মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৮- রোযার অধ্যায়
হাদীস নং: ২০৫৪
- রোযার অধ্যায়
৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৫৪। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাঃ) বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলিলেন : আব্দুল্লাহ্, আমাকে কি সংবাদ দেওয়া হয় নাই যে, তুমি সারা দিন রোযা রাখ এবং সারা রাত্রি নামায পড়? আমি বলিলাম, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! হুযূর বলিলেন : এইরূপ করিও না। রোযা রাখ আর বে-রোযাও কাটাইও। নামাযও পড় এবং ঘুম যাও! কেননা, তোমার উপর তোমার শরীরেরও হক রহিয়াছে, তোমার উপর তোমার চোখেরও হক রহিয়াছে, তোমার উপর তোমার স্ত্রীরও হক রহিয়াছে এবং তোমার উপর তোমার সাক্ষাৎকারীদেরও হক রহিয়াছে। সে রোযা রাখে নাই, যে রোযা রাখিয়াছে সারা বৎসর। প্রত্যেক মাসের তিন দিনের রোযাই সারা বছরের রোযা। অতএব, প্রত্যেক মাসে রোযা রাখ তিন দিন এবং প্রত্যেক মাসে কুরআন পড় একবার। আমি বলিলাম, হুযূর ! আমি ইহা অপেক্ষা অধিক পারি। হুযূর বলিলেন, তবে তুমি শ্রেষ্ঠ (নিয়মের) রোযা রাখিবে হযরত দাউদ নবীর রোযা, এক দিন রোযা আর এক দিন বে-রোযা এবং কুরআন খতম করিবে সপ্তাহে একবার, ইহার অধিক করিবে না। — বুখারী, মুসলিম (আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ্)
كتاب الصوم
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو بْنِ الْعَاصِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا عَبْدَ اللَّهِ أَلَمْ أُخْبَرْ أَنَّكَ تَصُومُ النَّهَارَ وَتَقُومُ اللَّيْلَ؟» فَقُلْتُ: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: «فَلَا تَفْعَلْ صُمْ وَأَفْطِرْ وَقُمْ وَنَمْ فَإِنَّ لِجَسَدِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَإِنَّ لِعَيْنِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَإِنَّ لِزَوْجِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَإِنَّ لِزَوْرِكَ عَلَيْكَ حَقًّا. لَا صَامَ مَنْ صَامَ الدَّهْرَ. صَوْمُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ صَوْمُ الدَّهْرِ كُلِّهِ. صُمْ كُلَّ شَهْرٍ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ وَاقْرَأِ الْقُرْآنَ فِي كُلِّ شَهْرٍ» . قُلْتُ: إِنِّي أُطِيقُ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ. قَالَ: صُمْ أَفْضَلَ الصَّوْمِ صَوْمَ دَاوُدَ: صِيَامُ يَوْمٍ وَإِفْطَارُ يَوْمٍ. وَاقْرَأْ فِي كُلِّ سَبْعِ لَيَالٍ مَرَّةً وَلَا تَزِدْ عَلَى ذَلِكَ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
ইহাতে বুঝা গেল যে, সক্ষম ব্যক্তির পক্ষেও ইহার অধিক এবাদত করা ঠিক নহে। হযরত আবদুল্লাহ্ যখন শেষ জীবনে সম্পূর্ণ অকেজো হইয়া গিয়াছিলেন, হুযূরের উপদেশ স্মরণ করিয়া কাঁদিতেন এবং বলিতেন আহা, যদি আমি হুযূরের উপদেশ গ্রহণ করিতাম।
ইসলাম মানুষকে প্রত্যেক কাজেই মধ্য পন্থার উপদেশ দেয় এবং কম ও বেশী হইতে বাঁচিয়া থাকিতে বলে। এ কারণেই ইসলামের অপর নাম মধ্যপন্থা ।
ইসলাম মানুষকে প্রত্যেক কাজেই মধ্য পন্থার উপদেশ দেয় এবং কম ও বেশী হইতে বাঁচিয়া থাকিতে বলে। এ কারণেই ইসলামের অপর নাম মধ্যপন্থা ।