আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫৪- তালাক - ডিভোর্স অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৮৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৭৪ - ৫২৭৫
- তালাক - ডিভোর্স অধ্যায়
২৭৮০. খোলার বর্ণনা এবং তালাক হওয়ার নিয়ম।
মহান আল্লাহর বাণীঃ “তোমরা নারীদের যা দিয়েছ তা থেকে কিছু গ্রহণ করা তোমাদের জন্য হালাল হবে না ....... অত্যাচারী পর্যন্ত।’’
উমর (রাযিঃ) কাযীর অনুমতি ছাড়া খুলাকে বৈধ বলেছেন।
উসমান (রাযিঃ) মাথার বেণী ছাড়া অন্য সব কিছুর পরিবর্তে খুলা’ করার অনুমতি দিয়েছেন।
তাউস (রাহঃ) বলেন, যদি তারা উভয় আল্লাহর সীমা ঠিক না রাখতে পারার আশঙ্কা করে অর্থাৎ সংসার জীবনে তাদের প্রত্যেকের উপর যে দায়িত্ব আল্লাহ্ অর্পণ করেছেন সে ব্যপারে তিনি বোকাদের মাঝে একথা বলেননি যে, খুলা ততক্ষণ বৈধ হবে না, যতক্ষণ না মহিলা তাকে সহবাস থেকে বাধা দিবে
মহান আল্লাহর বাণীঃ “তোমরা নারীদের যা দিয়েছ তা থেকে কিছু গ্রহণ করা তোমাদের জন্য হালাল হবে না ....... অত্যাচারী পর্যন্ত।’’
উমর (রাযিঃ) কাযীর অনুমতি ছাড়া খুলাকে বৈধ বলেছেন।
উসমান (রাযিঃ) মাথার বেণী ছাড়া অন্য সব কিছুর পরিবর্তে খুলা’ করার অনুমতি দিয়েছেন।
তাউস (রাহঃ) বলেন, যদি তারা উভয় আল্লাহর সীমা ঠিক না রাখতে পারার আশঙ্কা করে অর্থাৎ সংসার জীবনে তাদের প্রত্যেকের উপর যে দায়িত্ব আল্লাহ্ অর্পণ করেছেন সে ব্যপারে তিনি বোকাদের মাঝে একথা বলেননি যে, খুলা ততক্ষণ বৈধ হবে না, যতক্ষণ না মহিলা তাকে সহবাস থেকে বাধা দিবে
৪৮৯৫। ইসহাক ওয়াসিতী (রাহঃ) ......... ‘আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের ভগ্নী থেকেও উক্ত হাদীসটি বর্ণিত। তাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তুমি কি তার বাগানটি ফিরিয়ে দেবে? মহিলা বললঃ হ্যাঁ। পরে সে বাগানটি ফেরত দিল, আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে তালাক দেওয়ার জন্য তার স্বামীকে নির্দেশ দিলেন।
ইবরাহীম ইবনে তাহমান খালিদ থেকে, তিনি ইকরিমা থেকে তিনি নবী (ﷺ) থেকে “তাকে তালাক দাও” কথাটিও বর্ণনা করেছেন।
অন্য বর্ণনায় ইবনে আবু তামীমা ইকরিমা সূত্রে ইবনে ‘আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেনঃ সাবিত ইবনে কায়স (রাযিঃ) -এর স্ত্রী রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট এসে বললঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ সাবিতের দ্বীনদারী ও চরিত্র সম্পর্কে আমি কোন দোষ দিচ্ছি না তবে আমি তার সাথে সংসার জীবন যাপন করতে পারছি না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি তার বাগানটি ফিরিয়ে দেবে? সে বললঃ হ্যাঁ।
ইবরাহীম ইবনে তাহমান খালিদ থেকে, তিনি ইকরিমা থেকে তিনি নবী (ﷺ) থেকে “তাকে তালাক দাও” কথাটিও বর্ণনা করেছেন।
অন্য বর্ণনায় ইবনে আবু তামীমা ইকরিমা সূত্রে ইবনে ‘আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেনঃ সাবিত ইবনে কায়স (রাযিঃ) -এর স্ত্রী রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট এসে বললঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ সাবিতের দ্বীনদারী ও চরিত্র সম্পর্কে আমি কোন দোষ দিচ্ছি না তবে আমি তার সাথে সংসার জীবন যাপন করতে পারছি না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি তার বাগানটি ফিরিয়ে দেবে? সে বললঃ হ্যাঁ।
كتاب الطلاق
باب الْخُلْعِ وَكَيْفَ الطَّلاَقُ فِيهِ
وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَلاَ يَحِلُّ لَكُمْ أَنْ تَأْخُذُوا مِمَّا آتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا} إِلَى قَوْلِهِ: {الظَّالِمُونَ} وَأَجَازَ عُمَرُ الْخُلْعَ دُونَ السُّلْطَانِ، وَأَجَازَ عُثْمَانُ الْخُلْعَ دُونَ عِقَاصِ رَأْسِهَا. وَقَالَ طَاوُسٌ: {إِلاَّ أَنْ يَخَافَا أَنْ لاَ يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ} فِيمَا افْتَرَضَ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا عَلَى صَاحِبِهِ فِي الْعِشْرَةِ وَالصُّحْبَةِ، وَلَمْ يَقُلْ قَوْلَ السُّفَهَاءِ لاَ يَحِلُّ. حَتَّى تَقُولَ لاَ أَغْتَسِلُ لَكَ مِنْ جَنَابَةٍ
وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَلاَ يَحِلُّ لَكُمْ أَنْ تَأْخُذُوا مِمَّا آتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا} إِلَى قَوْلِهِ: {الظَّالِمُونَ} وَأَجَازَ عُمَرُ الْخُلْعَ دُونَ السُّلْطَانِ، وَأَجَازَ عُثْمَانُ الْخُلْعَ دُونَ عِقَاصِ رَأْسِهَا. وَقَالَ طَاوُسٌ: {إِلاَّ أَنْ يَخَافَا أَنْ لاَ يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ} فِيمَا افْتَرَضَ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا عَلَى صَاحِبِهِ فِي الْعِشْرَةِ وَالصُّحْبَةِ، وَلَمْ يَقُلْ قَوْلَ السُّفَهَاءِ لاَ يَحِلُّ. حَتَّى تَقُولَ لاَ أَغْتَسِلُ لَكَ مِنْ جَنَابَةٍ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، أَنَّ أُخْتَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَىٍّ، بِهَذَا، وَقَالَ " تَرُدِّينَ حَدِيقَتَهُ ". قَالَتْ نَعَمْ. فَرَدَّتْهَا وَأَمَرَهُ يُطَلِّقْهَا. وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ عَنْ خَالِدٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَطَلِّقْهَا.
وَعَنِ ابْنِ أَبِي تَمِيمَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ جَاءَتِ امْرَأَةُ ثَابِتِ بْنِ قَيْسٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي لاَ أَعْتُبُ عَلَى ثَابِتٍ فِي دِينٍ وَلاَ خُلُقٍ، وَلَكِنِّي لاَ أُطِيقُهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَتَرُدِّينَ عَلَيْهِ حَدِيقَتَهُ ". قَالَتْ نَعَمْ.
وَعَنِ ابْنِ أَبِي تَمِيمَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ جَاءَتِ امْرَأَةُ ثَابِتِ بْنِ قَيْسٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي لاَ أَعْتُبُ عَلَى ثَابِتٍ فِي دِينٍ وَلاَ خُلُقٍ، وَلَكِنِّي لاَ أُطِيقُهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَتَرُدِّينَ عَلَيْهِ حَدِيقَتَهُ ". قَالَتْ نَعَمْ.