মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৩১- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল

হাদীস নং: ৬১৮৯
- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল
প্রথম অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পবিত্র স্ত্রীগণের মর্যাদা
৬১৮৯। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে লোকেরা তাহাদের হাদিয়া বা উপহার পাঠাইবার জন্য আমি আয়েশার (ঘরে রাত্রি যাপনের) দিনের লক্ষ্য রাখিত। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীগণ দুই দলে বিভক্ত ছিলেন। এক দলে ছিলেন হযরত আয়েশা, হাফসা, সাফিয়্যা ও সাওদা (রাঃ)। আর অপর দলে ছিলেন হযরত উম্মে সালামা ও রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্যান্য স্ত্রীগণ। উম্মে সালামার দলের বিবিগণ উম্মে সালামাকে বলিলেন, আপনি রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে আলাপ করুন, তাহাকে বলুন, তিনি যেন সমস্ত মানুষকে বলিয়া দেন যে, কেহ রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে হাদিয়া দিতে চাহিলে তিনি তাহার যেই স্ত্রীর কাছেই অবস্থান করুন না কেন, সেইখানেই যেন পাঠাইয়া দেন। অতঃপর উম্মে সালামা এই ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ)-এর সহিত কথাবার্তা বলিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) তাহাকে বলিলেন হে উম্মে সালামা আয়েশার ব্যাপারে তুমি আমাকে কষ্ট দিও না। কেননা, একমাত্র আয়েশা ছাড়া আর কোন স্ত্রীর সাথে এক কাপড়ে থাকাকালে আমার কাছে অহী আসে নাই। উম্মে সালামা বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আমি আপনাকে কষ্ট দেওয়া হইতে আল্লাহ্ পাকের কাছে তওবা করিতেছি। অতঃপর বিবিগণ ফাতেমাকে ডাকিয়া আনিয়া এই ব্যাপারে তাঁহাকে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট পাঠাইলেন। সুতরাং ফাতেমা গিয়া তাহার সাথে কথাবার্তা বলিলেন, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) রলিলেন, হে স্নেহময়ী। আমি যাহা পছন্দ করি, তুমি কি তাহা পছন্দ কর না। ফাতেমা বলিলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই। তখন তিনি বলিলেন, তাহা হইলে তুমি আয়েশাকে ভালবাস। --মোত্তাঃ
বাদউল খালক অধ্যায়ে নারীকুলের উপর আয়েশার ফযীলত সম্পর্কিত আবু মুসা সূত্রে বর্ণিত হযরত আনাস (রাঃ)-এর হাদীস উল্লেখ করা হইয়াছে।
كتاب المناقب
وَعَنْهَا قَالَتْ: إِنَّ النَّاسَ كَانُوا يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ يَبْتَغُونَ بِذَلِكَ مَرْضَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَتْ: إِنَّ نِسَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُنَّ حِزْبَيْنِ: فَحِزْبٌ فِيهِ عَائِشَةُ وَحَفْصَةُ وَصَفِيَّةُ وَسَوْدَةُ وَالْحِزْبُ الْآخَرُ أُمُّ سَلَمَةَ وَسَائِرُ نِسَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَلَّمَ حِزْبُ أُمِّ سَلَمَةَ فَقُلْنَ لَهَا: كَلِّمِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكَلِّمُ النَّاسَ فَيَقُولُ: مَنْ أَرَادَ أَنْ يُهْدِيَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلْيُهْدِهِ إِلَيْهِ حَيْثُ كَانَ. فَكَلَّمَتْهُ فَقَالَ لَهَا: «لَا تُؤْذِينِي فِي عَائِشَةَ فَإِنَّ الْوَحْيَ لَمْ يَأْتِنِي وَأَنَا فِي ثَوْبِ امْرَأَةٍ إِلَّا عَائِشَةَ» . قَالَتْ: أَتُوب إِلَى الله من ذَاك يَا رَسُولَ اللَّهِ ثُمَّ إِنَّهُنَّ دَعَوْنَ فَاطِمَةَ فَأَرْسَلْنَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَلَّمَتْهُ فَقَالَ: «يَا بُنَيَّةُ أَلَا تُحِبِّينَ مَا أُحِبُّ؟» قَالَتْ: بَلَى. قَالَ: «فَأَحِبِّي هَذِهِ» . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ وَذَكَرَ حَدِيثُ أَنَسٍ «فَضْلَ عَائِشَةَ عَلَى النِّسَاءِ» فِي بَابِ «بَدْءِ الْخَلْقِ» بِرِوَايَةِ أبي مُوسَى
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান