আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
১- পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৬
- পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
শিশুর পেশাব ধুয়ে ফেলা প্রয়োজন
৩৬। মিহসান-কন্যা উম্মে কায়েস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তার একটি শিশু পুত্রসহ রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে আসলেন। সে তখনো শক্ত খাবার ধরেনি। নবী ﷺ তাকে নিজের কোলে নিলেন। সে তার পরনের কাপড়ে পেশাব করে দিলো। তিনি পানি নিয়ে ডাকলেন, অতঃপর কাপড়ে পানি ছিটিয়ে দিলেন, কিন্তু তা ধুলেন না।*
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, ছেলে শিশু শক্ত খাবার খেতে অভ্যস্ত না হয়ে থাকলে তার পেশাব ধোয়ার ব্যাপারে বিধানের শিথিলতা আছে। আর শিশু কন্যা সন্তান হলে তার পেশাব ধোয়ার নির্দেশ রয়েছে। আমাদের মতে উভয়ের পেশাব ধুয়ে পরিষ্কার করাই উত্তম। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর বক্তব্যও তাই।
* উল্লেখিত হাদীসে 'নাদাহ' এসেছে, যার অর্থ 'পানি ছিটানো'ও হতে পারে এবং 'ধুয়ে ফেলা' ও হতে পারে। ইমাম শাফিঈ ও অপরাপর ইমামগণ প্রথম অর্থ গ্রহণ করেছেন। অর্থাৎ পানি ছিটিয়ে দিলেই কাপড় পাক হয়ে যাবে। কিন্তু আবু হানীফা (রাহঃ) দ্বিতীয় অর্থ গ্রহণ করেছেন। অর্থাৎ কেবল পানি ছিটিয়ে দিলেই কাপড় পাক হবে না, বরং তা ধুয়ে নিতে হবে। যেমন তিরমিযীর হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ 'ফানদাহ' ওয়া তাওয়াদ্দা'-এর অর্থ ধুয়ে ফেলা এবং এ সম্পর্কে ঐক্যমত রয়েছে। আর ওয়ালাম'ইয়াগসিলহু'-এর অর্থ তিনি অত্যধিক পরিমাণে ধৌত করেননি। দুগ্ধপোষ্য শিশুর বেলায়ই এ মতবিরোধ। কিন্তু শিশু যখন শক্ত খাবার ধরবে তখন সব আলেমের মতেই কাপড় ধুয়ে নিতে হবে, শুধু পানি ছিটিয়ে দিলে তা পাক হবে না (অনুবাদক)।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, ছেলে শিশু শক্ত খাবার খেতে অভ্যস্ত না হয়ে থাকলে তার পেশাব ধোয়ার ব্যাপারে বিধানের শিথিলতা আছে। আর শিশু কন্যা সন্তান হলে তার পেশাব ধোয়ার নির্দেশ রয়েছে। আমাদের মতে উভয়ের পেশাব ধুয়ে পরিষ্কার করাই উত্তম। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর বক্তব্যও তাই।
* উল্লেখিত হাদীসে 'নাদাহ' এসেছে, যার অর্থ 'পানি ছিটানো'ও হতে পারে এবং 'ধুয়ে ফেলা' ও হতে পারে। ইমাম শাফিঈ ও অপরাপর ইমামগণ প্রথম অর্থ গ্রহণ করেছেন। অর্থাৎ পানি ছিটিয়ে দিলেই কাপড় পাক হয়ে যাবে। কিন্তু আবু হানীফা (রাহঃ) দ্বিতীয় অর্থ গ্রহণ করেছেন। অর্থাৎ কেবল পানি ছিটিয়ে দিলেই কাপড় পাক হবে না, বরং তা ধুয়ে নিতে হবে। যেমন তিরমিযীর হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ 'ফানদাহ' ওয়া তাওয়াদ্দা'-এর অর্থ ধুয়ে ফেলা এবং এ সম্পর্কে ঐক্যমত রয়েছে। আর ওয়ালাম'ইয়াগসিলহু'-এর অর্থ তিনি অত্যধিক পরিমাণে ধৌত করেননি। দুগ্ধপোষ্য শিশুর বেলায়ই এ মতবিরোধ। কিন্তু শিশু যখন শক্ত খাবার ধরবে তখন সব আলেমের মতেই কাপড় ধুয়ে নিতে হবে, শুধু পানি ছিটিয়ে দিলে তা পাক হবে না (অনুবাদক)।
أبواب الطهارة
بَابُ: الْغُسْلِ مِنْ بَوْلِ الصَّبِيِّ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أُمِّ قَيْسٍ بِنْتِ مِحْصَنٍ: «أَنَّهَا جَاءَتْ بِابْنٍ لَهَا صَغِيرٍ لَمْ يَأْكُلِ الطَّعَامَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَوَضَعَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حُجْرِهِ، فَبَالَ عَلَى ثَوْبِهِ، فَدَعَا بِمَاءٍ، فَنَضَحَ عَلَيْهِ وَلَمْ يَغْسِلْهُ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: قَدْ جَاءَتْ رُخْصَةٌ فِي بَوْلِ الْغُلامِ إِذَا كَانَ لَمْ يَأْكُلِ الطَّعَامَ، وَأَمَرَ بِغَسْلِ بَوْلِ الْجَارِيَةِ، وَغَسْلُهُمَا جَمِيعًا أَحَبُّ إِلَيْنَا وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ