মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
১৫- গোলাম আযাদ করা সম্পর্কিত
হাদীস নং: ৩৩৯০
- গোলাম আযাদ করা সম্পর্কিত
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা
৩৩৯০। হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, এক ব্যক্তি মৃত্যুকালে তাহার ছয়টি ক্রীতদাসকে মুক্ত করিয়া দিল, অথচ ঐগুলি ব্যতীত তাহার আর অন্য কোন মাল-সম্পদও ছিল না। পরে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাদিগকে ডাকাইয়া আনিলেন এবং তাহাদেরকে তিন ভাগে বিভক্ত করিয়া নিলেন। অতঃপর লটারির মাধ্যমে তাহাদের দুইজনকে মুক্ত করিয়া দিলেন এবং (অবশিষ্ট) চারিজনকে (পূর্ববং) গোলামই রাখিয়া দিলেন। পরে তিনি মুক্তিদানকারী লোকটিকে (তাহার এই কাজের জন্য) কঠোর বাক্যে ভৎসনা করিলেন। ইহা মুসলিম শরীফের রেওয়ায়ত। আর ইমাম নাসায়ী উক্ত বর্ণনাকারী হইতে 'কঠোর বাক্য' বলার স্থলে বর্ণনা করিয়াছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) বলিয়াছেন : “আমার ইচ্ছা হইয়াছিল যে, আমি তাহার জানাযাই পড়িব না।" আর আবু দাউদের রেওয়ায়তে আছে, তিনি বলিয়াছেনঃ যদি আমি তাহার দাফনের পূর্বে তথায় উপস্থিত থাকিতাম, তবে তাহাকে মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করা হইত না।
كتاب العتق
وَعَن عمرَان بن حُصَيْن: أَنَّ رَجُلًا أَعْتَقَ سِتَّةَ مَمْلُوكِينَ لَهُ عِنْدَ مَوْتِهِ لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ غَيْرُهُمْ فَدَعَا بهم رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَزَّأَهُمْ أَثْلَاثًا ثُمَّ أَقْرَعَ بَيْنَهُمْ فَأَعْتَقَ اثْنَيْنِ وَأَرَقَّ أَرْبَعَةً وَقَالَ لَهُ قَوْلًا شَدِيدًا. رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ عَنْهُ وَذَكَرَ: «لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ لَا أُصَلِّيَ عَلَيْهِ» بَدَلَ: وَقَالَ لَهُ قَوْلًا شَدِيدًا وَفِي رِوَايَةِ أَبِي دَاوُدَ: قَالَ: «لَوْ شَهِدْتُهُ قَبْلَ أَنْ يُدْفَنَ لَمْ يُدْفَنْ فِي مَقَابِر الْمُسلمين»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
যখন লোকটির কাছে উক্ত কয়েকটি গোলাম ছাড়া অন্য কোন মাল-সম্পদ ছিল না, তখন সমস্ত গোলাম আযাদ করাটা জায়েয হয় নাই। কারণ, এইভাবে সে ওয়ারিসদেরকে সম্পদ হইতে বঞ্চিত করিল। এই কারণে তিনি লোকটির প্রতি শক্ত কথা আরোপ করিয়াছেন। মূলতঃ মৃত্যুকালের অসীয়ত কিংবা দান-খয়রাত ইত্যাদি এক তৃতীয়াংশ মালের উপর প্রযোজ্য হয়। তাই তিনি দুইটি গোলাম (এক তৃতীয়াংশ) আযাদ করিয়া অবশিষ্ট চারিটিকে পূর্ববৎ গোলামে রাখিয়া দিয়াছেন।
বর্ণিত মাসআলায় হানাফী মতে প্রতিটি গোলামের এক তৃতীয়াংশ আযাদ হইয়া যাইবে এবং অবশিষ্ট দুই তৃতীয়াংশের জন্য গোলাম শ্রম খাটিয়া ওয়ারিস সূত্রের মালিক হইতে মুক্তি লাভ করিবে। তাঁহারা বলেন, এই হাদীসটি ইসলামের প্রাথমিক যুগের ঘটনা। তখন লটারির মাধ্যমে কোন বিষয়ের মীমাংসা করা জায়েযও ছিল। পরে যখন লটারিকে জুয়ার সদৃশ বলিয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হইয়াছে, তখন এই বিধানও মনসূখ (রহিত) হইয়া গিয়াছে।
বর্ণিত মাসআলায় হানাফী মতে প্রতিটি গোলামের এক তৃতীয়াংশ আযাদ হইয়া যাইবে এবং অবশিষ্ট দুই তৃতীয়াংশের জন্য গোলাম শ্রম খাটিয়া ওয়ারিস সূত্রের মালিক হইতে মুক্তি লাভ করিবে। তাঁহারা বলেন, এই হাদীসটি ইসলামের প্রাথমিক যুগের ঘটনা। তখন লটারির মাধ্যমে কোন বিষয়ের মীমাংসা করা জায়েযও ছিল। পরে যখন লটারিকে জুয়ার সদৃশ বলিয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হইয়াছে, তখন এই বিধানও মনসূখ (রহিত) হইয়া গিয়াছে।