আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
৩১. ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাবসার অধ্যায়
হাদীস নং: ১৩৩৯
ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাবসার অধ্যায়
২৩. খাদ্যদ্রব্য বিক্রয়ের বিবিধ বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৫৫. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন (রাহঃ) বলিতেন, শস্য উহার শীষে থাকা অবস্থায় বিক্রয় করিও না, যাবত উহা পরিপুষ্ট না হয়।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি নির্ধারিত মূল্যে নির্দিষ্ট মেয়াদে কোন খাদ্যশস্য ক্রয় করিয়াছে, যখন মেয়াদ উপস্থিত হইল, খাদ্যশস্য আদায় করা যাহার জিম্মায় (ওয়াজিব হইয়াছে) সে বলিল, তাহার সাথী (ক্রেতা)-কে, আমার কাছে খাদ্যশস্য (মওজুদ) নাই, যে খাদ্যশস্য আপনাকে দেওয়ার দায়িত্ব আমার উপর রহিয়াছে, সে খাদ্যশস্য (নির্দিষ্ট) মেয়াদ প্রদান করিয়া আমার নিকট বিক্রয় করুন। খাদ্যশস্যের মালিক বলিল, ইহা জায়েয হইবে না। কারণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খাদ্যশস্য হস্তগত করার পূর্বে বিক্রয় করিতে নিষেধ করিয়াছেন। (জায়েয করার উপায়স্বরূপ) যাহার জিম্মায় খাদ্যশস্য (আদায় করা ওয়াজিব) সে তাহার কর্জদাতাকে (অর্থাৎ প্রথম ক্রেতাকে) বলিল, (আপনার পক্ষ হইতে অন্য) খাদ্যশস্য আপনি আমার নিকট বিক্রয় করুন নির্দিষ্ট মেয়াদে, যেন আপনাকে আমি উহা পরিশোধ করি। ইহা জায়েয হইবে না। কারণ সে [প্রথম ক্রেতা] উহাকে প্রথম বিক্রেতাকে খাদ্যশস্য দিতেছে। তারপর পুনরায় প্রথম বিক্রেতা প্রথম ক্রেতার নিকট উহা ফেরত দিতেছে, ফলে ব্যাপার এই দাঁড়াইবে যে, (এই খাদ্যশস্যের) যে মূল্য প্রথম বিক্রেতা প্রথম ক্রেতাকে আদায় করিল খাদ্যশস্যের দ্বিতীয় দফা যে ক্রয় করিল উহার মূল্য বাবদ উহা (প্রকৃতপক্ষে) সেই খাদ্যশস্যের মূল্য হইল।
যে খাদ্যশস্য উহার (প্রথম ক্রেতার) প্রাপ্য ছিল সেই ব্যক্তির (প্রথম বিক্রেতার) জিম্মায়। এই খাদ্যশস্য যাহা বিক্রি করিল তাহাদের উভয়ের মধ্যে লেন-দেন হালাল করার জন্য একটি হিল্লা স্বরূপ হইল। (উপরিউক্ত ব্যবস্থায়) তাহারা যাহা করিল তাহা হইতে খাদ্যশস্যকে হস্তগত করার পূর্বে বিক্রয় করা (যাহা হালাল নহে)।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তির খাদ্যশস্য আর এক ব্যক্তির জিম্মায় ওয়াজিব রহিয়াছে, যাহা সে ক্রয় করিয়াছিল তাহার নিকট হইতে, (অপর দিকে) তাহার কর্জদারের অপর এক ব্যক্তির নিকট অনুরূপ খাদ্যদ্রব্য পাওনা রহিয়াছে। যে ব্যক্তির জিন্মায় খাদ্যদ্রব্য (আদায় করা ওয়াজিব) রহিয়াছে সে ঋণদাতাকে বলিল-আমার নিকট আপনার প্রাপ্য খাদ্যদ্রব্যের পরিবর্তে আমি আপনাকে আমার এক ঋণদারের হাওলা করিতেছি, যাহার নিকট আমি অনুরূপ খাদ্যদ্রব্য পাওনা আছি, যেইরূপ খাদ্যদ্রব্য আমার নিকট আপনার পাওনা রহিয়াছে। (অর্থাৎ খাতকের নিকট হইতে আপনি সেই খাদ্যদ্রব্য আদায় করিয়া নিন)।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যাহার জিম্মায় খাদ্যদ্রব্য আদায় করা ওয়াজিব রহিয়াছে, সে যদি সেই খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করিয়া থাকে এবং তাহার ঋণদাতাকে উহা হইতে খরিদকৃত খাদ্যদ্রব্যের হাওলা করিতে ইচ্ছা করে, তবে এই হাওলা করা জায়েয নহে।
এবং ইহা হইতেছে হস্তগত করার পূর্বে খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করা (যাহা বৈধ নহে)। আর যদি উক্ত খাদ্যদ্রব্য সলফরূপে ক্রয় হইয়া থাকে যাহার আদায় করার সময় উপস্থিত হইয়াছে, তবে তাহার ঋণদাতাকে তাহার খাতকের হাওলা করাতে কোন দোষ নাই। অর্থাৎ ইহা জায়েয হইবে। কারণ ইহা (ঋণ), বিক্রয় নহে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ হস্তগত করার পূর্বে খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করা হালাল নহে। কারণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইহা নিষেধ করিয়াছেন। তবে আহলে-ইলম (উলামা) এই বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন যে, শরীক করিয়া লওয়া,* তাওলিয়ত** ও ইকালাতে কোন দোষ নাই। খাদ্যদ্রব্য (হউক বা) অথবা খাদ্যদ্রব্য ব্যতীত অন্য কিছু হউক ।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ (ইহা জায়েয এইজন্য যে), আহলে-ইলম উলামা এই সবকে অনুগ্রহের তুল্য বলিয়া মত দিয়াছেন, ইহা বেচাকেনার মতো বলিয়া উল্লেখ করেন নাই। ইহা এইরূপ যেন কোন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে নাকিস (অসম্পূর্ণ ও কৃত্রিম) দিরহাম সলফ (ঋণ প্রদান করিয়াছে, তারপর ঋণ শোধ করা হইল (অর্থাৎ সলফ বিক্রয় ঋণ গ্রহীতা ঋণদাতা (ক্রেতা)-কে ঋণ পরিশোধ করা হইল [অর্থাৎ সলফ বিক্রয় ঋণ গ্রহীতা ঋণদাতা ক্রেতা-কে (ঋণ) পরিশোধ করিল] পূর্ণ ওজনের দিরহাম দ্বারা যাহাতে বাড়তি রহিয়াছে।
ইহা তাহার জন্য জায়েয হইবে এবং হালাল হইবে। পক্ষাত্তরে যদি সেই ব্যক্তি পূর্ণ ওজনের দিরহামের বিনিময়ে নাকিস দিরহাম উহা হইতে ক্রয় করে তবে ইহা তাহার জন্য হালাল জায়েয হইবে না। অনুরূপ সলফ বিক্রয়ে যদি (বিক্রেতার নিকট) পূর্ণ ওজনের দিরহামের শর্ত করে অথচ সে তাহাকে পরিশোধ করিয়াছে নাকিস দিরহাম, তবে ইহা জায়েয হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি নির্ধারিত মূল্যে নির্দিষ্ট মেয়াদে কোন খাদ্যশস্য ক্রয় করিয়াছে, যখন মেয়াদ উপস্থিত হইল, খাদ্যশস্য আদায় করা যাহার জিম্মায় (ওয়াজিব হইয়াছে) সে বলিল, তাহার সাথী (ক্রেতা)-কে, আমার কাছে খাদ্যশস্য (মওজুদ) নাই, যে খাদ্যশস্য আপনাকে দেওয়ার দায়িত্ব আমার উপর রহিয়াছে, সে খাদ্যশস্য (নির্দিষ্ট) মেয়াদ প্রদান করিয়া আমার নিকট বিক্রয় করুন। খাদ্যশস্যের মালিক বলিল, ইহা জায়েয হইবে না। কারণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খাদ্যশস্য হস্তগত করার পূর্বে বিক্রয় করিতে নিষেধ করিয়াছেন। (জায়েয করার উপায়স্বরূপ) যাহার জিম্মায় খাদ্যশস্য (আদায় করা ওয়াজিব) সে তাহার কর্জদাতাকে (অর্থাৎ প্রথম ক্রেতাকে) বলিল, (আপনার পক্ষ হইতে অন্য) খাদ্যশস্য আপনি আমার নিকট বিক্রয় করুন নির্দিষ্ট মেয়াদে, যেন আপনাকে আমি উহা পরিশোধ করি। ইহা জায়েয হইবে না। কারণ সে [প্রথম ক্রেতা] উহাকে প্রথম বিক্রেতাকে খাদ্যশস্য দিতেছে। তারপর পুনরায় প্রথম বিক্রেতা প্রথম ক্রেতার নিকট উহা ফেরত দিতেছে, ফলে ব্যাপার এই দাঁড়াইবে যে, (এই খাদ্যশস্যের) যে মূল্য প্রথম বিক্রেতা প্রথম ক্রেতাকে আদায় করিল খাদ্যশস্যের দ্বিতীয় দফা যে ক্রয় করিল উহার মূল্য বাবদ উহা (প্রকৃতপক্ষে) সেই খাদ্যশস্যের মূল্য হইল।
যে খাদ্যশস্য উহার (প্রথম ক্রেতার) প্রাপ্য ছিল সেই ব্যক্তির (প্রথম বিক্রেতার) জিম্মায়। এই খাদ্যশস্য যাহা বিক্রি করিল তাহাদের উভয়ের মধ্যে লেন-দেন হালাল করার জন্য একটি হিল্লা স্বরূপ হইল। (উপরিউক্ত ব্যবস্থায়) তাহারা যাহা করিল তাহা হইতে খাদ্যশস্যকে হস্তগত করার পূর্বে বিক্রয় করা (যাহা হালাল নহে)।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তির খাদ্যশস্য আর এক ব্যক্তির জিম্মায় ওয়াজিব রহিয়াছে, যাহা সে ক্রয় করিয়াছিল তাহার নিকট হইতে, (অপর দিকে) তাহার কর্জদারের অপর এক ব্যক্তির নিকট অনুরূপ খাদ্যদ্রব্য পাওনা রহিয়াছে। যে ব্যক্তির জিন্মায় খাদ্যদ্রব্য (আদায় করা ওয়াজিব) রহিয়াছে সে ঋণদাতাকে বলিল-আমার নিকট আপনার প্রাপ্য খাদ্যদ্রব্যের পরিবর্তে আমি আপনাকে আমার এক ঋণদারের হাওলা করিতেছি, যাহার নিকট আমি অনুরূপ খাদ্যদ্রব্য পাওনা আছি, যেইরূপ খাদ্যদ্রব্য আমার নিকট আপনার পাওনা রহিয়াছে। (অর্থাৎ খাতকের নিকট হইতে আপনি সেই খাদ্যদ্রব্য আদায় করিয়া নিন)।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যাহার জিম্মায় খাদ্যদ্রব্য আদায় করা ওয়াজিব রহিয়াছে, সে যদি সেই খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করিয়া থাকে এবং তাহার ঋণদাতাকে উহা হইতে খরিদকৃত খাদ্যদ্রব্যের হাওলা করিতে ইচ্ছা করে, তবে এই হাওলা করা জায়েয নহে।
এবং ইহা হইতেছে হস্তগত করার পূর্বে খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করা (যাহা বৈধ নহে)। আর যদি উক্ত খাদ্যদ্রব্য সলফরূপে ক্রয় হইয়া থাকে যাহার আদায় করার সময় উপস্থিত হইয়াছে, তবে তাহার ঋণদাতাকে তাহার খাতকের হাওলা করাতে কোন দোষ নাই। অর্থাৎ ইহা জায়েয হইবে। কারণ ইহা (ঋণ), বিক্রয় নহে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ হস্তগত করার পূর্বে খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করা হালাল নহে। কারণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইহা নিষেধ করিয়াছেন। তবে আহলে-ইলম (উলামা) এই বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন যে, শরীক করিয়া লওয়া,* তাওলিয়ত** ও ইকালাতে কোন দোষ নাই। খাদ্যদ্রব্য (হউক বা) অথবা খাদ্যদ্রব্য ব্যতীত অন্য কিছু হউক ।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ (ইহা জায়েয এইজন্য যে), আহলে-ইলম উলামা এই সবকে অনুগ্রহের তুল্য বলিয়া মত দিয়াছেন, ইহা বেচাকেনার মতো বলিয়া উল্লেখ করেন নাই। ইহা এইরূপ যেন কোন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে নাকিস (অসম্পূর্ণ ও কৃত্রিম) দিরহাম সলফ (ঋণ প্রদান করিয়াছে, তারপর ঋণ শোধ করা হইল (অর্থাৎ সলফ বিক্রয় ঋণ গ্রহীতা ঋণদাতা (ক্রেতা)-কে ঋণ পরিশোধ করা হইল [অর্থাৎ সলফ বিক্রয় ঋণ গ্রহীতা ঋণদাতা ক্রেতা-কে (ঋণ) পরিশোধ করিল] পূর্ণ ওজনের দিরহাম দ্বারা যাহাতে বাড়তি রহিয়াছে।
ইহা তাহার জন্য জায়েয হইবে এবং হালাল হইবে। পক্ষাত্তরে যদি সেই ব্যক্তি পূর্ণ ওজনের দিরহামের বিনিময়ে নাকিস দিরহাম উহা হইতে ক্রয় করে তবে ইহা তাহার জন্য হালাল জায়েয হইবে না। অনুরূপ সলফ বিক্রয়ে যদি (বিক্রেতার নিকট) পূর্ণ ওজনের দিরহামের শর্ত করে অথচ সে তাহাকে পরিশোধ করিয়াছে নাকিস দিরহাম, তবে ইহা জায়েয হইবে না।
كتاب البيوع
بَاب جَامِعِ بَيْعِ الطَّعَامِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ سِيرِينَ كَانَ يَقُولُ لَا تَبِيعُوا الْحَبَّ فِي سُنْبُلِهِ حَتَّى يَبْيَضَّ قَالَ مَالِك مَنْ اشْتَرَى طَعَامًا بِسِعْرٍ مَعْلُومٍ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى فَلَمَّا حَلَّ الْأَجَلُ قَالَ الَّذِي عَلَيْهِ الطَّعَامُ لِصَاحِبِهِ لَيْسَ عِنْدِي طَعَامٌ فَبِعْنِي الطَّعَامَ الَّذِي لَكَ عَلَيَّ إِلَى أَجَلٍ فَيَقُولُ صَاحِبُ الطَّعَامِ هَذَا لَا يَصْلُحُ لِأَنَّهُ قَدْ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَيْعِ الطَّعَامِ حَتَّى يُسْتَوْفَى فَيَقُولُ الَّذِي عَلَيْهِ الطَّعَامُ لِغَرِيمِهِ فَبِعْنِي طَعَامًا إِلَى أَجَلٍ حَتَّى أَقْضِيَكَهُ فَهَذَا لَا يَصْلُحُ لِأَنَّهُ إِنَّمَا يُعْطِيهِ طَعَامًا ثُمَّ يَرُدُّهُ إِلَيْهِ فَيَصِيرُ الذَّهَبُ الَّذِي أَعْطَاهُ ثَمَنَ الطَّعَامِ الَّذِي كَانَ لَهُ عَلَيْهِ وَيَصِيرُ الطَّعَامُ الَّذِي أَعْطَاهُ مُحَلِّلًا فِيمَا بَيْنَهُمَا وَيَكُونُ ذَلِكَ إِذَا فَعَلَاهُ بَيْعَ الطَّعَامِ قَبْلَ أَنْ يُسْتَوْفَى قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ لَهُ عَلَى رَجُلٍ طَعَامٌ ابْتَاعَهُ مِنْهُ وَلِغَرِيمِهِ عَلَى رَجُلٍ طَعَامٌ مِثْلُ ذَلِكَ الطَّعَامِ فَقَالَ الَّذِي عَلَيْهِ الطَّعَامُ لِغَرِيمِهِ أُحِيلُكَ عَلَى غَرِيمٍ لِي عَلَيْهِ مِثْلُ الطَّعَامِ الَّذِي لَكَ عَلَيَّ بِطَعَامِكَ الَّذِي لَكَ عَلَيَّ قَالَ مَالِك إِنْ كَانَ الَّذِي عَلَيْهِ الطَّعَامُ إِنَّمَا هُوَ طَعَامٌ ابْتَاعَهُ فَأَرَادَ أَنْ يُحِيلَ غَرِيمَهُ بِطَعَامٍ ابْتَاعَهُ فَإِنَّ ذَلِكَ لَا يَصْلُحُ وَذَلِكَ بَيْعُ الطَّعَامِ قَبْلَ أَنْ يُسْتَوْفَى فَإِنْ كَانَ الطَّعَامُ سَلَفًا حَالًّا فَلَا بَأْسَ أَنْ يُحِيلَ بِهِ غَرِيمَهُ لِأَنَّ ذَلِكَ لَيْسَ بِبَيْعٍ وَلَا يَحِلُّ بَيْعُ الطَّعَامِ قَبْلَ أَنْ يُسْتَوْفَى لِنَهْيِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ غَيْرَ أَنَّ أَهْلَ الْعِلْمِ قَدْ اجْتَمَعُوا عَلَى أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِالشِّرْكِ وَالتَّوْلِيَةِ وَالْإِقَالَةِ فِي الطَّعَامِ وَغَيْرِهِ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ أَنَّ أَهْلَ الْعِلْمِ أَنْزَلُوهُ عَلَى وَجْهِ الْمَعْرُوفِ وَلَمْ يُنْزِلُوهُ عَلَى وَجْهِ الْبَيْعِ وَذَلِكَ مِثْلُ الرَّجُلِ يُسَلِّفُ الدَّرَاهِمَ النُّقَّصَ فَيُقْضَى دَرَاهِمَ وَازِنَةً فِيهَا فَضْلٌ فَيَحِلُّ لَهُ ذَلِكَ وَيَجُوزُ وَلَوْ اشْتَرَى مِنْهُ دَرَاهِمَ نُقَّصًا بِوَازِنَةٍ لَمْ يَحِلَّ ذَلِكَ وَلَوْ اشْتَرَطَ عَلَيْهِ حِينَ أَسْلَفَهُ وَازِنَةً وَإِنَّمَا أَعْطَاهُ نُقَّصًا لَمْ يَحِلَّ لَهُ ذَلِكَ
বর্ণনাকারী: