শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৮৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৮৭
নামাযের অধ্যায়
সালাতুল খাওফ-এর বিবরণ
১৮৮৬-১৮৮৭। সুলায়মান ইবন শু'আয়ব (রাহঃ) আ’রাজ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি উবায়দুল্লাহ ইবন আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাহঃ) কে বলতে শুনেছেন যে, ইবন আব্বাস (রাযিঃ) সালাতুল খাওফ সম্পর্কে বলতেন, এরপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন যা রাসূলুল্লাহ্ করেছেন, এবং যা আবু আইয়াশ (রাযিঃ) ও জাবির ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ)-এর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে এবং যেটি এর অনুকূলে রয়েছে।
বস্তুত যেহেতু ইবন আব্বাস (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর আমল সম্পর্কে উত্তমরূপে জ্ঞাত ছিলেন, যা ইবন আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে উবায়দুল্লাহ (রাহঃ)-এর হাদীসে আমরা রিওয়ায়াত করেছি তাই তিনি বলেছেন, মুরিকরা তাঁর এবং কিল্লা'র মাঝখানে ছিলো। তারপর রাবী বলেনঃ এটি তাঁর নিজস্ব অভিমত। এটি অসম্ভব ব্যাপার যে, তারা এভাবে (এক সাথে নিয়ত বেধে) সালাত পড়বে আর শত্রু থাকবে কিবলা ব্যতীত অন্য দিকে। আবার এটি-ও অসম্ভব যে, তারা এভাবে সালাত পড়বে যখন শত্রু থাকবে কিবলা অভিমুখে। যেমন ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে উবায়দুল্লাহ্ (রাহঃ)-রিওয়ায়াত করেছেন। যেহেতু শত্রু যখন কিবলা ব্যতীত অন্য দিকে মুসলমানদের পিঠের দিকে হয় তাহলে এরা কিবলা থেকে পিঠ ফিরাবেনা। অতএব শত্রু কিবলার দিকে হওয়ার সময়ে এর আগেই এরা কিবলা থেকে পিঠ ফিরাবে না । কিন্তু অর্থ সেটি-ই যা আমরা তাঁর থেকে উল্লেখ করেছি যে, যখন শত্রু কিবলা'র দিকে হবে তখন পৃষ্ঠ প্রদর্শন পরিত্যাগ করবে (এর প্রয়োজন নেই) আর এটিরও সম্ভবনা রয়েছে যে, যখন শত্রুও কিবলা ব্যতীত অন্য দিকে অবস্থান করবে, যেমনটি ইবন আবী লায়লা বলেছেন। অবশ্যই আমাদের ইলম (জ্ঞান) তার উক্তিকে বেষ্টন করে নিয়েছে। তবে সেই হাদীস ব্যতিক্রম যা তাঁর সূত্রে উবায়দুল্লাহ (রাহঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, শত্রু যখন কিবলা'র দিকে হবে তাহলে তাঁর থেকে বর্ণিত পূর্ববর্তী হাদীস মানসূখ (রহিত) প্রমাণিত হওয়ার পরেই তা বলা যেতে পারে। (অর্থাৎ উবায়দুল্লাহ্ ইবন আব্দুল্লাহ্ প্রমুখের রিওয়ায়াত মানসূখ)। আর শত্রু যখন কিবলা ব্যতীত অন্য দিকে হবে তাহলে তাদের রিওয়ায়াতসমূহ মানসূখ হবে না (বরং কুরআনের অনুকূলে হুকুম অবশিষ্ট থাকবে)। অতএব আমরা শত্রু কিবলা'র দিকে হওয়ার সময়ে জাবির (রাযিঃ) এবং আবু আইয়াশ (রাযিঃ) এর রিওয়ায়াত অনুযায়ী আমল করাকে উত্তম সাব্যস্ত করেছি। পক্ষান্তরে শত্রু কিবলা ব্যতীত অন্য দিকে হওয়ার সময়ে উবায়দুল্লাহ্ (রাহঃ) সূত্রে বর্ণিত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত-এর উপর আমল করে উক্ত হুকুম (এক সাথে নিয়ত বাধা) কে পরিত্যাগ করেছি।
আর অবশ্যই আবু ইউসুফ (রাহঃ) একবার বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পরে সালাতুল খাওফ পড়া হবে না এবং তিনি ধারণা করেছেন যে, লোকেরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পিছনে সালাত পড়ার ফযীলতের কারণে তা পড়েছেন।
বস্তুত এ উক্তি আমাদের নিকট কোনরূপ অর্থবহ নয়। যেহেতু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পরে তাঁর সাহাবীগণ অবশ্যই এটি পড়েছেন। হুযায়ফা (রাযিঃ) তবরিস্থানে সালাতুল খাওফ পড়েছেন। এ বিষয়ে এত রিওয়ায়াত প্রসিদ্ধি লাভ করেছে যে তা আমরা এখানে উল্লেখ করার প্রয়োজনবোধ করি না।
এ বিষয়ে যদি আল্লাহ্ তা'আলার বাণী দ্বারা দলীল পেশ করা হয়ঃ
وَإِذَا كُنْتَ فِيهِمْ فَأَقَمْتَ لَهُمُ الصَّلَاةَ
অর্থাৎ ঃ এবং তুমি যখন তাদের মধ্যে অবস্থান করবে ও তাদের সংগে সালাত কায়েম করবে।
এবং প্রশ্ন করা হয়ঃ আল্লাহ তা'আলা সালাতুল খাওফ-এর নির্দেশ দিয়েছেন যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মুসলমানদের মধ্যে বিদ্যমান ছিলেন। পক্ষান্তরে যখন তিনি তাদের মধ্যে নেই তাহলে নির্দেশিত সালাতুল খাওফের বিধান থাকল না।
তার উত্তরে বলা হবে যে, আল্লাহ্ তা'আলা এটাও তো বলেছেনঃ
خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيهِمْ بِهَا وَصَلِّ عَلَيْهِمْ
অর্থাৎ ঃ তাদের সম্পদ থেকে সাদাকা গ্রহণ করবে। এর দ্বারা তুমি তাদেরকে পবিত্র করবে এবং পরিশোধিত করবে। তুমি তাদের কে দু'আ করবে (৯ঃ ১০৩)।
বস্তুত এখানেও তাঁকে সম্বোধন করা হয়েছে। আর এ বিষয়ে যেমনিভাবে যাকাত আদায় তাঁর জীবদ্দশায় আবশ্যক ঠিক তেমনি তার ইনতিকালের পরেও তা আদায় করা ফরয। ঐকমত্য রয়েছে যে, একইভাবে সালাতুল খাওফ-এর আমল রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর জীবদ্দশায় যেমন প্রতিষ্ঠিত ছিলো অনুরূপভাবে তাঁর (ইন্তিকালের) পরেও এর উপর আমল অব্যাহত থাকবে।
আহমদ ইবন আবু ইমরান (রাহঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি আব্দুল্লাহ্ মুহাম্মাদ ইবন শুজা আল-ছালাযী (রাহঃ)-কে আবু ইউসুফ (রাহঃ)-এর উক্ত উক্তির সমালোচনা করতে শুনেছেন এবং তিনি বলতেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে সালাত পড়া যদিও সমস্ত লোকদের সাথে সালাত পড়া অপেক্ষা উত্তম; তবুও যেহেতু কারো জন্য সালাতে এরূপ কথা বলা জায়িয নেই, যা সালাতকে ছিন্ন করে দেয়। আর সালাতে এরূপ কাজ করা যা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ব্যতীত অন্যের সাথে সালাত পড়ার সময়ে জায়িয নেই সেটি-ই তাঁর সাথেও সালাতকে ছিন্নকারী না-জায়িয হিসাবে বিবেচিত হবে, যেমন সমস্ত উযূ ভঙ্গকারী কার্যকলাপ (হাদাস)।
যেমনিভাবে তাঁর আর পিছনে সালাতুল খাওফ-এর অবস্থায় আসা-যাওয়া, কিলাকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন সালাতকে ছিন্ন করে না তেমনিভাবে অন্যের পিছনেও অনুরূপ বিধান প্রযোজ্য হবে। (অতএব যেমনিভাবে সালাতুল খাওফ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সাথে জায়িয ছিলো অনুরূপভাবে অন্যদের সাথেও জায়িয হবে)।
বস্তুত যেহেতু ইবন আব্বাস (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর আমল সম্পর্কে উত্তমরূপে জ্ঞাত ছিলেন, যা ইবন আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে উবায়দুল্লাহ (রাহঃ)-এর হাদীসে আমরা রিওয়ায়াত করেছি তাই তিনি বলেছেন, মুরিকরা তাঁর এবং কিল্লা'র মাঝখানে ছিলো। তারপর রাবী বলেনঃ এটি তাঁর নিজস্ব অভিমত। এটি অসম্ভব ব্যাপার যে, তারা এভাবে (এক সাথে নিয়ত বেধে) সালাত পড়বে আর শত্রু থাকবে কিবলা ব্যতীত অন্য দিকে। আবার এটি-ও অসম্ভব যে, তারা এভাবে সালাত পড়বে যখন শত্রু থাকবে কিবলা অভিমুখে। যেমন ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে উবায়দুল্লাহ্ (রাহঃ)-রিওয়ায়াত করেছেন। যেহেতু শত্রু যখন কিবলা ব্যতীত অন্য দিকে মুসলমানদের পিঠের দিকে হয় তাহলে এরা কিবলা থেকে পিঠ ফিরাবেনা। অতএব শত্রু কিবলার দিকে হওয়ার সময়ে এর আগেই এরা কিবলা থেকে পিঠ ফিরাবে না । কিন্তু অর্থ সেটি-ই যা আমরা তাঁর থেকে উল্লেখ করেছি যে, যখন শত্রু কিবলা'র দিকে হবে তখন পৃষ্ঠ প্রদর্শন পরিত্যাগ করবে (এর প্রয়োজন নেই) আর এটিরও সম্ভবনা রয়েছে যে, যখন শত্রুও কিবলা ব্যতীত অন্য দিকে অবস্থান করবে, যেমনটি ইবন আবী লায়লা বলেছেন। অবশ্যই আমাদের ইলম (জ্ঞান) তার উক্তিকে বেষ্টন করে নিয়েছে। তবে সেই হাদীস ব্যতিক্রম যা তাঁর সূত্রে উবায়দুল্লাহ (রাহঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, শত্রু যখন কিবলা'র দিকে হবে তাহলে তাঁর থেকে বর্ণিত পূর্ববর্তী হাদীস মানসূখ (রহিত) প্রমাণিত হওয়ার পরেই তা বলা যেতে পারে। (অর্থাৎ উবায়দুল্লাহ্ ইবন আব্দুল্লাহ্ প্রমুখের রিওয়ায়াত মানসূখ)। আর শত্রু যখন কিবলা ব্যতীত অন্য দিকে হবে তাহলে তাদের রিওয়ায়াতসমূহ মানসূখ হবে না (বরং কুরআনের অনুকূলে হুকুম অবশিষ্ট থাকবে)। অতএব আমরা শত্রু কিবলা'র দিকে হওয়ার সময়ে জাবির (রাযিঃ) এবং আবু আইয়াশ (রাযিঃ) এর রিওয়ায়াত অনুযায়ী আমল করাকে উত্তম সাব্যস্ত করেছি। পক্ষান্তরে শত্রু কিবলা ব্যতীত অন্য দিকে হওয়ার সময়ে উবায়দুল্লাহ্ (রাহঃ) সূত্রে বর্ণিত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত-এর উপর আমল করে উক্ত হুকুম (এক সাথে নিয়ত বাধা) কে পরিত্যাগ করেছি।
আর অবশ্যই আবু ইউসুফ (রাহঃ) একবার বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পরে সালাতুল খাওফ পড়া হবে না এবং তিনি ধারণা করেছেন যে, লোকেরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পিছনে সালাত পড়ার ফযীলতের কারণে তা পড়েছেন।
বস্তুত এ উক্তি আমাদের নিকট কোনরূপ অর্থবহ নয়। যেহেতু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পরে তাঁর সাহাবীগণ অবশ্যই এটি পড়েছেন। হুযায়ফা (রাযিঃ) তবরিস্থানে সালাতুল খাওফ পড়েছেন। এ বিষয়ে এত রিওয়ায়াত প্রসিদ্ধি লাভ করেছে যে তা আমরা এখানে উল্লেখ করার প্রয়োজনবোধ করি না।
এ বিষয়ে যদি আল্লাহ্ তা'আলার বাণী দ্বারা দলীল পেশ করা হয়ঃ
وَإِذَا كُنْتَ فِيهِمْ فَأَقَمْتَ لَهُمُ الصَّلَاةَ
অর্থাৎ ঃ এবং তুমি যখন তাদের মধ্যে অবস্থান করবে ও তাদের সংগে সালাত কায়েম করবে।
এবং প্রশ্ন করা হয়ঃ আল্লাহ তা'আলা সালাতুল খাওফ-এর নির্দেশ দিয়েছেন যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মুসলমানদের মধ্যে বিদ্যমান ছিলেন। পক্ষান্তরে যখন তিনি তাদের মধ্যে নেই তাহলে নির্দেশিত সালাতুল খাওফের বিধান থাকল না।
তার উত্তরে বলা হবে যে, আল্লাহ্ তা'আলা এটাও তো বলেছেনঃ
خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيهِمْ بِهَا وَصَلِّ عَلَيْهِمْ
অর্থাৎ ঃ তাদের সম্পদ থেকে সাদাকা গ্রহণ করবে। এর দ্বারা তুমি তাদেরকে পবিত্র করবে এবং পরিশোধিত করবে। তুমি তাদের কে দু'আ করবে (৯ঃ ১০৩)।
বস্তুত এখানেও তাঁকে সম্বোধন করা হয়েছে। আর এ বিষয়ে যেমনিভাবে যাকাত আদায় তাঁর জীবদ্দশায় আবশ্যক ঠিক তেমনি তার ইনতিকালের পরেও তা আদায় করা ফরয। ঐকমত্য রয়েছে যে, একইভাবে সালাতুল খাওফ-এর আমল রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর জীবদ্দশায় যেমন প্রতিষ্ঠিত ছিলো অনুরূপভাবে তাঁর (ইন্তিকালের) পরেও এর উপর আমল অব্যাহত থাকবে।
আহমদ ইবন আবু ইমরান (রাহঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি আব্দুল্লাহ্ মুহাম্মাদ ইবন শুজা আল-ছালাযী (রাহঃ)-কে আবু ইউসুফ (রাহঃ)-এর উক্ত উক্তির সমালোচনা করতে শুনেছেন এবং তিনি বলতেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে সালাত পড়া যদিও সমস্ত লোকদের সাথে সালাত পড়া অপেক্ষা উত্তম; তবুও যেহেতু কারো জন্য সালাতে এরূপ কথা বলা জায়িয নেই, যা সালাতকে ছিন্ন করে দেয়। আর সালাতে এরূপ কাজ করা যা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ব্যতীত অন্যের সাথে সালাত পড়ার সময়ে জায়িয নেই সেটি-ই তাঁর সাথেও সালাতকে ছিন্নকারী না-জায়িয হিসাবে বিবেচিত হবে, যেমন সমস্ত উযূ ভঙ্গকারী কার্যকলাপ (হাদাস)।
যেমনিভাবে তাঁর আর পিছনে সালাতুল খাওফ-এর অবস্থায় আসা-যাওয়া, কিলাকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন সালাতকে ছিন্ন করে না তেমনিভাবে অন্যের পিছনেও অনুরূপ বিধান প্রযোজ্য হবে। (অতএব যেমনিভাবে সালাতুল খাওফ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সাথে জায়িয ছিলো অনুরূপভাবে অন্যদের সাথেও জায়িয হবে)।
كتاب الصلاة
1886 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ [ص:320] بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ صَالِحٍ الْهَاشِمِيُّ أَبُو بَكْرٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ لَهِيعَةَ عَنِ الْأَعْرَجِ أَنَّهُ سَمِعَ عُبَيْدَ اللهِ بْنَ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَقُولُ: «كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَقُولُ فِي صَلَاةِ الْخَوْفِ فَذَكَرَ مِثْلَ مَا فَعَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» فِي حَدِيثِ أَبِي عَيَّاشٍ وَحَدِيثِ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الَّذِي وَافَقَهُ. فَلَمَّا كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَدْ عَلِمَ مِنْ فِعْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا عَلِمَ عَلَى مَا رَوَيْنَا عَنْهُ فِي حَدِيثِ عُبَيْدِ اللهِ , وَقَالَ: كَانَ الْمُشْرِكُونَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ , ثُمَّ قَالَ هَذَا بِرَأْيِهِ اسْتَحَالَ أَنْ يَكُونَ يُصَلُّونَ هَكَذَا , وَالْعَدُوُّ فِي غَيْرِ الْقِبْلَةِ , وَيُصَلُّونَ إِذَا كَانَ الْعَدُوُّ فِي الْقِبْلَةِ. كَمَا رَوَى عَنْهُ عُبَيْدٌ. لِأَنَّهُمْ إِذَا كَانُوا لَا يَسْتَدْبِرُونَ الْقِبْلَةَ وَالْعَدُوُّ فِي ظُهُورِهِمْ , كَانَ أَحْرَى أَنْ لَا يَسْتَدْبِرُوهَا إِذَا كَانُوا فِي وُجُوهِهِمْ. وَلَكِنْ مَا ذَكَرْنَا عَنْهُ مِنْ تَرْكِ الِاسْتِدْبَارِ هُوَ إِذَا كَانَ الْعَدُوُّ فِي الْقِبْلَةِ. وَيُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ أَيْضًا كَذَلِكَ إِذَا كَانَ الْعَدُوُّ أَيْضًا فِي غَيْرِ الْقِبْلَةِ , كَمَا قَالَ ابْنُ أَبِي لَيْلَى. فَقَدْ أَحَاطَ عِلْمُنَا بِقَوْلِهِ بِخِلَافِ مَا رَوَى عَنْهُ عُبَيْدِ اللهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا كَانَ الْعَدُوُّ فِي الْقِبْلَةِ. وَلَمْ يَكُنْ لِيَقُولَ ذَلِكَ إِلَّا بَعْدَ ثُبُوتِ نَسْخِ ذَلِكَ عِنْدَهُ إِذَا كَانَ الْعَدُوُّ فِي غَيْرِ الْقِبْلَةِ فَجَعَلْنَا هَذَا الَّذِي رَوَيْنَاهُ عَنْهُ مِنْ قَوْلِهِ هُوَ , فِي الْعَدُوِّ إِذَا كَانُوا فِي الْقِبْلَةِ , وَتَرَكْنَا حُكْمَ الْعَدُوِّ إِذَا كَانُوا فِي غَيْرِ الْقِبْلَةِ , عَلَى مِثْلِ مَا رَوَى عَنْهُ عُبَيْدِ اللهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ كَانَ أَبُو يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ قَالَ مَرَّةً: لَا يُصَلَّى صَلَاةُ الْخَوْفِ بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَزَعَمَ أَنَّ النَّاسَ إِنَّمَا صَلَّوْهَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا صَلَّوْهَا لِفَضْلِ الصَّلَاةِ مَعَهُ , وَهَذَا الْقَوْلُ عِنْدَنَا لَيْسَ بِشَيْءٍ ; لِأَنَّ أَصْحَابَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ صَلَّوْهَا بَعْدَهُ , قَدْ صَلَّاهَا حُذَيْفَةُ , بِطَبَرِسْتَانَ , وَمَا فِي ذَلِكَ فَأَشْهَرُ مِنْ أَنْ يَحْتَاجَ إِلَى أَنْ نَذْكُرَهُ هَاهُنَا. فَإِنِ احْتَجَّ فِي ذَلِكَ بِقَوْلِهِ {وَإِذَا كُنْتَ فِيهِمْ فَأَقَمْتَ لَهُمُ الصَّلَاةَ} [النساء: 102] الْآيَةَ , فَقَالَ: إِنَّمَا أَمَرَ بِذَلِكَ , إِذَا كَانَ فِيهِمْ فَإِذَا لَمْ يَكُنْ فِيهِمْ , انْقَطَعَ مَا أَمَرَ بِهِ مِنْ ذَلِكَ. قِيلَ لَهُ: فَقَدْ قَالَ عَزَّ وَجَلَّ: {خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيهِمْ بِهَا وَصَلِّ عَلَيْهِمْ} [التوبة: 103] الْآيَةَ , فَكَانَ الْخِطَابُ هَاهُنَا لَهُ , وَقَدْ أَجْمَعَ أَنَّ ذَلِكَ كَانَ مَعْمُولًا بِهِ مِنْ بَعْدِهِ , كَمَا كَانَ يُعْمَلُ بِهِ فِي حَيَاتِهِ.
1887 - وَلَقَدْ حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ أَبِي عِمْرَانَ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا عَبْدِ اللهِ مُحَمَّدَ بْنَ شُجَاعٍ الثَّلْجِيَّ يَعِيبُ قَوْلَ أَبِي يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ هَذَا وَيَقُولُ: إِنَّ الصَّلَاةَ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنْ كَانَتْ أَفْضَلَ مِنَ الصَّلَاةِ مَعَ النَّاسِ جَمِيعًا فَإِنَّهُ لَا يَجُوزُ لِأَحَدٍ أَنْ يَتَكَلَّمَ فِيهَا بِكَلَامٍ يَقْطَعُهَا فَلَا يَنْبَغِي أَنْ يُفْعَلَ فِيهَا شَيْءٌ لَا يَفْعَلُهُ فِي الصَّلَاةِ مَعَ غَيْرِهِ وَأَنْ يَقْطَعَهَا مَا يَقْطَعُ الصَّلَاةَ خَلْفَ غَيْرِهِ مِنَ الْأَحْدَاثِ كُلِّهَا. فَلَمَّا كَانَتِ الصَّلَاةُ خَلْفَهُ لَا يَقْطَعُهَا الذَّهَابُ وَالْمَجِيءُ وَاسْتِدْبَارُ الْقِبْلَةِ إِذَا كَانَتْ صَلَاةَ خَوْفٍ كَانَتْ خَلْفَ غَيْرِهِ كَذَلِكَ أَيْضًا
1887 - وَلَقَدْ حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ أَبِي عِمْرَانَ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا عَبْدِ اللهِ مُحَمَّدَ بْنَ شُجَاعٍ الثَّلْجِيَّ يَعِيبُ قَوْلَ أَبِي يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ هَذَا وَيَقُولُ: إِنَّ الصَّلَاةَ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنْ كَانَتْ أَفْضَلَ مِنَ الصَّلَاةِ مَعَ النَّاسِ جَمِيعًا فَإِنَّهُ لَا يَجُوزُ لِأَحَدٍ أَنْ يَتَكَلَّمَ فِيهَا بِكَلَامٍ يَقْطَعُهَا فَلَا يَنْبَغِي أَنْ يُفْعَلَ فِيهَا شَيْءٌ لَا يَفْعَلُهُ فِي الصَّلَاةِ مَعَ غَيْرِهِ وَأَنْ يَقْطَعَهَا مَا يَقْطَعُ الصَّلَاةَ خَلْفَ غَيْرِهِ مِنَ الْأَحْدَاثِ كُلِّهَا. فَلَمَّا كَانَتِ الصَّلَاةُ خَلْفَهُ لَا يَقْطَعُهَا الذَّهَابُ وَالْمَجِيءُ وَاسْتِدْبَارُ الْقِبْلَةِ إِذَا كَانَتْ صَلَاةَ خَوْفٍ كَانَتْ خَلْفَ غَيْرِهِ كَذَلِكَ أَيْضًا