আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
হাদীস নং: ৩৮২৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪১২৯ - ৪১৩০
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৯৫. যাতুর রিকার যুদ্ধ।
৩৮২৫। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) .... সালিহ ইবনে খাওয়াত (রাযিঃ) এমন একজন সাহাবী থেকে বর্ণনা করেন যিনি যাতুর রিকার যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাথে সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন। তিনি বলেছেন, একদল লোক (নামায আদায়ের জন্য) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাথে কাতারে দাঁড়ালেন এবং অপর দলটি রইলেন শত্রুর সম্মুখীন। এরপর তিনি তার সাথে দাঁড়ানো দলটি নিয়ে এক রাকআত নামায আদায় করে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। মুক্তাদীগণ তাদের নামায পুরা করে ফিরে গেলেন এবং শত্রুর সম্মুখে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ালেন। এরপর দ্বিতীয় দলটি এলে তিনি তাদেরকে নিয়ে অবশিষ্ট রাকআত আদায় করে স্থির হয়ে বসে রইলেন। এবার মুক্তাদীগণ তাদের নিজেদের নামায সম্পূর্ণ করলে তিনি তাদেরকে নিয়ে সালাম ফিরালেন।
মুআয (রাহঃ) .... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমরা নাখল নামক স্থানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সঙ্গে ছিলাম। এরপর জাবির (রাযিঃ) সালাতুল খাওফের কথা উল্লেখ করেন।
এ হাদীস সম্পর্কে ইমাম মালিক (রাহঃ) বলেছেন, সালাতুল খাওফ সম্পর্কে আমি যত হাদীস শুনেছি এর মধ্যে এ হাদীসটিই সবচেয়ে উত্তম।
লাইস (রাহঃ) .... কাসেম ইবনে মুহাম্মাদ থেকে নবী কারীম (ﷺ) গাযওয়ায়ে বনু আনমারে সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন। এই বর্ণনায় মুআয (রাযিঃ)-এর অনুসরণ করেছেন।
মুআয (রাহঃ) .... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমরা নাখল নামক স্থানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সঙ্গে ছিলাম। এরপর জাবির (রাযিঃ) সালাতুল খাওফের কথা উল্লেখ করেন।
এ হাদীস সম্পর্কে ইমাম মালিক (রাহঃ) বলেছেন, সালাতুল খাওফ সম্পর্কে আমি যত হাদীস শুনেছি এর মধ্যে এ হাদীসটিই সবচেয়ে উত্তম।
লাইস (রাহঃ) .... কাসেম ইবনে মুহাম্মাদ থেকে নবী কারীম (ﷺ) গাযওয়ায়ে বনু আনমারে সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন। এই বর্ণনায় মুআয (রাযিঃ)-এর অনুসরণ করেছেন।
كتاب المغازى
بَابُ غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ، عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ، عَمَّنْ شَهِدَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ ذَاتِ الرِّقَاعِ صَلَّى صَلاَةَ الْخَوْفِ أَنَّ طَائِفَةً صَفَّتْ مَعَهُ، وَطَائِفَةٌ وُجَاهَ الْعَدُوِّ، فَصَلَّى بِالَّتِي مَعَهُ رَكْعَةً، ثُمَّ ثَبَتَ قَائِمًا، وَأَتَمُّوا لأَنْفُسِهِمْ ثُمَّ انْصَرَفُوا، فَصَفُّوا وُجَاهَ الْعَدُوِّ، وَجَاءَتِ الطَّائِفَةُ الأُخْرَى فَصَلَّى بِهِمِ الرَّكْعَةَ الَّتِي بَقِيَتْ مِنْ صَلاَتِهِ، ثُمَّ ثَبَتَ جَالِسًا، وَأَتَمُّوا لأَنْفُسِهِمْ، ثُمَّ سَلَّمَ بِهِمْ.
وَقَالَ مُعَاذٌ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَخْلٍ. فَذَكَرَ صَلاَةَ الْخَوْفِ قَالَ مَالِكٌ وَذَلِكَ أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي صَلاَةِ الْخَوْفِ..تَابَعَهُ اللَّيْثُ عَنْ هِشَامٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ حَدَّثَهُ صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةِ بَنِي أَنْمَارٍ.
وَقَالَ مُعَاذٌ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَخْلٍ. فَذَكَرَ صَلاَةَ الْخَوْفِ قَالَ مَالِكٌ وَذَلِكَ أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي صَلاَةِ الْخَوْفِ..تَابَعَهُ اللَّيْثُ عَنْ هِشَامٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ حَدَّثَهُ صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةِ بَنِي أَنْمَارٍ.
বর্ণনাকারী: