মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৩০- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৮৭৮
- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা
৫৮৭৮। হযরত আবু কাতাদাহ্ (রাঃ) বলেন, হযরত আম্মার যখন খন্দক যুদ্ধের পরিখা খনন করিতেছিলেন, তখন রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহার (ধূলা-বালু ঝাড়ার উদ্দেশ্যে) মাথায় হাত বুলাইতে বুলাইতে বলিলেন হায়। সুমাইয়ার পুত্রের উপর কত কঠিন সময় আগত, বিদ্রোহী দলটি তোমাকে হত্যা করিবে। মুসলিম
كتاب الفضائل والشمائل
وَعَنْ أَبِي قَتَادَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَمَّارٍ حِينَ يَحْفِرُ الْخَنْدَقَ فَجَعَلَ يَمْسَحُ رَأسه وَيَقُول: «بؤس بن سميَّة تقتلك الفئة الباغية» . رَوَاهُ مُسلم
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হযরত আম্মারের মাতার নাম সুমাইয়া এবং পিতার নাম ইয়াসির। পিতা-মাতা দুই জনই প্রথম যুগে ইসলাম গ্রহণ করিয়াছেন। ইয়াসির স্বাভাবিকভাবেই মৃত্যুবরণ করিয়াছেন। তবে ইসলাম গ্রহণের অপরাধে আবু জাহল তাহাদিগকে অমানুষিক কষ্ট ও নির্যাতন করিয়াছে। বিশেষ করিয়া মাতা সুমাইয়াকে বর্ষার আঘাতে সে হত্যা করিয়াছে। ইসলামের ইতিহাসে মহিলাদের মধ্যে তিনিই প্রথম শহীদ।
الفئة الباغية 'বিদ্রোহী দল' দ্বারা হযরত মুআবিয়া (রাঃ)-এর সেনাদলকে বুঝান হইয়াছে, যাহারা হযরত আলী (রাঃ)-এর বিরুদ্ধে সিফফীনের যুদ্ধে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন। হযরত আম্মার আলী (রাঃ)-এর পক্ষে সিফফীনের যুদ্ধে মুআবিয়ার সৈন্যদের হাতে শহীদ হইয়াছেন। আহলে সুন্নত ওয়াল জমাআতের মতে হযরত আলী এবং তাঁহার সমর্থক দলই হক ও সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। তাঁহারা আরও বলেন যে, উভয় দলের মধ্যে خطاء اجتهادى তথা ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি হইয়াছিল। সুতরাং এই ব্যাপারে কোন পক্ষের সমালোচনা ছাড়া চুপ থাকাই বাঞ্ছনীয়। (তা'লীক)
الفئة الباغية 'বিদ্রোহী দল' দ্বারা হযরত মুআবিয়া (রাঃ)-এর সেনাদলকে বুঝান হইয়াছে, যাহারা হযরত আলী (রাঃ)-এর বিরুদ্ধে সিফফীনের যুদ্ধে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন। হযরত আম্মার আলী (রাঃ)-এর পক্ষে সিফফীনের যুদ্ধে মুআবিয়ার সৈন্যদের হাতে শহীদ হইয়াছেন। আহলে সুন্নত ওয়াল জমাআতের মতে হযরত আলী এবং তাঁহার সমর্থক দলই হক ও সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। তাঁহারা আরও বলেন যে, উভয় দলের মধ্যে خطاء اجتهادى তথা ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি হইয়াছিল। সুতরাং এই ব্যাপারে কোন পক্ষের সমালোচনা ছাড়া চুপ থাকাই বাঞ্ছনীয়। (তা'লীক)