শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৮৮০
নামাযের অধ্যায়
সালাতুল খাওফ-এর বিবরণ
১৮৮০। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ….. উসমান ইবন আবু সাঈদ ইবন আবু রাফি' (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমাকে মুহাররির ইবন আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ইবন উমর (রাযিঃ)-এর নিকট প্রেরণ করেন। যেন আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করি যে, কোন ব্যক্তি যখন যুহরের সালাত নিজ গৃহে পড়ে নেয়, তারপর মসজিদে এসে দেখে লোকেরা সালাত পড়ছে এবং সে তাদের সাথে সালাত আদায় করে, তাহলে তার কোনটি (ফরয) সালাত হিসাবে গণ্য হবে ? ইবন উমর (রাযিঃ) বললেনঃ প্রথমটি-ই তার (ফরয) সালাত হিসাবে গণ্য হবে।
বস্তুত এ হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, ইবন উমর (রাযিঃ)-এর অভিমত হচ্ছে যে, দ্বিতীয় (সালাত)টি নফল হিসাবে গণ্য হবে। এতে বুঝা যাচ্ছে, সুলায়মান সূত্রে বর্ণিত হাদীসে তিনি যে সালাত ছেড়ে দিয়েছেন তা এজন্য যে, তা ছিল এরূপ সালাত, যার পরে নফল পড়া জায়িয নেই।
বস্তুত আবু বাকরা (রাযিঃ) এবং জাবির (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসের বিধানটি ছিলো প্রাথমিক যুগের যখন যেমনটি আমরা বর্ণনা করে এসেছি যে, ফরয আদায় করার পর তা পুনবার ফরয হিসাবে আদায় করা জায়িয ছিল। এজন্যই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উভয় দলকে নিয়ে তা (সালাতুল খাওফ) দু'বার আদায় করেছেন। আর এটি জায়িয হিসাবে বিবেচিত হতো যদি সে বিধান বহাল থাকত। কিন্তু যখন তিনি এক ফরযকে দু'বার পড়ার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তখন তা রহিত হয়ে যায়। অতএব সে অর্থ খণ্ডন হয়ে গেল যে, তিনি প্রত্যেক দলকে নিয়ে দু'রাক'আত আদায় করেছন এবং এরূপ আমল করাও রহিত হয়ে গেল । সুতরাং আবু বাকরা (রাহঃ) এবং জাবির (রাযিঃ)-এর হাদীস তাদের অনুকূলে দলীল রূপে সাব্যস্ত হতে পারবে না, উক্ত হাদীস দুটিতে সেই সম্ভাবনার কারণে যা আমরা উল্লেখ করে এসেছি।
বস্তুত এ হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, ইবন উমর (রাযিঃ)-এর অভিমত হচ্ছে যে, দ্বিতীয় (সালাত)টি নফল হিসাবে গণ্য হবে। এতে বুঝা যাচ্ছে, সুলায়মান সূত্রে বর্ণিত হাদীসে তিনি যে সালাত ছেড়ে দিয়েছেন তা এজন্য যে, তা ছিল এরূপ সালাত, যার পরে নফল পড়া জায়িয নেই।
বস্তুত আবু বাকরা (রাযিঃ) এবং জাবির (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসের বিধানটি ছিলো প্রাথমিক যুগের যখন যেমনটি আমরা বর্ণনা করে এসেছি যে, ফরয আদায় করার পর তা পুনবার ফরয হিসাবে আদায় করা জায়িয ছিল। এজন্যই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উভয় দলকে নিয়ে তা (সালাতুল খাওফ) দু'বার আদায় করেছেন। আর এটি জায়িয হিসাবে বিবেচিত হতো যদি সে বিধান বহাল থাকত। কিন্তু যখন তিনি এক ফরযকে দু'বার পড়ার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তখন তা রহিত হয়ে যায়। অতএব সে অর্থ খণ্ডন হয়ে গেল যে, তিনি প্রত্যেক দলকে নিয়ে দু'রাক'আত আদায় করেছন এবং এরূপ আমল করাও রহিত হয়ে গেল । সুতরাং আবু বাকরা (রাহঃ) এবং জাবির (রাযিঃ)-এর হাদীস তাদের অনুকূলে দলীল রূপে সাব্যস্ত হতে পারবে না, উক্ত হাদীস দুটিতে সেই সম্ভাবনার কারণে যা আমরা উল্লেখ করে এসেছি।
كتاب الصلاة
1880 - فَإِذَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَدْ حَدَّثَنَا , قَالَ: ثنا الْوَهْبِيُّ , قَالَ: ثنا الْمَاجِشُونُ , عَنْ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ , قَالَ: أَرْسَلَنِي مُحْرِزُ بْنُ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ إِلَى ابْنِ عُمَرَ أَسْأَلُهُ إِذَا صَلَّى الرَّجُلُ الظُّهْرَ فِي بَيْتِهِ ثُمَّ جَاءَ إِلَى الْمَسْجِدِ , وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ فَصَلَّى مَعَهُمْ , أَيَّتُهُمَا صَلَاتُهُ؟ فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: «صَلَاتُهُ الْأُولَى» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ قَدْ رَأَى أَنَّ الثَّانِيَةَ تَكُونُ تَطَوُّعًا فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ تَرْكَهُ لِلصَّلَاةِ فِي حَدِيثِ سُلَيْمَانَ إِنَّمَا كَانَ لِأَنَّهَا صَلَاةٌ لَا يَجُوزُ أَنْ يُتَطَوَّعَ بَعْدَهَا فَإِنْ كَانَتْ فِي حَدِيثِ أَبِي بَكْرَةَ وَجَابِرٍ اللَّذَيْنِ ذَكَرْنَا كَانَ أَوْلَى الْحُكْمِ مَا وَصَفْنَا أَنَّ مَنْ صَلَّى فَرِيضَةً جَازَ أَنْ يُعِيدَهَا فَتَكُونَ فَرِيضَةً فَلِذَلِكَ صَلَّاهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّتَيْنِ بِالطَّائِفَتَيْنِ , وَذَلِكَ هُوَ جَائِزٌ لَوْ بَقِيَ الْحُكْمُ عَلَى ذَلِكَ. فَأَمَّا إِذَا نُسِخَ فَنَهَى أَنْ تُصَلَّى فَرِيضَةٌ مَرَّتَيْنِ فَقَدِ ارْتَفَعَ ذَلِكَ الْمَعْنَى الَّذِي لَهُ صَلَّى بِكُلِّ طَائِفَةٍ رَكْعَتَيْنِ وَبَطَلَ الْعَمَلُ بِهِ. فَلَا حُجَّةَ لَهُمْ فِي حَدِيثِ أَبِي بَكْرَةَ , وَجَابِرٍ لِاحْتِمَالِهِمَا مَا ذَكَرْنَا