শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
১১. শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
হাদীস নং: ৫০৫২
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
৬. কোন মু'মিন কাফিরকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করা প্রসঙ্গ
৫০৫২। ইবরাহীম ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ….. নাযাল ইব্ন সাবরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক মুসলমান এক ব্যক্তি (কাফির)-কে হত্যা করেছে। তার ভাই উমার (রাযিঃ)-এর দরবারে গেলে তিনি লিখে দিলেন যে, তাকে (হত্যাকারী) হত্যা করা হবে। তাঁরা (সাহাবাগণ) বলতে লাগলেন, হে যুবায়র! তাকে হত্যা কর। তিনি বললেন, থামুন! আমাকে রাগান্বিত হতে দিন। রাবী বলেন, অনন্তর উমার (রাযিঃ) লিখলেন যে, তার দিয়াত দেয়া হবে এবং (হত্যাকারীকে) হত্যা করা হবে না।
দেখুন ওমর (রাযিঃ)-এর মতেও মুসলমানকে কাফিরের বদলায় হত্যা করা হবে এবং তিনি এ বিষয়টি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর সাহাবাদের উপস্থিতিতে তাঁর প্রশাসকদেরকে লিখেছেন। কিন্তু তাঁদের কেউ এ ব্যাপারে তাঁর প্রতিবাদ করেন নাই। তাই আমাদের মতে এটা তাদের (সাহাবা) পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাঁর অনুসরণ ছিল এবং এরপর তাঁর লিখা যে, “তাকে হত্যা করা হবে না” সম্ভবত তিনি হত্যার ধরন সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর তার হত্যাকে মুবাহ বা বৈধ মনে করেন নাই এবং এটাকে হয়ত সন্দেহযুক্ত হত্যা সাব্যস্ত করেছেন, যার ভিত্তিতে তিনি হত্যা থেকে বিরত থেকেছেন। আর তাকে সেই শাস্তি প্রদান করেছেন যা ইচ্ছাকৃত হত্যায় সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ার অবস্থায় ওয়াজিব হয়, তা হলাে দিয়াত।
মদীনাবাসী আলিমগণ বলেন, যখন কোন মুসলমান কোন যিম্মীকে তার সম্পদ আত্মসাৎ করার নিমিত্ত প্রতারণা করে হত্যা করে তাহলে তাকে তার বদলায় হত্যা করা হবে যখন তাদের মতে এটা নবী(ﷺ) -এর এই বাণী থেকে বহির্ভূত যে, “মুসলমানকে কাফিরের বদলায় হত্যা করা হবে না। তাই তােমরা স্বীয় বিরােধীদের ওই কথার উপর প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না যে, যিম্মী যার সাথে চুক্তি রয়েছে সে তাঁর এই বাণী থেকে বহির্ভূত যে, “মুসলমানকে কাফিরের বদলায় হত্যা করা হবেনা।” নবী(ﷺ) ওটাকে কোন কাফিরের সঙ্গে শর্ত করেন নাই। তাই যেভাবে তারা এই হুকুম থেকে এই কাফিরকে বের করে দিয়েছেন যার সম্পদ ছিনতাইর ইচ্ছা করা হয়েছে; তাদের বিরােধীদেরও এ কথার অধিকার থাকবে যে, সেই সমস্ত লােকদেরকে বের করে দিবে, যাদের সঙ্গে চুক্তি বহাল রাখা ওয়াজিব (যিম্মীকে)।
দেখুন ওমর (রাযিঃ)-এর মতেও মুসলমানকে কাফিরের বদলায় হত্যা করা হবে এবং তিনি এ বিষয়টি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর সাহাবাদের উপস্থিতিতে তাঁর প্রশাসকদেরকে লিখেছেন। কিন্তু তাঁদের কেউ এ ব্যাপারে তাঁর প্রতিবাদ করেন নাই। তাই আমাদের মতে এটা তাদের (সাহাবা) পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাঁর অনুসরণ ছিল এবং এরপর তাঁর লিখা যে, “তাকে হত্যা করা হবে না” সম্ভবত তিনি হত্যার ধরন সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর তার হত্যাকে মুবাহ বা বৈধ মনে করেন নাই এবং এটাকে হয়ত সন্দেহযুক্ত হত্যা সাব্যস্ত করেছেন, যার ভিত্তিতে তিনি হত্যা থেকে বিরত থেকেছেন। আর তাকে সেই শাস্তি প্রদান করেছেন যা ইচ্ছাকৃত হত্যায় সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ার অবস্থায় ওয়াজিব হয়, তা হলাে দিয়াত।
মদীনাবাসী আলিমগণ বলেন, যখন কোন মুসলমান কোন যিম্মীকে তার সম্পদ আত্মসাৎ করার নিমিত্ত প্রতারণা করে হত্যা করে তাহলে তাকে তার বদলায় হত্যা করা হবে যখন তাদের মতে এটা নবী(ﷺ) -এর এই বাণী থেকে বহির্ভূত যে, “মুসলমানকে কাফিরের বদলায় হত্যা করা হবে না। তাই তােমরা স্বীয় বিরােধীদের ওই কথার উপর প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না যে, যিম্মী যার সাথে চুক্তি রয়েছে সে তাঁর এই বাণী থেকে বহির্ভূত যে, “মুসলমানকে কাফিরের বদলায় হত্যা করা হবেনা।” নবী(ﷺ) ওটাকে কোন কাফিরের সঙ্গে শর্ত করেন নাই। তাই যেভাবে তারা এই হুকুম থেকে এই কাফিরকে বের করে দিয়েছেন যার সম্পদ ছিনতাইর ইচ্ছা করা হয়েছে; তাদের বিরােধীদেরও এ কথার অধিকার থাকবে যে, সেই সমস্ত লােকদেরকে বের করে দিবে, যাদের সঙ্গে চুক্তি বহাল রাখা ওয়াজিব (যিম্মীকে)।
كتاب الحدود و الجنايات
5052 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا وَهْبٌ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَيْسَرَةَ عَنِ النَّزَّالِ بْنِ سَبْرَةَ قَالَ: قَتَلَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ رَجُلًا مِنَ الْعِبَادِ فَذَهَبَ أَخُوهُ إِلَى عُمَرَ فَكَتَبَ عُمَرُ أَنْ يُقْتَلَ فَجَعَلُوا يَقُولُونَ: اقْتُلْ جُبَيْرُ فَيَقُولُ حَتَّى يَجِيءَ الْغَيْظُ قَالَ: فَكَتَبَ عُمَرُ أَنْ يُودِي وَلَا يُقْتَلَ فَهَذَا عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ رَأَى أَيْضًا أَنْ يُقْتَلَ الْمُسْلِمُ بِالْكَافِرِ، وَكَتَبَ بِهِ إِلَى عَامِلِهِ بِحَضْرَةِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يُنْكِرْهُ عَلَيْهِ مِنْهُمْ مُنْكِرٌ. فَهَذَا - عِنْدَنَا - مِنْهُمْ عَلَى الْمُتَابَعَةِ مِنْهُمْ لَهُ عَلَى ذَلِكَ وَكِتَابُهُ بَعْدَ هَذَا لَا يُقْتَلُ فَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ كَانَ مِنْهُ عَلَى أَنَّهُ كَرِهَ أَنْ يُبِيحَهُ دَمَهُ لَمَا كَانَ مِنْ وُقُوفِهِ عَنْ قَتْلِهِ وَجَعَلَ ذَلِكَ شُبْهَةَ مَنْعِهِ بِهَا مِنَ الْقَتْلِ وَجَعَلَ لَهُ مَا يُجْعَلُ فِي الْقَتْلِ الْعَمْدِ الَّذِي تَدْخُلُهُ شُبْهَةٌ وَهُوَ الدِّيَةُ. وَقَدْ قَالَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ إِنَّ الْمُسْلِمَ إِذَا قَتَلَ الذِّمِّيَّ قَتْلَ غِيلَةٍ عَلَى مَالِهِ أَنَّهُ يُقْتَلُ بِهِ. فَإِذَا كَانَ هَذَا عِنْدَهُمْ خَارِجًا مِنْ قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَا يُقْتَلُ مُسْلِمٌ بِكَافِرٍ؟» وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَشْتَرِطْ مِنَ الْكُفَّارِ أَحَدًا. فَكَمَا كَانَ لَهُمْ أَنْ يُخْرِجُوا مِنَ الْكُفَّارِ مَنْ أُرِيدَ مَالُهُ كَانَ لِمُخَالِفِيهِمْ أَنْ يَخْرُجَ أَيْضًا مَنْ وَجَبَتْ ذِمَّتُهُ