মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৩১- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল
হাদীস নং: ৬২১০
- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল
প্রথম অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬২১০। হযরত কায়স ইবনে উবাদ (রাঃ) বলেন, একদা আমি মদীনার মসজিদে বসা ছিলাম। এমন সময় এক লোক মসজিদে প্রবেশ করিলেন, যাহার মুখমণ্ডলে ছিল বিনয়ের ছাপ। (তাহাকে দেখিয়া ) লোকেরা বলিয়া উঠিল, এই লোকটি জান্নাতী। (আগন্তুক) লোকটি সংক্ষিপ্তভাবে দুই রাকআত নামায পড়িলেন, অতঃপর মসজিদ হইতে বাহির হইলেন।(বর্ণনাকারী কায়স বলেন,) আমিও তাঁহার পিছনে পিছনে চলিলাম এবং বলিলাম, 'আপনি যখন মসজিদে প্রবেশ করিয়াছিলেন, তখন লোকেরা (আপনার প্রতি ইংগিত করিয়া) বলিয়াছিল, এই ব্যক্তি জান্নাতী। তখন তিনি বলিলেন, আল্লাহর কসম! কোন লোকের পক্ষে এমন কথা বলা উচিত নয়, যাহা সে জানে না। আসল ব্যাপারটি আমি তোমাকে সবিস্তারে বলিতেছি, লোকেরা আমার সম্পর্কে এমন ধারণা কেন করে। নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যমানায় আমি একটি স্বপ্ন দেখিয়াছিলাম এবং তাহা নবী (ছাঃ)-এর কাছে বর্ণনা করিলাম। আমি স্বপ্নে দেখিলাম, আমি যেন একটি বাগানের মধ্যে। এই বলিয়া তিনি ঐ বাগানের বিশালতা ও উহার সবুজ-শ্যামল শোভা দৃশ্যের কথা উল্লেখ করিলেন। অতঃপর বলিলেন, বাগানের মধ্যভাগে ছিল লোহার একটি গুপ্ত। স্তম্ভটির নিম্নাংশ মাটিতে এবং উহার উপরের অংশ আসমান পর্যন্ত। সেই স্তম্ভের উপরের প্রান্তে রহিয়াছে একটি কড়া। আমাকে বলা হইল এই স্তম্ভে আরোহণ কর। আমি বলিলাম, উঠিতে তো পারিতেছি না। এমন সময় একজন খাদেম আমার নিকট আসিয়া আমার পিছনের কাপড় উঁচু করিয়া ধরিল। তখন আমি স্তত্ত্বে আরোহণ করিতে লাগিলাম। অবশেষে স্তম্ভটির উপরের প্রান্তে পৌঁছিয়া আমি কড়াটি ধরিয়া ফেলিলাম। তখন আমাকে বলা হইল; শক্তভাবে ধরিয়া রাখ। অতঃপর ঐ কড়াটি আমার হাতে ধরা অবস্থায় আমি ঘুম হইতে জাগিয়া উঠিলাম।
তারপর আমি নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এই স্বপ্নের কথা ব্যক্ত করিলে তিনি (ইহার ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে) বলিলেন ঐ বাগানটি হইল "ইসলাম", ঐ স্বপ্নটা হইল ইসলামের স্তম্ভ, আর ঐ কড়াটি হইল ইসলামের সুদৃঢ় কড়া। সুতরাং তুমি মৃত্যু পর্যন্ত ইসলামের উপর অবিচল থাকিবে। (রাবী বলেন, আর ঐ লোকটি ছিলেন আব্দুল্লাহ্ ইবনে সালাম। -মোত্তাঃ
তারপর আমি নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এই স্বপ্নের কথা ব্যক্ত করিলে তিনি (ইহার ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে) বলিলেন ঐ বাগানটি হইল "ইসলাম", ঐ স্বপ্নটা হইল ইসলামের স্তম্ভ, আর ঐ কড়াটি হইল ইসলামের সুদৃঢ় কড়া। সুতরাং তুমি মৃত্যু পর্যন্ত ইসলামের উপর অবিচল থাকিবে। (রাবী বলেন, আর ঐ লোকটি ছিলেন আব্দুল্লাহ্ ইবনে সালাম। -মোত্তাঃ
كتاب المناقب
وَعَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ قَالَ: كُنْتُ جَالِسًا فِي مَسْجِدِ الْمَدِينَةِ فَدَخَلَ رَجُلٌ عَلَى وَجْهِهِ أَثَرُ الْخُشُوعِ فَقَالُوا: هَذَا رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ تَجَوَّزَ فِيهِمَا ثُمَّ خَرَجَ وَتَبِعْتُهُ فَقُلْتُ: إِنَّكَ حِينَ دَخَلْتَ الْمَسْجِدَ قَالُوا: هَذَا رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ. قَالَ: وَاللَّهِ مَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَقُولَ مَا لَا يَعْلَمُ فَسَأُحَدِّثُكَ لِمَ ذَاكَ؟ رَأَيْتُ رُؤْيَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَصَصْتُهَا عَلَيْهِ وَرَأَيْتُ كَأَنِّي فِي رَوْضَةٍ - ذَكَرَ مِنْ سَعَتِهَا وَخُضْرَتِهَا - وَسَطَهَا عَمُودٌ مِنْ حَدِيدٍ أَسْفَلُهُ فِي الْأَرْضِ وَأَعْلَاهُ فِي السَّمَاءِ فِي أَعْلَاهُ عُرْوَةٌ فَقِيلَ لِيَ: ارْقَهْ. فَقُلْتُ: لَا أَسْتَطِيعُ فَأَتَانِي مِنْصَفٌ فَرَفَعَ ثِيَابِي مِنْ خَلْفِي فرقِيتُ حَتَّى كُنْتُ فِي أَعْلَاهُ فَأَخَذْتُ بِالْعُرْوَةِ فَقِيلَ: اسْتَمْسِكْ فَاسْتَيْقَظْتُ وَإِنَّهَا لَفِي يَدِي فَقَصَصْتُهَا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «تِلْكَ الرَّوْضَةُ الْإِسْلَامُ وَذَلِكَ الْعَمُودُ عَمُودُ الْإِسْلَامِ وَتِلْكَ العروة الْعُرْوَةُ الْوُثْقَى فَأَنْتَ عَلَى الْإِسْلَامِ حَتَّى تَمُوتَ وَذَاكَ الرَّجُلُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ» . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ