মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

৬. রোযার অধ্যায়

হাদীস নং: ২০৩
রোযার অধ্যায়
রোযার ফযীলত
২০৩। হযরত হুমায়দ ইবনে আব্দুর রহমান হিময়ারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আশুরার দিন তাঁর সাহাবায়ে কিরামের মধ্য হতে একজনকে বললেন : তোমার কওমকে নির্দেশ প্রদান কর যেন তারা আজ রোযা রাখে। তিনি আরয করলেন, তারা তো আহার করে ফেলেছে। হুযূর (ﷺ) তখন বলেনঃ যদিও তারা খাবার খেয়ে থাকে (অর্থাৎ ঐ দিনের বাকী অংশে কিছু খাবে না)।
كتاب الصوم
عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لِرَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِهِ يَوْمَ عَاشُورَاءَ: " مُرْ قَوْمَكَ، فَلْيَصُومُوا هَذَا الْيَوْمَ، قَالَ: إِنَّهُمْ طَعِمُوا، قَالَ: قَالَ: وَإِنْ كَانَ قَدْ طَعِمُوا

হাদীসের ব্যাখ্যা:

আঁ হযরত (সা) আশূরার দিনের মর্যাদাকে অত্যন্ত কর্যকর ভাষায় প্রকাশ করে বলেছেনঃ যারা খাবার খেয়ে ফেলেছে, তারা যেন দিনের বাকী অংশে কিছু না খায় এবং যারা খাবার খায়নি, তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের রোযা পূর্ণ করবে। এটা রোযা ফরয হওয়ার পূর্বব ঘটনা, যতক্ষণ পর্যন্ত আশুরার রোয়া বাধ্যতামূলক ছিল। সাহাবায়ে কিরাম (রা) বলেছেন : এরপর আমরা এবং আমাদের সন্তানগণ রোযা রাখতাম। মোট কথা আশুরার দিনের রোযার ফযীলত সম্পর্কে অনেক হাদীস বর্ণিত আছে। যখন রমযান শরীফের রোযা ফরয হয়, তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বলেনঃ যার ইচ্ছা, ঐ দিন রোযা রাখবে এবং যার ইচ্ছা, রাখবে না।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান