মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

২০- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়

হাদীস নং: ৪০৩১
- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - গনীমাতের সম্পদ বণ্টন এবং তা আত্মসাৎ করা
৪০৩১। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বদর যুদ্ধের দিন দাঁড়াইয়া বলিলেনঃ ওসমান আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের প্রয়োজনে গিয়াছে। সুতরাং আমি তাহার পক্ষ হইতে বায়আত করিতেছি। অতঃপর (যুদ্ধ শেষে) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁহার জন্যও গনীমতের একভাগ নির্ধারণ করিয়াছেন। অথচ তিনি ব্যতীত যুদ্ধে শরীক হয় নাই এমন কোন ব্যক্তিকে গনীমতের অংশ দেন নাই। –আবু দাউদ
كتاب الجهاد
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ يَعْنِي يَوْمَ بَدْرٍ فَقَالَ: «إِنَّ عُثْمَانَ انْطَلَقَ فِي حَاجَةِ اللَّهِ وَحَاجَةِ رَسُولِهِ وَإِنِّي أُبَايِعُ لَهُ» فَضَرَبَ لَهُ رسولُ الله بِسَهْمٍ وَلَمْ يَضْرِبْ بِشَيْءٍ لِأَحَدٍ غَابَ غَيْرَهُ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

হাদীসের ব্যাখ্যা:

বদর যুদ্ধের সময় হুযূর (ﷺ)-এর কন্যা, অর্থাৎ, হযরত ওসমান (রাঃ)-এর স্ত্রী রোকেয়া মারাত্মকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তাঁহার পরিচর্যার জন্য এমন কোন লোক ছিল না, যাহাকে রোগিণীর পার্শ্বে রাখিয়া হযরত ওসমান যুদ্ধে যাইতে পারেন, তবুও তিনি যাইতে প্রস্তুত হইয়াছিলেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁহাকে বিরত রাখিয়াছেন। অতঃপর যখন লোকেরা হুযূর (ﷺ)-এর হাতে বায়আত করিলেন, তখন হুযূর (ﷺ) নিজের ডান হাতকে বাম হাতের মধ্যে রাখিয়া বলিলেন, ইহা ওসমানের বায়আত। অর্থাৎ, নিজের এক হাতকে ওসমানের হাত বলিয়া সাব্যস্ত করিয়াছেন। হযরত ওসমান যদিও আল্লাহর রাসূলের নির্দেশে যুদ্ধে যান নাই, তবুও উহাকে আল্লাহর প্রয়োজনে গিয়াছেন বলাটা সান্ত্বনা এবং যুদ্ধে শরীক না হওয়ার দুঃখ ও অনুতাপ লাঘবের উদ্দেশ্যেই বলা হইয়াছে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান