَنْ مَعَهُ، غَيْرَ أَنَّ شَيْخًا أَخَذَ كَفًّا مِنْ تُرَابٍ فَرَفَعَهُ إِلَى جَبْهَتِهِ فَقَالَ يَكْفِينِي هَذَا. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَلَقَدْ رَأَيْتُهُ بَعْدُ قُتِلَ كَافِرًا.
أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ عُرْوَةَ، قَالَ كَانَ فِي الزُّبَيْرِ ثَلاَثُ ضَرَبَاتٍ بِالسَّيْفِ، إِحْدَاهُنَّ فِي عَاتِقِهِ، قَالَ إِنْ كُنْتُ لأُدْخِلُ أَصَابِعِي فِيهَا. قَالَ ضُرِبَ ثِنْتَيْنِ يَوْمَ بَدْرٍ، وَوَاحِدَةً يَوْمَ الْيَرْمُوكِ. قَالَ عُرْوَةُ وَقَالَ لِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ حِينَ قُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ يَا عُرْوَةُ، هَلْ تَعْرِفُ سَيْفَ الزُّبَيْرِ قُلْتُ نَعَمْ. قَالَ فَمَا فِيهِ قُلْتُ فِيهِ فَلَّةٌ فُلَّهَا يَوْمَ بَدْرٍ. قَالَ صَدَقْتَ. بِهِنَّ فُلُولٌ مِنْ قِرَاعِ الْكَتَائِبِ ثُمَّ رَدَّهُ عَلَى عُرْوَةَ. قَالَ هِشَامٌ فَأَقَمْنَاهُ بَيْنَنَا ثَلاَثَةَ آلاَفٍ، وَأَخَذَهُ بَعْضُنَا، وَلَوَدِدْتُ أَنِّي كُنْتُ أَخَذْتُهُ.
أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ عُرْوَةَ، قَالَ كَانَ فِي الزُّبَيْرِ ثَلاَثُ ضَرَبَاتٍ بِالسَّيْفِ، إِحْدَاهُنَّ فِي عَاتِقِهِ، قَالَ إِنْ كُنْتُ لأُدْخِلُ أَصَابِعِي فِيهَا. قَالَ ضُرِبَ ثِنْتَيْنِ يَوْمَ بَدْرٍ، وَوَاحِدَةً يَوْمَ الْيَرْمُوكِ. قَالَ عُرْوَةُ وَقَالَ لِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ حِينَ قُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ يَا عُرْوَةُ، هَلْ تَعْرِفُ سَيْفَ الزُّبَيْرِ قُلْتُ نَعَمْ. قَالَ فَمَا فِيهِ قُلْتُ فِيهِ فَلَّةٌ فُلَّهَا يَوْمَ بَدْرٍ. قَالَ صَدَقْتَ. بِهِنَّ فُلُولٌ مِنْ قِرَاعِ الْكَتَائِبِ ثُمَّ رَدَّهُ عَلَى عُرْوَةَ. قَالَ هِشَامٌ فَأَقَمْنَاهُ بَيْنَنَا ثَلاَثَةَ آلاَفٍ، وَأَخَذَهُ بَعْضُنَا، وَلَوَدِدْتُ أَنِّي كُنْتُ أَخَذْتُهُ.