আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
হাদীস নং: ৩৭০৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৯৮
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৭৩. বদর যুদ্ধে ফিরিশতাদের অংশগ্রহণ
৩৭০৮। উবায়দ ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যুবাইর (রাযিঃ) বলেছেন, বদর যুদ্ধের দিন আমি উবাইদা ইবনে সাঈদ ইবনে আস (রাযিঃ)- কে এমন অস্ত্রাবৃত অবস্থায় দেখলাম যে, তার দু’চোখ ব্যতীত আর কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। তাকে আবু যাতুল কারিশ বলে ডাকা হত। সে বলল, আমি আবু যাতুল কারিশ। (একথা শুনে) বর্শা দিয়ে আমি তার উপর হামলা করলাম এবং তার চোখ ফুঁড়ে দিলাম। সে তৎক্ষণাৎ মারা গেল। হিশাম বলেন, আমাকে জানানো হয়েছে যে, যুবাইর (রাযিঃ) বলেছেন, তার (উবাইদা ইবনে সাঈদ ইবনে আসের) লাশের উপর পা রেখে বেশ বল প্রয়োগ করে (তার চোখ থেকে) আমি বর্শাটি টেনে বের করলাম। এতে বর্শার উভয় প্রান্ত বাঁকা হয়ে যায়।
উরওয়া বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যুবাইরের নিকট বর্শাটি চাইলে তিনি তা তাঁকে দিয়ে দেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর ইন্তিকালের পর তিনি তা নিয়ে যান। এবং পরে আবু বকর (রাযিঃ) তা চাইলে তিনি তাঁকে বর্শাখানা দিয়ে দেন। আবু বকরের ইন্তিকালের পর উমর (রাযিঃ) তা চাইলেন। তিনি তাঁকে বর্শাখানা দিয়ে দিলেন। কিন্তু উমরের ইন্তিকালের পর যুবাইর (রাযিঃ) পুনরায় বর্শাটি নিয়ে যান। এরপর উসমান (রাযিঃ) তাঁর নিকট বর্শাখানা চাইলে তিনি উসমানকে তা দিয়ে দেন। তবে উসমানের শাহাদতের পর তা আলীর লোকজনের হস্তগত হওয়ার পর আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) তা চেয়ে নিয়ে যান। এরপর থেকে শহীদ হওয়া পর্যন্ত বর্শাখানা তাঁর নিকটই থাকে।
উরওয়া বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যুবাইরের নিকট বর্শাটি চাইলে তিনি তা তাঁকে দিয়ে দেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর ইন্তিকালের পর তিনি তা নিয়ে যান। এবং পরে আবু বকর (রাযিঃ) তা চাইলে তিনি তাঁকে বর্শাখানা দিয়ে দেন। আবু বকরের ইন্তিকালের পর উমর (রাযিঃ) তা চাইলেন। তিনি তাঁকে বর্শাখানা দিয়ে দিলেন। কিন্তু উমরের ইন্তিকালের পর যুবাইর (রাযিঃ) পুনরায় বর্শাটি নিয়ে যান। এরপর উসমান (রাযিঃ) তাঁর নিকট বর্শাখানা চাইলে তিনি উসমানকে তা দিয়ে দেন। তবে উসমানের শাহাদতের পর তা আলীর লোকজনের হস্তগত হওয়ার পর আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) তা চেয়ে নিয়ে যান। এরপর থেকে শহীদ হওয়া পর্যন্ত বর্শাখানা তাঁর নিকটই থাকে।
كتاب المغازى
باب شُهُودِ الْمَلاَئِكَةِ بَدْرًا
3998 - حَدَّثَنِي عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ الزُّبَيْرُ: لَقِيتُ يَوْمَ بَدْرٍ عُبَيْدَةَ بْنَ سَعِيدِ بْنِ العَاصِ، وَهُوَ مُدَجَّجٌ، لاَ يُرَى مِنْهُ إِلَّا عَيْنَاهُ، وَهُوَ يُكْنَى أَبُو ذَاتِ الكَرِشِ، فَقَالَ: أَنَا أَبُو ذَاتِ الكَرِشِ، فَحَمَلْتُ عَلَيْهِ بِالعَنَزَةِ فَطَعَنْتُهُ فِي عَيْنِهِ فَمَاتَ، قَالَ هِشَامٌ: - فَأُخْبِرْتُ: أَنَّ الزُّبَيْرَ قَالَ: - لَقَدْ وَضَعْتُ رِجْلِي عَلَيْهِ، ثُمَّ تَمَطَّأْتُ، فَكَانَ الجَهْدَ أَنْ نَزَعْتُهَا وَقَدِ انْثَنَى طَرَفَاهَا، قَالَ عُرْوَةُ: «فَسَأَلَهُ إِيَّاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْطَاهُ، فَلَمَّا قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَهَا» ثُمَّ طَلَبَهَا أَبُو بَكْرٍ فَأَعْطَاهُ، فَلَمَّا قُبِضَ أَبُو بَكْرٍ، سَأَلَهَا إِيَّاهُ عُمَرُ فَأَعْطَاهُ إِيَّاهَا، فَلَمَّا قُبِضَ عُمَرُ أَخَذَهَا، ثُمَّ طَلَبَهَا عُثْمَانُ مِنْهُ فَأَعْطَاهُ إِيَّاهَا، فَلَمَّا قُتِلَ عُثْمَانُ وَقَعَتْ عِنْدَ آلِ عَلِيٍّ، فَطَلَبَهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، فَكَانَتْ عِنْدَهُ حَتَّى قُتِلَ "
বর্ণনাকারী: