মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
১. ঈমান-আকাঈদ অধ্যায়
হাদীস নং: ১২
ঈমান-আকাঈদ অধ্যায়
মুমিন অনন্তকালের জন্য জাহান্নামী হবে না
১২। হযরত হুযায়ফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, ইসলাম এভাবে মিটে যাবে যেভাবে কাপড়ের নকশা মিটে যায়। একজন অতিশয় বৃদ্ধ বাকী থাকবেন। তিনি বলবেন, অতীতকালে এক জাতি ছিল যারা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' বলত, কিন্তু সে নিজে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে না। উপস্থিত লোকদের মধ্য হতে সিলাহ্ ইবনে যায়দ বললেন, হে আব্দুল্লাহ্ ! লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বললে তার কি লাভ হবে? তারা নামায পড়ে না, রোযা রাখে না, হজ্জ আদায় করে না, যাকাত প্রদান করে না। হযরত হুযায়ফা (রাযিঃ) বললেন, সে তার ঈমানের দ্বারা দোযখের আগুন থেকে মুক্তিলাভ করবে।
كتاب الإيمان والإسلام والقدر والشفاعة
أَبِي مَالِكٍ الْأَشْجَعِيِّ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ خِرَاشٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ: " يَدْرُسُ الْإِسْلَامُ كَمَا يَدْرُسُ وَشْيُ الثَّوْبِ، وَلَا يَبْقَى إِلَّا شَيْخٌ كَبِيرٌ، أَوْ عَجُوزٌ فَانِيَةٌ، يَقُولُونَ: قَدْ كَانَ قَوْمٌ يَقُولُونَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَهُمْ مَا يَقُولُونَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، قَالَ: فَقَالَ صِلَةُ بْنُ زُفَرَ: فَمَا يُغْنِي عَنْهُمْ يَا عَبْدَ اللَّهِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَهُمْ لَا يَصُومُونَ، وَلَا يُصَلُّونَ، وَلَا يَحُجُّونَ، وَلَا يَتَصَدَّقُونَ، قَالَ: يَنْجُونَ بِهَا مِنَ النَّارِ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
আহমদ, মুসলিম ও তিরমিযী হযরত আনাস (রা)-এর মাধ্যমে হযরত (সা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেনঃ কিয়ামত ঐ সময় সংঘটিত হবে যখন একটি লোকও আল্লাহ্ উচ্চারণকারী থাকবে না। এছাড়া আহমদ ও মুসলিমের অপর একটি বর্ণনায় আছে, সবচেয়ে অভদ্র ও দুষ্ট প্রকৃতির লোকদের যুগে কিয়ামত সংঘটিত হবে। হাকিম আবূ সাঈদ (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, কিয়ামত ঐ সময় সংঘটিত হবে যখন বায়তুল্লাহ্ শরীফে হজ্জ আদায় করার মত কোন লোক বাকী থাকবে না।
পূর্ববর্তী হাদীসেও ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, তাওহীদ ও রিসালতের প্রতি ঈমানের কারণে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামবাসী হওয়া থেকে মুক্তিলাভ করা যাবে; কিন্তু বদ আমলের জন্য শাস্তি ভোগ করতে হবে। অথবা হুযূর (সা)-এর শাফাআতের কারণে আল্লাহ মার্জনা করে দিবেন।
পূর্ববর্তী হাদীসেও ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, তাওহীদ ও রিসালতের প্রতি ঈমানের কারণে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামবাসী হওয়া থেকে মুক্তিলাভ করা যাবে; কিন্তু বদ আমলের জন্য শাস্তি ভোগ করতে হবে। অথবা হুযূর (সা)-এর শাফাআতের কারণে আল্লাহ মার্জনা করে দিবেন।
বর্ণনাকারী: