আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৮- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ
হাদীস নং: ৫৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৫৫৭
- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ
৩৬৮। সূর্যাস্তের পূর্বে যে ব্যক্তি আসরের এক রাকআত পায়।
৫৩০। আব্দুল আযীয ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... সালিম ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছেন যে, পূর্বেকার উম্মতের স্থায়িত্বের তুলনায় তোমাদের স্থায়িত্ব হল আসর থেকে নিয়ে সূর্য অস্ত যাওয়ার মধ্যবর্তী সময়ের অনুরূপ। তাওরাত অনুসারীদেরকে তাওরাত দেওয়া হয়েছিল। তারা তদনুসারে কাজ করতে লাগল; যখন দুপুর হল, তখন তারা অপারগ হয়ে পড়ল। তাদের এক এক ‘কীরাত’* করে পারিশ্রমিক প্রদান করা হয়। তারপর ইনজীল অনুসারীদেরকে ইনজীল দেওয়া হল। তারা আসরের নামায পর্যন্ত কাজ করে অপারগ হয়ে পড়ল। তাদেরকে এক এক ‘কীরাত’ করে পারিশ্রমিক দেওয়া হল। তারপর আমাদেরকে কুরআন দেওয়া হল। আমরা সূর্যাস্ত পর্যন্ত কাজ করলাম।** আমদের দুই দুই ‘কীরাত’ করে দেওয়া হল। এতে উভয় কিতাবী সম্প্রদায় বলল, হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের দুই দুই ‘কীরাত’ করে দান করেছেন, আর আমাদেরকে দিয়েছেন এক এক কীরাত করে; অথচ আমলের দিক দিয়ে আমরাই বেশী। আল্লাহ তাআলা বললেনঃ তোমাদের পারিশ্রমিকের ব্যাপারে আমি কি তোমাদের প্রতি কোনরূপ যুলুম করেছি? তারা বলল, না। তখন আল্লাহ্ তাআলা বললেনঃ এ হল আমার অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তাকে দেই।
*এখানে 'কীরাত' শব্দ দিয়ে সাওয়াবের বিশেষ পরিমাণ বুঝানো হয়েছে।
**হাদীসের এ দৃষ্টান্ত সময়ের দীর্ঘতা ও হ্রস্বতার দ্বারা যথাক্রমে আমলের আধিক্য ও স্বল্পতা ব্যক্ত করা হয়েছে। এর দ্বারা আসরের ওয়াক্ত প্রতিটি বস্তুর ছায়া দ্বিগুণ হওয়ার পর আরম্ভ হওয়া প্রমাণিত হয়- যা ইমাম আবু হানিফা (রাহঃ)-এর প্রসিদ্ধ অভিমত। কারণ, অন্যান্য ইমামগণের মতানুসারে এক গুণ ছায়া হওয়ার পরপরই আসরের ওয়াক্ত এসে যাওয়া মেনে নিলে উম্মতে মুহাম্মাদীর আমলের হ্রস্বতা প্রকাশ পায়।----কিরমানী।
*এখানে 'কীরাত' শব্দ দিয়ে সাওয়াবের বিশেষ পরিমাণ বুঝানো হয়েছে।
**হাদীসের এ দৃষ্টান্ত সময়ের দীর্ঘতা ও হ্রস্বতার দ্বারা যথাক্রমে আমলের আধিক্য ও স্বল্পতা ব্যক্ত করা হয়েছে। এর দ্বারা আসরের ওয়াক্ত প্রতিটি বস্তুর ছায়া দ্বিগুণ হওয়ার পর আরম্ভ হওয়া প্রমাণিত হয়- যা ইমাম আবু হানিফা (রাহঃ)-এর প্রসিদ্ধ অভিমত। কারণ, অন্যান্য ইমামগণের মতানুসারে এক গুণ ছায়া হওয়ার পরপরই আসরের ওয়াক্ত এসে যাওয়া মেনে নিলে উম্মতে মুহাম্মাদীর আমলের হ্রস্বতা প্রকাশ পায়।----কিরমানী।
كتاب مواقيت الصلاة
باب مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنَ الْعَصْرِ قَبْلَ الْغُرُوبِ
557 - حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأُوَيْسِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: " إِنَّمَا بَقَاؤُكُمْ فِيمَا سَلَفَ قَبْلَكُمْ مِنَ الأُمَمِ كَمَا بَيْنَ صَلاَةِ العَصْرِ إِلَى غُرُوبِ الشَّمْسِ، أُوتِيَ أَهْلُ التَّوْرَاةِ التَّوْرَاةَ، فَعَمِلُوا حَتَّى إِذَا انْتَصَفَ النَّهَارُ عَجَزُوا، فَأُعْطُوا قِيرَاطًا قِيرَاطًا، ثُمَّ أُوتِيَ أَهْلُ الإِنْجِيلِ الإِنْجِيلَ، فَعَمِلُوا إِلَى صَلاَةِ العَصْرِ، ثُمَّ عَجَزُوا، فَأُعْطُوا قِيرَاطًا قِيرَاطًا، ثُمَّ أُوتِينَا القُرْآنَ، فَعَمِلْنَا إِلَى غُرُوبِ الشَّمْسِ، فَأُعْطِينَا قِيرَاطَيْنِ قِيرَاطَيْنِ، فَقَالَ: أَهْلُ الكِتَابَيْنِ: أَيْ رَبَّنَا، أَعْطَيْتَ هَؤُلاَءِ قِيرَاطَيْنِ قِيرَاطَيْنِ، وَأَعْطَيْتَنَا قِيرَاطًا قِيرَاطًا، وَنَحْنُ كُنَّا أَكْثَرَ عَمَلًا؟ قَالَ: قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: هَلْ ظَلَمْتُكُمْ مِنْ أَجْرِكُمْ مِنْ شَيْءٍ؟ قَالُوا: لاَ، قَالَ: فَهُوَ فَضْلِي أُوتِيهِ مَنْ أَشَاءُ "