মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৭৬০
- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাম রাখা
৪৭৬০। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন তোমাদের কেহ যেন কখনও 'আমার বান্দা', 'আমার বাদী' না বলে। কেননা, তোমরা প্রত্যেকেই আল্লাহর বান্দা এবং তোমাদের সমস্ত স্ত্রীগণ আল্লাহর বাদী। বরং তোমাদের বলা উচিত; আমার গোলাম ( বেটা), আমার জারিয়া (বেটি), আমার খাদিম, আমার খাদেমা ইত্যাদি। আর কোন গোলাম যেন আপন মুনিবকে আমার রব না বলে; বরং সে যেন বলে, আমার সরদার। অপর এক বর্ণনায় আছে, সে যেন বলে, 'আমার সরদার ও আমার মাওলা।" আরেক বর্ণনায় আছে, গোলাম যেন তাহার সরদারকে আমার মাওলা না বলে। কেননা, আল্লাহই তোমাদের মাওলা। —মুসলিম
كتاب الآداب
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَقُولَنَّ أَحَدُكُمْ عَبدِي وَأمتِي كلكُمْ عباد اللَّهِ وَكُلُّ نِسَائِكُمْ إِمَاءُ اللَّهِ. وَلَكِنْ لِيَقُلْ: غُلَامِي وَجَارِيَتِي وَفَتَايَ وَفَتَاتِي. وَلَا يَقُلِ الْعَبْدُ: رَبِّي ولكنْ ليقلْ: سَيِّدِي وَفِي رِوَايَةٍ: لِيَقُلْ: سَيِّدِي وَمَوْلَايَ . وَفِي رِوَايَةٍ: لَا يَقُلِ الْعَبْدُ لِسَيِّدِهِ: مَوْلَايَ فَإِنَّ مولاكم اللَّهُ . رَوَاهُ مُسلم
হাদীসের ব্যাখ্যা:
বস্তুতঃ ‘আবদ’ তাহাকেই বলা হয় যাহার উপর এবাদতের দায়িত্ব অর্পিত হয়। আর সে-ই আবদী বা আমাতী বলার অধিকার রাখে যে এবাদত পাওয়ার যোগ্য। এই পর্যায়ে এবাদত পাওয়ার অধিকারী এককভাবে আল্লাহ্ ছাড়া আর দ্বিতীয় কেহই নাই। সুতরাং এই অর্থে কোন মানুষকে ‘আবদী তথা আমার বান্দা বলা জায়েয নয়। আল্লাহর কালামে আছেঃ
مَا كَانَ لِبَشَرٍ أَن يُؤْتِيَهُ اللَّهُ الْكِتَابَ وَالْحُكْمَ وَالنُّبُوَّةَ ثُمَّ يَقُولَ لِلنَّاسِ كُونُوا عِبَادًا لِّي مِن دُونِ اللَّهِ الآية – ال عمران
অর্থঃ কোন মানুষের পক্ষে ইহা সম্ভব নহে যে, আল্লাহ্ তা'আলা তাহাকে কিতাব এবং জ্ঞান ও নুবুওয়ত প্রদান করেন, অতঃপর সে লোকদিগকে বলিবে, আমার বান্দা হইয়া যাও আল্লাহকে ত্যাগ করিয়া। বরং সে বলিবে, তোমরা আল্লাহওয়ালা হইয়া যাও, এইজন্য যে, তোমরা কিতাব শিক্ষা দাও এবং এইজন্য যে, তোমরা উহা পাঠ কর। —আলে ইমরান
আর যদি উক্ত অর্থের সন্দেহ না হয় তবে শুধু ক্রীত দাস-দাসী হিসাবে ‘আবদ’ ও ‘আমাত’ ব্যবহার করা জায়েয আছে। কুরআনে হাকীমে আছেঃ وَالصَّالِحِينَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَائِكُمْ
এইরূপ 'রব্ব' ও 'মাওলা'র বেলায়ও যদি শিরকের অর্থ গ্রহণের সম্ভাবনা থাকে তবে গায়রুল্লাহর জন্য ব্যবহার জায়েয নয়, অন্যথায় জায়েয আছে।
مَا كَانَ لِبَشَرٍ أَن يُؤْتِيَهُ اللَّهُ الْكِتَابَ وَالْحُكْمَ وَالنُّبُوَّةَ ثُمَّ يَقُولَ لِلنَّاسِ كُونُوا عِبَادًا لِّي مِن دُونِ اللَّهِ الآية – ال عمران
অর্থঃ কোন মানুষের পক্ষে ইহা সম্ভব নহে যে, আল্লাহ্ তা'আলা তাহাকে কিতাব এবং জ্ঞান ও নুবুওয়ত প্রদান করেন, অতঃপর সে লোকদিগকে বলিবে, আমার বান্দা হইয়া যাও আল্লাহকে ত্যাগ করিয়া। বরং সে বলিবে, তোমরা আল্লাহওয়ালা হইয়া যাও, এইজন্য যে, তোমরা কিতাব শিক্ষা দাও এবং এইজন্য যে, তোমরা উহা পাঠ কর। —আলে ইমরান
আর যদি উক্ত অর্থের সন্দেহ না হয় তবে শুধু ক্রীত দাস-দাসী হিসাবে ‘আবদ’ ও ‘আমাত’ ব্যবহার করা জায়েয আছে। কুরআনে হাকীমে আছেঃ وَالصَّالِحِينَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَائِكُمْ
এইরূপ 'রব্ব' ও 'মাওলা'র বেলায়ও যদি শিরকের অর্থ গ্রহণের সম্ভাবনা থাকে তবে গায়রুল্লাহর জন্য ব্যবহার জায়েয নয়, অন্যথায় জায়েয আছে।