মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

১২- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায়

হাদীস নং: ২৮৯৯
- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায়
৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - দেউলিয়া (দারিদ্র্য) হওয়া এবং ঋণীকে অবকাশ দান
২৮৯৯। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন যে কোন ব্যক্তি দেউলিয়া সাব্যস্ত হইলে তাহার নিকট যে নিজের মাল হুবহু পাইবে, অন্য পাওনাদার অপেক্ষা একমাত্র সে-ই ঐ মালের অধিকারী হইবে। — মোত্তাঃ
كتاب البيوع
بَابُ الْإفْلَاسِ وَالْاِنْظَارِ: الْفَصْل الأول
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيُّمَا رَجُلٍ أَفْلَسَ فَأَدْرَكَ رَجُلٌ مَالَهُ بِعَيْنِهِ فَهُوَ أَحَق بِهِ من غَيره»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

দেউলিয়া হওয়া এবং ঋণীকে অবকাশ দান

কোন ব্যক্তির উপর যদি ঋণের পরিমাণ তাহার ধন-সম্পদ অপেক্ষা অধিক হইয়া যায়, তবে সেই ক্ষেত্রে পাওনাদারগণের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে শরীঅতী শাসনের বিচারক কাযী ঐ ব্যক্তিকে 'দেউলিয়া' ঘোষণা করিতে পারেন। উক্ত ঘোষণার পর তাহার ধন-সম্পদ পাওনাদারগণের মধ্যে প্রত্যেকের ঋণের পরিমাণ হারে বণ্টিত হইবে। উক্ত বিষয়ের আলোচনা ছাড়া এস্থানে ঋণীকে অবকাশদানের ফযীলতের বিভিন্ন হাদীসও বর্ণিত হইবে।

নিজের মাল হুবহু পাওয়া যথা, তাহার নিকট আমানত রাখিয়াছিল। কিম্বা ঐ মাল তাহার নিকট এমন কোন ব্যবস্থাধীনে পৌঁছিয়াছিল, যেই ব্যবস্থা সূত্রে শরীআতের বিধানমতে ঐ মাল তাহার নিকট আমানতও গণ্য হইয়া থাকে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান