মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
১৯- রাষ্ট্রনীতি ও আদালত-বিচার অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৭১৮
- রাষ্ট্রনীতি ও আদালত-বিচার অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৩৭১৮। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ নিশ্চয়ই বাদশাহ্ হইলেন যমীনে আল্লাহ্ তা'আলার ছায়াবিশেষ। নির্যাতিত মযলুম বান্দাগণ তাহার নিকট আশ্রয় কামনা করে; সুতরাং যদি তিনি ন্যায় নীতি অবলম্বন করেন, তবে তাহার জন্য রহিয়াছে পুরস্কার। আর প্রজাবৃন্দের কর্তব্য হইল, তাহার শোকর ও কৃতজ্ঞতা আদায় করা। আর যদি তিনি যুলম ও নির্যাতনমূলক নীতি অবলম্বন করেন, তাহা হইলে গুনাহর বোঝা চাপাইবে তাহার মাথায় এবং প্রজাবৃন্দের উচিত তখন ধৈর্য ধারণ করা।
كتاب الإمارة والقضاء
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ السُّلْطَانَ ظِلُّ اللَّهِ فِي الْأَرْضِ يَأْوِي إِلَيْهِ كُلُّ مَظْلُومٍ مِنْ عِبَادِهِ فَإِذَا عَدَلَ كَانَ لَهُ الْأَجْرُ وَعَلَى الرَّعِيَّةِ الشُّكْرُ وَإِذَا جَارَ كَانَ عَلَيْهِ الْإِصْرُ وعَلى الرّعية الصَّبْر»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
‘বাদশাহ্ হইলেন আল্লাহর ছায়া।' এই কথার অর্থ ইহা নহে যে, তিনি আল্লাহর যাবতীয় গুণে ও বৈশিষ্ট্যে এমন কি আকৃতি-প্রকৃতিতে আল্লাহর ছায়া। যেমন, ছায়া সম্পর্কে আমাদের স্বাভাবিক ধারণা। এইখানে ‘ছায়াকে' আল্লাহর সাথে সংযোজন করার অর্থ তাহার মর্যাদা প্রকাশ করা। যেমন বলা হয়, বায়তুল্লাহ্ বা আল্লাহর ঘর, রূহুল্লাহ্ ইত্যাদি। অর্থাৎ, আল্লাহ্ই তাহাকে যমীনের মধ্যে শাসক হিসাবে নিযুক্ত করিয়াছেন। উহাকেই ‘ছায়া' বলা হইয়াছে।