মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৮- রোযার অধ্যায়
হাদীস নং: ১৯৭৭
- রোযার অধ্যায়
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নতুন চাঁদ দেখার বর্ণনা
১৯৭৭। হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি সন্দেহের দিনে রোযা রাখিয়াছে সে আবুল কাসেম (ﷺ)-এর নাফরমানী করিয়াছে। —আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী
كتاب الصوم
وَعَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: «مَنْ صَامَ الْيَوْمَ الَّذِي يُشَكُّ فِيهِ فَقَدَ عَصَى أَبَا الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ والدارمي
হাদীসের ব্যাখ্যা:
শা'বানের ঊনত্রিশ তারিখে মেঘ বা ইত্যাকার কারণে চাঁদ দেখা গেল না। পরবর্তী দিনকে সন্দেহের দিন বা 'ইয়াওমুশশক্' বলে। ইহা শা'বানের শেষ তারিখও হইতে পারে এবং রমযানের প্রথম তারিখও হইতে পারে। এই হাদীস অনুসারে ইমাম আবু হানীফা, মালেক ও শাফেয়ী প্রমুখ ইমামগণ বলেন, সাধারণের পক্ষে এই তারিখে রোযা মকরূহ। কিন্তু যে ব্যক্তির অভ্যাস আছে অথবা খাস আলেম লোকেরা, যাহাদের এ ব্যাপারে পূর্ণ জ্ঞান রহিয়াছে, তাহাদের পক্ষে মকরূহ নহে বরং মোস্তাহাব। পরে রমযানের চাঁদ বলিয়া প্রমাণিত হইলে তাহাদের এই রোযা ফরযে গণ্য হইবে। সাধারণ লোকেরা দ্বিপ্রহর পর্যন্ত চাঁদের প্রমাণের অপেক্ষা করিয়া পানাহার করিবে। পরে এই তারিখ রোযার বলিয়া সাব্যস্ত হইলে তাহারা উহার কাযা রাখিবে। ইহাতে তাহাদের গোনাহ্ হইবে না; বরং ঐ তারিখে আন্দাজে রোযা রাখায় গোনাহ্ হইবে।