মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
১৮- শরীআতের দন্ড বিধি অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৬০১
- শরীআতের দন্ড বিধি অধ্যায়
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - চোরের হাত কাটা প্রসঙ্গ
৩৬০১। হযরত বুসর ইবনে আরতাত (রাঃ) বলেন, আমি শুনিয়াছি, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেন; যুদ্ধ (জেহাদ) অভিযানে থাকাকালে চোরের হাত কাটা যাইবে না। —তিরমিযী, দারেমী, আবু দাউদ ও নাসায়ী, তবে আবু দাউদ ও নাসায়ী ‘যুদ্ধ’ বা জেহাদের, স্থলে 'সফর' বলিয়াছেন। (অর্থাৎ, সফর অবস্থায় চুরির জন্য হাত কাটা যাইবে না। )
كتاب الحدود
وَعَنْ بُسْرِ بْنِ أَرْطَاةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا تُقْطَعُ الْأَيْدِي فِي الْغَزْوِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالدَّارِمِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ إِلَّا أَنَّهُمَا قَالَا: «فِي السّفر» بدل «الْغَزْو»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
ইমাম আওযায়ী বলেন, সফর হউক কিংবা জেহাদ, কোন অবস্থাতেই চোরের হাত কর্তিত হইবে না। আবার কেহ বলেন, এইখানে الْغَزْو (জেহাদ) অর্থ হইল গনীমত বা যুদ্ধলব্ধ মাল বিতরণের পূর্বে উহা চুরি করিলে হাত কাটা যাইবে না। কেননা, উক্ত মালের মধ্যে তাহারও এক অংশ আছে, যদিও উহা অনির্দিষ্ট। আবার কেহ কেহ বলেন, হাত কাটার অধিকার রহিয়াছে ইমাম বা খলীফার। সেনানায়কের নয়। কাজেই তিনি 'হদ' কার্যকরী করিতে পারেন না। আবার কেহ কেহ বলেন, শত্রুর মোকাবেলায় যুদ্ধস্থলে বা শত্রুর এলাকায় 'হদ' বা শরয়ী শাস্তি প্রয়োগ করিলে ফেতনা তথা শত্রুর সাথে মিশিয়া যাওয়ার আশংকা আছে। তাই সফরে কিংবা জেহাদে যে কোন প্রকারের অপরাধের শাস্তি কার্যকরী হইবে না; বরং উহা হইতে ফিরিয়া আসা পর্যন্ত মুলতবী রাখিতে হইবে। তবে ইমাম আবু হানীফা (রঃ) বলেন, ইসলামী রাষ্ট্রের পরিধি সেই এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত হইলে শাস্তি কার্যকরী করা যাইতে পারে।