মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৭- যাকাতের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৯২২
- যাকাতের অধ্যায়
৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সদাক্বার মর্যাদা
১৯২২। হযরত আবু যর গেফারী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তিন ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তা'আলা ভালবাসেন, আর তিন ব্যক্তির উপর আল্লাহ্ তা'আলা ক্রুদ্ধ হন। যাহাদিগকে আল্লাহ্ তা'আলা ভালবাসেন, তাহারা হইলেন – (ক) কোন ব্যক্তি এক দল লোকের নিকট আসিল এবং তাহাদের নিকট আল্লাহর নামে কিছু চাহিল, তাহার ও তাহাদের মধ্যে যে আত্মীয়তা রহিয়াছে, উহার নামে নহে; (বরং আল্লাহর নামে) কিন্তু তাহারা তাহাকে কিছু দিল না। অতঃপর তাহাদের মধ্যকার এক ব্যক্তি তাহাদের পিছনে সরিয়া আসিল এবং চুপেচুপে তাহাকে কিছু দিল যাহা সম্পর্কে আল্লাহ্ তা'আলা এবং যাহাকে সে দিল সে ব্যতীত অপর কেহই কিছু জানে না। (খ) একদল লোক রাতে সফর করিল—এমন কি যখন নিদ্রা উহা অপেক্ষা সমস্ত জিনিসের তুলনায় তাহাদের নিকট প্রিয়তম হইয়া গেল, তাহারা সকলেই (নিদ্রার জন্য) নিজেদের মাথা যমীনে রাখিল; কিন্তু তাহাদের মধ্য হইতে এক ব্যক্তি উঠিয়া দাড়াইল এবং আমার নিকট অনুনয় বিনয় করিতে লাগিল, আর আমার আয়াত পাঠ করিতে লাগিল এবং (গ) যে ব্যক্তি কোন সৈন্য দলে ছিল এবং শত্রুর সম্মুখীন হইল অতঃপর তাহার সঙ্গীগণ পরাজিত হইল ( এবং পিছনে সরিয়া গেল); কিন্তু সে সম্মুখে বুক পাতিয়া রহিল যাবৎ না নিহত হইল অথবা জয়লাভ করিল।
যে তিন ব্যক্তির উপর আল্লাহ ক্রুদ্ধ হন, তাহারা হইল— (ক) বুড়া অথচ যেনাকার, (খ) ফকীর অথচ দাম্ভিক এবং (গ) ধনবান অথচ যালিম। (অর্থাৎ, ধনবান হইয়াও ধনের জন্য মানুষের প্রতি যুলুম করে এবং ধার লইলে ঠিক মত দেয় না। ) – তিরমিযী ও নাসায়ী। (কিন্তু নাসায়ী 'তিন ব্যক্তির উপর আল্লাহ্ ক্রুদ্ধ হন' হইতে বর্ণনা করেন নাই।)
যে তিন ব্যক্তির উপর আল্লাহ ক্রুদ্ধ হন, তাহারা হইল— (ক) বুড়া অথচ যেনাকার, (খ) ফকীর অথচ দাম্ভিক এবং (গ) ধনবান অথচ যালিম। (অর্থাৎ, ধনবান হইয়াও ধনের জন্য মানুষের প্রতি যুলুম করে এবং ধার লইলে ঠিক মত দেয় না। ) – তিরমিযী ও নাসায়ী। (কিন্তু নাসায়ী 'তিন ব্যক্তির উপর আল্লাহ্ ক্রুদ্ধ হন' হইতে বর্ণনা করেন নাই।)
كتاب الزكاة
وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «ثَلَاثَةٌ يُحِبُّهُمُ اللَّهُ وَثَلَاثَةٌ يُبْغِضُهُمُ اللَّهُ فَأَمَّا الَّذِينَ يُحِبُّهُمُ اللَّهُ فَرَجُلٌ أَتَى قَوْمًا فَسَأَلَهُمْ بِاللَّه وَلم يسألهم بِقرَابَة بَيْنَهُ وَبَيْنَهُمْ فَمَنَعُوهُ فَتَخَلَّفَ رَجُلٌ بِأَعْيَانِهِمْ فَأَعْطَاهُ سِرًّا لَا يَعْلَمُ بِعَطِيَّتِهِ إِلَّا اللَّهُ وَالَّذِي أَعْطَاهُ وَقَوْمٌ سَارُوا لَيْلَتَهُمْ حَتَّى إِذَا كَانَ النَّوْمُ أَحَبَّ إِلَيْهِمْ مِمَّا يُعْدَلُ بِهِ فَوَضَعُوا رُءُوسَهُمْ فَقَامَ يَتَمَلَّقُنِي وَيَتْلُو آيَاتِي وَرَجُلٌ كَانَ فِي سَرِيَّة فلقي الْعَدو فهزموا وَأَقْبل بِصَدْرِهِ حَتَّى يُقْتَلَ أَوْ يُفْتَحَ لَهُ وَالثَّلَاثَةُ الَّذِينَ يُبْغِضُهُمُ اللَّهُ الشَّيْخُ الزَّانِي وَالْفَقِيرُ الْمُخْتَالُ والغني الظلوم» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ