মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

১৮- শরীআতের দন্ড বিধি অধ্যায়

হাদীস নং: ৩৫৭৫
- শরীআতের দন্ড বিধি অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৩৫৭৫। ইকরেমা হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণনা করিয়াছেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমরা যেই ব্যক্তিকেই হযরত লূত (আঃ)-এর কওমের ন্যায় (পুরুষে পুরুষে সঙ্গম) করিতে পাও, তখন যে করে এবং যাহার সহিত করা হয় উভয়কে হত্যা করিয়া ফেল। – তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্
كتاب الحدود
وَعَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «من وَجَدْتُمُوهُ يَعْمَلُ عَمَلَ قَوْمِ لُوطٍ فَاقْتُلُوا الْفَاعِلَ وَالْمَفْعُول بِهِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه

হাদীসের ব্যাখ্যা:

'লাওয়াতাতের শাস্তির ব্যাপারে ওলামাদের মধ্যে মতভেদ রহিয়াছে। হেজাযের ওলামাগণ বলেন, উহার শাস্তি যিনার শাস্তির অবিকল অনুরূপ। ইমাম শাফেয়ী, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মদের এই একই অভিমত। ইমাম মালেক ও আহমদ বলেন, বিবাহিত হউক কিংবা অবিবাহিত, উভয় অবস্থায় রজম করিতে হইবে। তবে ইমাম শাফেয়ীর সর্বশেষ অভিমত হইল, হত্যা করিতে হইবে। চাই উহা মাটিতে পুঁতিয়া হউক অথবা আগুনে পোড়াইয়া হউক। ইরাকের ওলামাগণ বলেন, 'লাওয়াতাত' যিনার চাইতে কঠোরতম কুকর্ম হইলেও উহা যিনা নহে; সুতরাং বিচারকের বিবেচনা মতে যে কোন শাস্তি দিতে পারেন। ইমাম আবু হানীফা (রঃ) বলেন, শাসক যে কোন শাস্তি দিতে পারেন, তবে তাহাকে চাবুক মারিতে কিংবা রজম করিতে পারিবেন না। কেননা, হাদীসে 'কতল' করার নির্দেশ রহিয়াছে। আর উহা শরয়ী ‘হদ্' নহে; বরং শরয়ী ‘হদ’ হইল চাবুক মারা বা রজম করা। তবে 'দুররে মোখতারে' উভয়কে জ্বালাইয়া ফেলার ফতোয়া রহিয়াছে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান