মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

১৯- রাষ্ট্রনীতি ও আদালত-বিচার অধ্যায়

হাদীস নং: ৩৭৩৮
- রাষ্ট্রনীতি ও আদালত-বিচার অধ্যায়
২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - প্রশাসনিক কর্মস্থলে কাজ করা এবং তা গ্রহণের দায়িত্বে ভয় করা
৩৭৩৮। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, (যখন) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে ইয়ামান দেশের শাসক নিযুক্ত করিয়া পাঠাইলেন, তখন আমি আরয করিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন, অথচ আমি একজন যুবক, বিচার বা শাসন সম্পর্কে আমি অজ্ঞ। উত্তরে হুযূর (ﷺ) বলিলেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা তোমার অন্তরকে অচিরেই সৎপথ প্রদর্শন করিবেন এবং তোমার যবানকেও সঠিক রাখিবেন। অতঃপর তিনি বলিলেন, যখন দুই ব্যক্তি (বাদী ও বিবাদী) কোন এক ব্যাপার লইয়া তোমার কাছে উপস্থিত হয়, তখন প্রতিপক্ষের কথাবার্তা না শোনা পর্যন্ত বাদীর পক্ষে (ডিক্রি) রায় প্রদান করিও না। কেননা, প্রতিপক্ষের বর্ণনা হইতে মোকদ্দমার রায় প্রদানে তোমার মদদ ও সাহায্য মিলিবে। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, (হুযূর [ﷺ]-এর দোআর পর) আমি আর কোন মোকদ্দমায় সন্দেহে পতিত হই নাই। —তিরমিযী, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্ গ্রন্থকার বলেন, 'আকযিয়া ও শাহাদাতের' অধ্যায়ে আমরা ইনশাআল্লাহ্ উম্মে সালামা হইতে বর্ণিত, انما اقضى بينكم رائى হাদীসটি বর্ণনা করিব।
كتاب الإمارة والقضاء
عَن عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْيَمَنِ قَاضِيًا فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ تُرْسِلُنِي وَأَنَا حَدِيثُ السِّنِّ وَلَا عِلْمَ لِي بِالْقَضَاءِ؟ فَقَالَ: «إِنَّ اللَّهَ سَيَهْدِي قَلْبَكَ وَيُثَبِّتُ لِسَانَكَ إِذَا تَقَاضَى إِلَيْكَ رَجُلَانِ فَلَا تَقْضِ لِلْأَوَّلِ حَتَّى تَسْمَعَ كَلَامَ الْآخَرِ فَإِنَّهُ أَحْرَى أَنْ يَتَبَيَّنَ لَكَ الْقَضَاءُ» . قَالَ: فَمَا شَكَكْتُ فِي قَضَاءٍ بَعْدُ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ

وَسَنَذْكُرُ حَدِيثَ أُمِّ سَلَمَةَ: «إِنَّمَا أَقْضِي بَيْنَكُمْ برأيي» فِي بَابِ «الْأَقْضِيَةِ وَالشَّهَادَاتِ» إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এই হাদীসের আলোকে বুঝা যায় যে, হুযূর (ﷺ)-এর এই দো'আর বরকতে হযরত আলী (রাঃ) সমস্ত সাহাবায়ে কেরামদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিচারকের মর্যাদা লাভ করেন। এই জন্য হুযূর (ﷺ) নিজেই ঘোষণা করিয়াছেন — واقضى هم على
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ - হাদীস নং ৩৭৩৮ | মুসলিম বাংলা