মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৩০- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়

হাদীস নং: ৫৯৩৫
- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা
৫৯৩৫। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, খায়বর বিজয় হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর খেদমতে (ভাজা) বকরী হাদিয়াস্বরূপ পেশ করা হইল। উহাতে বিষ ছিল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নির্দেশ দিলেন, এখানে যত ইহুদী আছে, সকলকে আমার সম্মুখে একত্রিত কর। তাহারা সকলে একত্রিত হইলে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাহাদিগকে উদ্দেশ্য করিয়া বলিলেনঃ আমি তোমাদিগকে এক ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করিব, তোমরা কি আমাকে এই ব্যাপারে সত্য উত্তর দিবে? তাহারা বলিল, হ্যাঁ, হে আবুল কাসেম! অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেন, আচ্ছা তোমাদের বাপ কে? তাহারা বলিল, অমুক। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেন, তোমরা মিথ্যা বলিতেছ বরং তোমাদের পিতা তো অমুক। তখন তাহারা বলিল, আপনি সত্যই বলিয়াছেন এবং সঠিক বলিয়াছেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) পুনরায় বলিলেন, আমি তোমাদিগকে আরও একটি ব্যাপারে যদি জিজ্ঞাসা করি, সেই ব্যাপারেও তোমরা কি আমাকে সত্য উত্তর দিবে ? তাহারা বলিল, হ্যাঁ, হে আবুল কাসেম! কেননা, যদি আমরা আপনাকে মিথ্যা কথা বলি, তাহা হইলে আপনি তো জানিতেই পারিবেন যেমনটি জানিতে পারিয়াছেন আমাদের পিতার ব্যাপারে এইবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেন, আচ্ছা, জাহান্নামী কাহারা? উত্তরে তাহারা বলিল, আমরা স্বল্প সময়ের জন্য জাহান্নামে যাইব। অতঃপর আপনারা উহাতে আমাদের স্থলাভিষিক্ত হইয়া থাকিবেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেন, দূর হও ! তোমরাই তথায় থাকিবে আল্লাহর কসম! আমরা কখনও জাহান্নামে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত হইব না। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাহাদিগকে বলিলেন, আমি যদি তোমাদিগকে আরও একটি কথা জিজ্ঞাসা করি, তাহা হইলে তোমরা কি আমাকে সত্য উত্তর দিবে? তাহারা বলিল, হ্যাঁ, হে আবুল কাসেম! এইবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করিলেন, আচ্ছা, বল দেখি! তোমরা কি এই বকরীর গোশতে বিষ মিশাইয়াছিলে? তাহারা (নির্দ্বিধায়) বলিল, হ্যাঁ। নবী (ﷺ) জিজ্ঞাসা করিলেন? কিসে তোমাদিগকে এইরূপ করিতে উদ্বুদ্ধ করিল? উত্তরে তাহারা বলিল, আপনি যদি মিথ্যাবাদী হন, তাহা হইলে আমরা আপনা হইতে রেহাই পাইব। আর আপনি যদি (নবুওতের দাবীতে) সত্যবাদী হইয়া থাকেন, তাহা হইলে বিষ আপনার কোনই ক্ষতি করিবে না। —বুখারী
كتاب الفضائل والشمائل
وَعَن أبي هُرَيْرَة أَنه قَالَ لَمَّا فُتِحَتْ خَيْبَرُ أُهْدِيَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَاةٌ فِيهَا سُمٌّ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اجْمَعُوا لي من كَانَ هَا هُنَا من الْيَهُود فَجمعُوا لَهُ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنِّي سَائِلُكُمْ عَنْ شَيْءٍ فَهَلْ أَنْتُمْ صادقي عَنهُ فَقَالُوا نَعَمْ يَا أَبَا الْقَاسِمِ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَبُوكُمْ قَالُوا فلَان فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَذبْتُمْ بل أبوكم فلَان فَقَالُوا صدقت وبررت قَالَ: «هَلْ أَنْتُمْ مُصَدِّقِيَّ عَنْ شَيْءٍ إِنْ سَأَلْتُكُمْ عَنْهُ» قَالُوا نَعَمْ يَا أَبَا الْقَاسِمِ وَإِنْ كَذَبْنَاكَ عَرَفْتَ كَمَا عَرَفْتَهُ فِي أَبِينَا قَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَهْلُ النَّارِ قَالُوا نَكُونُ فِيهَا يَسِيرًا ثمَّ تخلفوننا فِيهَا فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اخْسَئُوا فِيهَا وَاللَّهِ لَا نَخْلُفُكُمْ فِيهَا أبدا ثمَّ قَالَ لَهُم فَهَلْ أَنْتُمْ مُصَدِّقِيَّ عَنْ شَيْءٍ إِنْ سَأَلْتُكُمْ عَنهُ قَالُوا نَعَمْ يَا أَبَا الْقَاسِمِ قَالَ: «هَلْ جَعَلْتُمْ فِي هَذِه الشَّاة سما» . قَالُوا نعم فَقَالَ مَا حملكم على ذَلِك فَقَالُوا أردنَا إِن كنت كذابا نستريح مِنْك وَإِن كنت نَبيا لم يَضرك. رَوَاهُ البُخَارِيّ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান