মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৩০- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়

হাদীস নং: ৫৮৭০
- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা
৫৮৭০। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ্ ইবনে সালাম রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মদীনায় আগমনের সংবাদ শুনিতে পাইলেন। এই সময় তিনি নিজের এক বাগানে খেজুর পাড়িতেছিলেন। অতঃপর তিনি নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে আসিয়া বলিলেন, আমি আপনাকে এমন তিনটি প্রশ্ন করিব, যাহা নবী ছাড়া আর কেহই জানে না। (এক) কিয়ামতের সর্বপ্রথম আলামত কি? (দুই) বেহেশতবাসীদের সর্বপ্রথম খাদ্য কি? (তিন) কিসের কারণে সন্তান (আকৃতিতে) কখনও তাহার পিতার অনুরূপ হয়, আবার কখনও তাহার মায়ের মত হয় নবী (ছাঃ) বলিলেন এই বিষয়গুলি সম্পর্কে হযরত জিবরাঈল (আঃ) এইমাত্র আমাকে অবহিত করিয়া গেলেন। কিয়ামতের সর্বপ্রথম আলামত হইল একটি আগুন, যাহা লোকদিগকে পূর্ব দিক হইতে পশ্চিম দিকে সমবেত করিয়া লইয়া যাইবে। আর জান্নাতবাসীগণ সর্বপ্রথম যেই খাদ্য খাইবে, তাহা হইল মাছের কলিজার অতিরিক্ত টুকরা। আর (সন্তানের ব্যাপারটি হইল,) যদি নারীর বীর্যের উপর পুরুষের বীর্যের প্রাধান্য ঘটে, তবে সন্তান বাপের অনুরূপ হয়। আর যদি নারীর বীর্যের প্রাধান্য ঘটে, তবে সন্তান মায়ের আকৃতি ধারণ করে। তখন আব্দুল্লাহ্ ইবনে সালাম বলিয়া উঠিলেন, আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন মা'বুদ নাই এবং নিশ্চয়ই আপনি আল্লাহর রাসূল। (অতঃপর তিনি বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। ইহুদীরা এমন একটি জাতি, যাহারা অপবাদ রটনায় অত্যন্ত পটু। আপনি আমার সম্পর্কে তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করার পূর্বে যদি তাহারা আমার ইসলাম সম্পর্কে জানিতে পারে, তবে তাহারা আমার উপর অপবাদ আনিবে। অতঃপর ইহুদীগণ নবী (ছাঃ)-এর নিকট আসিলে তিনি তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ্ কেমন লোক? তাহারা বলিল, তিনি আমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম ব্যক্তি এবং সর্বাপেক্ষা উত্তম ব্যক্তির ছেলে। তিনি আমাদের সর্দার এবং আমাদের সর্দারের সন্তান। তখন নবী (ছাঃ) বলিলেন, আচ্ছা বল তো, আব্দুল্লাহ্ ইবনে সালাম যদি ইসলাম গ্রহণ করে, (তবে তোমরাও কি ইসলাম গ্রহণ করিবে ?) তখন তাহারা বলিয়া উঠিল, আল্লাহ্ তাহাকে ইহা হইতে রক্ষা করুন। এমন সময় আব্দুল্লাহ্ (আড়াল হইতে বাহির হইয়া আসিলেন এবং কালেমা উচ্চারণ করিয়া বলিলেন, আমি সাক্ষা দিতেছি, আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন ইলাহ্ নাই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ (ছাঃ) আল্লাহর রাসূল। তখন তাহারা (ইহুদীরা) বলিতে লাগিল, (এই লোকটি) আমাদের মধ্যে সর্বনিকৃষ্ট ব্যক্তি এবং সর্বনিকৃষ্ট ব্যক্তির সন্তান। অতঃপর তাহারা তাহাকে খুব তাচ্ছিল্যভাবে হেয় প্রতিপন্ন করিল। তখন আব্দুল্লাহ্ বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। (ইহাদের ব্যাপারে) আমি ইহাই আশংকা করিয়াছিলাম।
—বুখারী
كتاب الفضائل والشمائل
وَعَن أنس قا ل سَمِعَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ بِمَقْدَمِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي أَرْضٍ يَخْتَرِفُ فَأَتَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ إِنِّي سَائِلُكَ عَنْ ثَلَاثٍ لَا يَعْلَمُهُنَّ إِلَّا نَبِيٌّ: فَمَا أَوَّلُ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَمَا أَوَّلُ طَعَامِ أَهْلِ الْجَنَّةِ؟ وَمَا يَنْزِعُ الولدُ إِلَى أبيهِ أَو إِلَى أمه؟ قا ل: «أَخْبرنِي بهنَّ جِبْرِيلُ آنِفًا أَمَّا أَوَّلُ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ فَنَارٌ تَحْشُرُ النَّاسَ مِنَ الْمَشْرِقِ إِلَى الْمَغْرِبِ وَأَمَّا أَوَّلُ طَعَامٍ يَأْكُلُهُ أَهْلُ الْجَنَّةِ فَزِيَادَةُ كَبِدِ الْحُوت وَإِذَا سَبَقَ مَاءُ الرَّجُلِ مَاءَ الْمَرْأَةِ نَزْعَ الْوَلَدَ وَإِذَا سَبَقَ مَاءُ الْمَرْأَةِ نَزَعَتْ» . قَالَ: أشهد أَن لاإله إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الْيَهُودَ قَوْمٌ بُهْتٌ وَإِنَّهُمْ إِنْ يعلمُوا بِإِسْلَامِي من قبل أَن تَسْأَلهُمْ يبهتوني فَجَاءَتِ الْيَهُودُ فَقَالَ: «أَيُّ رَجُلٍ عَبْدُ اللَّهِ فِيكُمْ؟» قَالُوا: خَيْرُنَا وَابْنُ خَيْرِنَا وَسَيِّدُنَا وَابْنُ سيدِنا فَقَالَ: «أرأَيتم إِنْ أَسْلَمَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ؟» قَالُوا أَعَاذَهُ اللَّهُ مِنْ ذَلِكَ. فَخَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ فَقَالَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ فَقَالُوا: شَرُّنَا وَابْنُ شَرِّنَا فَانْتَقَصُوهُ قَالَ: هَذَا الَّذِي كُنْتُ أَخَافُ يَا رسولَ الله رَوَاهُ البُخَارِيّ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান