শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা
হাদীস নং: ৭২৭৬
মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা
কাফিরদেরকে সালাম দেয়া
৭২৭৬। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) .... উসামা ইবন যায়দ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এমন একটি মজলিসের পাশ দিয়ে গমন করেছিলেন সেখানে ছিল মুসলমান, ইয়াহূদী. মুশরিক ও পৌত্তলিকদের সংমিশ্রণ । তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে সালাম দিলেন।
আবু জা'ফর তাহাবী রে) বলেন, একদল আলিমের মতে কাফিরদেরকে প্রথমে সালাম দেয়ার মধ্যে কোন ক্ষতি নেই। তারা উপরোক্ত হাদীস দ্বারা এ সম্পর্কে দলীল পেশ করেন। অন্য একদল আলিম এ সম্পর্কে তাদের বিরোধিতা করেন। তারা তাদেরকে প্রথমে সালাম দেয়া অপসন্দ করেন। তবে তারা বলেন, কাফিররা যদি প্রথমে সালাম দেয় তাহলে তাদের উত্তর দেয়ায় কোন ক্ষতি নেই। তাদের এ সম্পর্কে দলীল হল নিম্নরূপ:
আবু জা'ফর তাহাবী রে) বলেন, একদল আলিমের মতে কাফিরদেরকে প্রথমে সালাম দেয়ার মধ্যে কোন ক্ষতি নেই। তারা উপরোক্ত হাদীস দ্বারা এ সম্পর্কে দলীল পেশ করেন। অন্য একদল আলিম এ সম্পর্কে তাদের বিরোধিতা করেন। তারা তাদেরকে প্রথমে সালাম দেয়া অপসন্দ করেন। তবে তারা বলেন, কাফিররা যদি প্রথমে সালাম দেয় তাহলে তাদের উত্তর দেয়ায় কোন ক্ষতি নেই। তাদের এ সম্পর্কে দলীল হল নিম্নরূপ:
كتاب الكراهة
بَابُ السَّلَامِ عَلَى أَهْلِ الْكُفْرِ
7276 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ رُومِيٍّ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ ثَوْرٍ قَالَ: ثنا مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ بِمَجْلِسٍ فِيهِ أَخْلَاطٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ , وَالْيَهُودِ , وَالْمُشْرِكِينَ مِنْ عَبَدَةِ الْأَوْثَانِ , فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّهُ لَا بَأْسَ أَنْ يُبْتَدَأَ أَهْلُ الْكُفْرِ بِالسَّلَامِ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَكَرِهُوا أَنْ يُبْتَدَءُوا بِالسَّلَامِ , وَقَالُوا لَا بَأْسَ بِأَنْ يُرَدَّ عَلَيْهِمْ إِذَا سَلَّمُوا. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
যদি এমন কোনও স্থানে যাওয়া হয়, যেখানে মুসলিম-অমুসলিম বিভিন্ন শ্রেণির লোক আছে, তবে সালাম দেওয়া হবে কি না? আলোচ্য হাদীছটিতে তার উত্তর পাওয়া যায়। একবার নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরকম একটি মজলিসের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে মজলিসে মুসলিম, ইহুদি ও অগ্নিপূজারী তিনও শ্রেণির লোক ছিল।
কোনও কোনও বর্ণনায় আছে, তিনি যাচ্ছিলেন হযরত সা'দ ইবন উবাদা রাযি.-কে দেখতে। তিনি অসুস্থ ছিলেন। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মজলিসটির নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত লোকদের সালাম দিলেন। বলাবাহুল্য তাঁর সে সালামের লক্ষ্যবস্তু ছিল মুসলিমগণ। কেননা অমুসলিমদের সালাম দেওয়া যায় না। হাদীসে আছে- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা ইহুদি ও নাসারাকে আগে সালাম দিয়ো না। (সহীহ মুসলিম : : ২১৬৭; জামে তিরমিযী : ২৭০০; মুসনাদে আহমাদ: ৮৫৪০; মুসনাদুল ববযার: ৯০৫২; তহাবী, শারহু মা'আনিল আছার: ৭২৬০; বায়হাকী, শু'আবুল ঈমান : ৮৫১২)
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. যেখানে মুসলিম-অমুসলিম সবরকম লোক থাকে, সেরকম জায়গায় গেলে সালাম দেওয়া চাই। তাতে লক্ষ্যবস্তু থাকবে মুসলিমগণ।
খ. প্রয়োজনে অমুসলিমদের সঙ্গে এক মজলিসে উপস্থিত থাকা যেতে পারে। তবে সতর্ক থাকতে হবে যাতে নিজের উপর তাদের কোনও প্রভাব না পড়ে।
কোনও কোনও বর্ণনায় আছে, তিনি যাচ্ছিলেন হযরত সা'দ ইবন উবাদা রাযি.-কে দেখতে। তিনি অসুস্থ ছিলেন। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মজলিসটির নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত লোকদের সালাম দিলেন। বলাবাহুল্য তাঁর সে সালামের লক্ষ্যবস্তু ছিল মুসলিমগণ। কেননা অমুসলিমদের সালাম দেওয়া যায় না। হাদীসে আছে- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা ইহুদি ও নাসারাকে আগে সালাম দিয়ো না। (সহীহ মুসলিম : : ২১৬৭; জামে তিরমিযী : ২৭০০; মুসনাদে আহমাদ: ৮৫৪০; মুসনাদুল ববযার: ৯০৫২; তহাবী, শারহু মা'আনিল আছার: ৭২৬০; বায়হাকী, শু'আবুল ঈমান : ৮৫১২)
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. যেখানে মুসলিম-অমুসলিম সবরকম লোক থাকে, সেরকম জায়গায় গেলে সালাম দেওয়া চাই। তাতে লক্ষ্যবস্তু থাকবে মুসলিমগণ।
খ. প্রয়োজনে অমুসলিমদের সঙ্গে এক মজলিসে উপস্থিত থাকা যেতে পারে। তবে সতর্ক থাকতে হবে যাতে নিজের উপর তাদের কোনও প্রভাব না পড়ে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)