মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২৫- স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যা সংক্রান্ত অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৬২১
- স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যা সংক্রান্ত অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৬২১। হযরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের অভ্যাস ছিল, তিনি ফজরের নামায শেষে প্রায়শ আমাদের দিকে মুখ করিয়া বসিতেন এবং জিজ্ঞাসা করিতেন, তোমাদের কেহ আজ রাত্রে কোন স্বপ্ন দেখিয়াছে কি ? বর্ণনাকারী বলেন, আমাদের কেহ কোন স্বপ্ন দেখিয়া থাকিলে সে তাহার নিকট বলিত। আর তিনি আল্লাহর হুকুম মোতাবেক উহার তা'বীর বয়ান করিতেন। যথারীতি একদিন সকালে জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমাদের কেহ (আজ রাত্রে) কোন স্বপ্ন দেখিয়াছে কি? আমরা আরয করিলাম, না। তখন তিনি বলিলেনঃ কিন্তু আমি দেখিয়াছি, অদ্য রাত্রে দুই ব্যক্তি আমার নিকট আসিল এবং তাহারা উভয়ে আমার হাত ধরিয়া একটি পবিত্র ভূমির দিকে (সম্ভবত উহা শাম বা সিরিয়ার দিকে) লইয়া গেল। দেখিলাম, এক ব্যক্তি বসিয়া আছে আর অপর এক ব্যক্তি লোহার সাঁড়াশি হাতে দাঁড়ানো। সে উহা উক্ত বসা ব্যক্তির গালের ভিতরে ঢুকাইয়া দেয় এবং উহার দ্বারা চিরিয়া গর্দানের পিছন পর্যন্ত লইয়া যায়। অতঃপর তাহার দ্বিতীয় গালের সহিত অনুরূপ ব্যবহার করে। ইত্যবসরে প্রথম গালটি ভাল হইয়া যায়। আবার সে (প্রথমে যেভাবে চিরিয়া ছিল,) পুনরায় তাহাই করে। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, ইহা কি? তাহারা উভয়ে বলিল, সামনে চলুন। সম্মুখের দিকে চলিলাম। অবশেষে আমরা এমন এক ব্যক্তির কাছে আসিয়া পৌঁছিলাম, যে ঘাড়ের উপর চিৎ হইয়া শুইয়া রহিয়াছে, আর অপর এক ব্যক্তি একখানা ভারী পাথর লইয়া তাহার মাথার কাছে দাড়াইয়া আছে। সে উহার আঘাতে শায়িত ব্যক্তির মাথা চূর্ণ-বিচূর্ণ করিতেছে। যখনই সে পাথরটি নিক্ষেপ করে (মাথা চূর্ণ-বিচূর্ণ করিয়া) উহা গড়াইয়া দূরে চলিয়া যায়। তখন সেই লোকটি পুনরায় পাথরটি তুলিয়া আনিতে যায়, সে ফিরিয়া আসার পূর্বে ঐ ব্যক্তির মাথাটি পূর্বের ন্যায় ঠিক হইয়া যায় এবং পুনরায় সে উহা দ্বারা তাহাকে আঘাত করে। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, ইহা কি ? তাহারা উভয়ে বলিল, সামনে চলুন। আমরা সম্মুখের দিকে অগ্রসর হইলাম। অবশেষে একটি গর্তের নিকট আসিয়া পৌঁছিলাম যাহা তন্দুরের মত ছিল। উহার উপরি অংশ ছিল সংকীর্ণ এবং ভিতরের অংশটি ছিল প্রশস্ত। উহার তলদেশে আগুন প্রজ্বলিত ছিল। আগুনের লেলিহান শিখা যখন উপরের দিকে উঠিত, তখন উহার ভিতরে যাহারা রহিয়াছে তাহারাও উপরে উঠিয়া আসিত এবং উক্ত গর্ত হইতে বাহিরে পড়িয়া যাওয়ার উপক্রম হইত। আর যখন অগ্নিশিখা কিছুটা স্তিমিত হইত তখন তাহারাও পুনরায় ভিতরের দিকে চলিয়া যাইত। উহার মধ্যে রহিয়াছে কতিপয় উলঙ্গ নারী ও পুরুষ। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, ইহা কি ? তাহারা উভয়ে বলিল, সামনে চলুন। সুতরাং আমরা সম্মুখের দিকে অগ্রসর হইলাম এবং একটি রক্তের নহরের নিকট আসিয়া পৌঁছিলাম। দেখিলাম, উহার মধ্যস্থলে এক ব্যক্তি দাঁড়াইয়া আছে এবং নহরের তীরে একজন লোক দণ্ডায়মান। আর তাহার সম্মুখে রহিয়াছে প্রস্তরখণ্ড। নহরের ভিতরের লোকটি যখন উহা হইতে বাহির হওয়ার উদ্দেশ্যে কিনারার দিকে অগ্রসর হইতে চায়, তখন তীরে দাড়ানো লোকটি ঐ লোকটির মুখের উপর লক্ষ্য করিয়া পাথর নিক্ষেপ করে এবং সেই লোকটিকে ঐ স্থানে ফিরাইয়া দেয় যেখানে সে ছিল। মোটকথা, লোকটি যখনই বাহিরে আসার চেষ্টা করে, তখনই তাহার মুখের উপর পাথর মারিয়া সে যেখানে ছিল পুনরায় সেখানে ফিরাইয়া দেয়। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, ইহা কি? সঙ্গীদ্বয় বলিলেন, সামনে চলুন। আমরা সম্মুখে অগ্রসর হইয়া শ্যামল সুশোভিত একটি বাগানে পৌঁছিলাম। বাগানে ছিল একটি বিরাট বৃক্ষ। আর উক্ত বৃক্ষটির গোড়ায় উপবিষ্ট ছিলেন একজন বৃদ্ধ লোক এবং বিপুল সংখ্যক বালক। ঐ বৃক্ষটির সন্নিকটে আরেক ব্যক্তিকে দেখিতে পাইলাম, যাহার সম্মুখে রহিয়াছে আগুন, যাহাকে সে প্রজ্বলিত করিতেছে। ইহার পর আমার সঙ্গীদ্বয় আমাকে ঐ বৃক্ষের উপরে আরোহণ করাইল এবং সেখানে তাহারা আমাকে বৃক্ষরাজির মাঝখানে এমন একখানা গৃহে প্রবেশ করাইল যে, এইরূপ সুন্দর ও মনোরম ঘর আমি আর কখনো দেখি নাই। উহার মধ্যে ছিল কতিপয় বৃদ্ধ, যুবক, নারী ও বালক। অনন্তর তাহারা উভয়ে আমাকে সেই ঘর হইতে বাহির করিয়া বৃক্ষের আরও উপরে চড়াইল এবং এমন একখানা গৃহে প্রবেশ করাইল যাহা প্রথমটি হইতে সমধিক সুন্দর ও উত্তম। ইহাতেও দেখিলাম, কতিপয় বৃদ্ধ ও যুবক। অনন্তর আমি উক্ত সঙ্গীদ্বয়কে বলিলাম, আপনারা উভয়েই তো আমাকে আজ সারা রাত্রে অনেক কিছু ঘুরাইয়া ফিরাইয়া দেখাইলেন। এখন বলুন, আমি যাহাকিছু দেখিয়াছি উহার তাৎপর্য কি? তাহারা উভয়ে বলিল, হ্যাঁ, (আমরা তাহা জানাইব।) ঐ যে এক ব্যক্তিকে দেখিয়াছেন সাঁড়াশি দ্বারা যাহার গাল চিরা হইতেছিল, সে মিথ্যাবাদী, সে মিথ্যা বলিত এবং তাহার নিকট হইতে মিথ্যা রটান হইত। এমন কি, উহা সারা দেশে ছড়াইয়া পড়িত। অতএব, তাহার সাথে কিয়ামত পর্যন্ত ঐ আচরণ করা হইতে থাকিবে, যাহা করিতে আপনি দেখিয়াছেন। আর যে ব্যক্তির মস্তক পাথর মারিয়া ঘায়েল করিতে দেখিয়াছেন, সে ঐ ব্যক্তি আল্লাহ্ তা'আলা যাহাকে কোরআন শিক্ষা দিয়াছিলেন, কিন্তু সে কোরআন হইতে গাফেল হইয়া রাত্রে ঘুমাইত এবং দিনেও উহার নির্দেশ মোতাবেক আমল করিত না। সুতরাং তাহার সাথে কিয়ামত পর্যন্ত ঐ আচরণই করা হইবে, যাহা আপনি দেখিয়া ছেন। আর (আগুনের) তন্দুরে যাহাদিগকে দেখিয়াছেন তাহারা হইল যেনাকার (নারী-পুরুষ)। আর ঐ ব্যক্তি যাহাকে (রক্তের) নহরে দেখিয়াছেন, সে হইল সুদখোর। আর ঐ বৃদ্ধ ব্যক্তি যাহাকে একটি বৃক্ষের গোড়ায় উপবিষ্ট দেখিয়াছেন, তিনি হইলেন হযরত ইবরাহীম (আঃ)। তাহার চতুষ্পার্শ্বের শিশুরা হইল মানুষের সন্তানাদি। আর যেই লোকটিকে অগ্নিকুণ্ড প্রজ্বলিত করিতে দেখিয়াছেন, সে হইল দোযখের দারোগা মালেক। আর প্রথম যে ঘরটিতে আপনি প্রথমে প্রবেশ করিয়াছিলেন, উহা (বেহেশতের মধ্যে) সর্বসাধারণ মু'মিনদের গৃহ। আর এই ঘর যাহা পরে দেখিয়াছেন উহা শহীদদের ঘর। আর আমি হইলাম জিবরাঈল এবং ইনি হইলেন মীকাঈল। এবার আপনি মাথাটি উপরের দিকে তুলিয়া দেখুন। তখন আমি মাথাটি তুলিয়া দেখিলাম, যেন আমার মাথার উপরে মেঘের মত কোন একটি জিনিস রহিয়াছে। অপর এক রেওয়ায়তে আছে, একের পর এক স্তবকবিশিষ্ট সাদা মেঘের মত কোন জিনিস দেখিলাম। তাঁহারা বলিলেন, উহা আপনারই বাসস্থান। আমি বলিলাম, আমাকে সুযোগ দিন আমি আমার ঘরে প্রবেশ করি। তাঁহারা বলিলেন, এখনও আপনার হায়াত বাকী আছে, যাহা আপনি এখনো পূর্ণ করেন নাই। আপনার যখন নির্দিষ্ট হায়াত পূর্ণ হইবে, তখন আপনি আপনার বাসস্থানে প্রবেশ করিবেন। বুখারী আর “মদীনায় নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্বপ্ন", এই বিষয়ে হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি 'হারামিল মদীনা' অধ্যায়ে বর্ণিত হইয়াছে।
كتاب الرؤيا
وَعَن سُمرةَ بنِ جُندب قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا صَلَّى أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ فَقَالَ: «مَنْ رَأَى مِنْكُمُ اللَّيْلَةَ رُؤْيَا؟» قَالَ: فَإِنْ رَأَى أَحَدٌ قَصَّهَا فَيَقُولُ: مَا شَاءَ اللَّهُ فَسَأَلَنَا يَوْمًا فَقَالَ: «هَلْ رَأَى مِنْكُمْ أَحَدٌ رُؤْيَا؟» قُلْنَا: لَا قَالَ: لَكِنِّي رَأَيْتُ اللَّيْلَةَ رَجُلَيْنِ أَتَيَانِي فَأَخَذَا بِيَدَيَّ فَأَخْرَجَانِي إِلَى أَرْضٍ مُقَدَّسَةٍ فَإِذَا رَجُلٌ جَالِسٌ وَرَجُلٌ قَائِمٌ بِيَدِهِ كَلُّوبٌ مِنْ حَدِيدٍ يُدْخِلُهُ فِي شِدْقِهِ فَيَشُقُّهُ حَتَّى يَبْلُغَ قَفَاهُ ثُمَّ يَفْعَلُ بِشِدْقِهِ الْآخَرِ مِثْلَ ذَلِكَ وَيَلْتَئِمُ شِدْقُهُ هَذَا فَيَعُودُ فَيَصْنَعُ مِثْلَهُ. قُلْتُ: مَا هَذَا؟ قَالَا: انْطَلِقْ فَانْطَلَقْنَا حَتَّى أَتَيْنَا عَلَى رَجُلٍ مُضْطَجِعٍ عَلَى قَفَاهُ وَرَجُلٌ قَائِمٌ عَلَى رَأْسِهِ بِفِهْرٍ أَوْ صَخْرَةٍ يَشْدَخُ بِهَا رَأْسَهُ فَإِذَا ضَرَبَهُ تَدَهْدَهَ الْحَجَرُ فَانْطَلَقَ إِلَيْهِ لِيَأْخُذَهُ فَلَا يَرْجِعُ إِلَى هَذَا حَتَّى يَلْتَئِمَ رَأْسُهُ وَعَادَ رَأْسُهُ كَمَا كَانَ فَعَادَ إِلَيْهِ فَضَرَبَهُ فَقُلْتُ: مَا هَذَا؟ قَالَا: انْطَلِقْ فَانْطَلَقْنَا حَتَّى أَتَيْنَا إِلَى ثَقْبٍ مِثْلِ التَّنُّورِ أَعْلَاهُ ضَيِّقٌ وَأَسْفَلَهُ وَاسِعٌ تَتَوَقَّدُ تَحْتَهُ نَارٌ فَإِذَا ارْتَفَعَتِ ارْتَفَعُوا حَتَّى كَادَ أَنْ يَخْرُجُوا مِنْهَا وَإِذَا خَمَدَتْ رَجَعُوا فِيهَا وَفِيهَا رِجَالٌ وَنِسَاءٌ عُرَاةٌ فَقُلْتُ: مَا هَذَا؟ قَالَا: انْطَلِقْ فَانْطَلَقْنَا حَتَّى أَتَيْنَا عَلَى نَهَرٍ مِنْ دَمٍ فِيهِ رَجُلٌ قَائِمٌ عَلَى وَسْطِ النَّهَرِ وَعَلَى شَطِّ النَّهَرِ رَجُلٌ بَيْنَ يَدَيْهِ حِجَارَةٌ فَأَقْبَلَ الرَّجُلُ الَّذِي فِي النَّهَرِ فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَخْرُجَ رَمَى الرَّجُلُ بِحَجَرٍ فِي فِيهِ فَرَدَّهُ حَيْثُ كَانَ فَجَعَلَ كُلَّمَا جَاءَ لِيَخْرُجَ رَمَى فِي فِيهِ بِحَجَرٍ فَيَرْجِعُ كَمَا كَانَ فَقُلْتُ مَا هَذَا؟ قَالَا: انْطَلِقْ فَانْطَلَقْنَا حَتَّى انْتَهَيْنَا إِلَى رَوْضَةٍ خَضْرَاءَ فِيهَا شَجَرَةٌ عَظِيمَةٌ وَفِي أَصْلِهَا شَيْخٌ وَصِبْيَانٌ وَإِذَا رَجُلٌ قَرِيبٌ مِنَ الشجرةِ بَيْنَ يَدَيْهِ نَارٌ يُوقِدُهَا فَصَعِدَا بِيَ الشَّجَرَةَ فأدخلاني دَار أوسطَ الشَّجَرَةِ لَمْ أَرَ قَطُّ أَحْسَنَ مِنْهَا فِيهَا رِجَالٌ شُيُوخٌ وَشَبَابٌ وَنِسَاءٌ وَصِبْيَانٌ ثُمَّ أَخْرَجَانِي مِنْهَا فصعدا بِي الشَّجَرَة فأدخلاني دَار هِيَ أَحْسَنُ وَأَفْضَلُ مِنْهَا فِيهَا شُيُوخٌ وَشَبَابٌ فَقُلْتُ لَهُمَا: إِنَّكُمَا قَدْ طَوَّفْتُمَانِي اللَّيْلَةَ فَأَخْبِرَانِي عَمَّا رَأَيْتُ قَالَا: نَعَمْ أَمَّا الرَّجُلُ الَّذِي رَأَيْتَهُ يُشَقُّ شِدْقُهُ فَكَذَّابٌ يُحَدِّثُ بِالْكَذْبَةِ فَتُحْمَلُ عَنْهُ حَتَّى تَبْلُغَ الْآفَاقَ فَيُصْنَعُ بِهِ مَا تَرَى إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَالَّذِي رَأَيْتَهُ يُشْدَخُ رَأْسُهُ فَرَجُلٌ عَلَّمَهُ اللَّهُ الْقُرْآنَ فَنَامَ عَنْهُ بِاللَّيْلِ وَلَمْ يَعْمَلْ بِمَا فِيهِ بِالنَّهَارِ يُفْعَلُ بِهِ مَا رَأَيْتَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَالَّذِي رَأَيْتَهُ فِي الثَّقْبِ فَهُمُ الزُّنَاةُ وَالَّذِي رَأَيْتَهُ فِي النَّهَرِ آكِلُ الرِّبَا وَالشَّيْخُ الَّذِي رَأَيْتَهُ فِي أَصْلِ الشَّجَرَةِ إِبْرَاهِيمُ وَالصِّبْيَانُ حَوْلَهُ فَأَوْلَادُ النَّاسِ وَالَّذِي يُوقِدُ النَّارَ مَالِكٌ خَازِنُ النَّارِ وَالدَّارُ الْأُولَى الَّتِي دَخَلْتَ دَارُ عَامَّةِ الْمُؤْمِنِينَ وَأَمَّا هَذِهِ الدَّارُ فَدَارُ الشُّهَدَاءِ وَأَنَا جِبْرِيلُ وَهَذَا مِيكَائِيلُ فَارْفَعْ رَأْسَكَ فَرَفَعْتُ رَأْسِي فَإِذَا فَوْقِي مِثْلُ السَّحَابِ وَفِي رِوَايَةٍ مِثْلُ الرَّبَابَةِ الْبَيْضَاءِ قَالَا: ذَلِكَ مَنْزِلُكَ قُلْتُ: دَعَانِي أَدْخُلْ مَنْزِلِي قَالَا: إِنَّهُ بَقِيَ لَكَ عُمُرٌ لَمْ تَسْتَكْمِلْهُ فَلَوِ اسْتَكْمَلْتَهُ أَتَيْتَ مَنْزِلَكَ «. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ. وَذَكَرَ حَدِيثَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ فِي رُؤْيَا النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَدِينَةِ فِي» بَاب حرم الْمَدِينَة