রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ
৫. ঘুমানো ও মজলিসের আদব
হাদীস নং: ৮২৩
ঘুমানো ও মজলিসের আদব
পরিচ্ছেদ:২ সতর খুলে যাওয়ার আশঙ্কা না থাকলে চিত হয়ে শোওয়া ও এক পায়ের উপর আরেক পা তুলে রাখার বৈধতা এবং আসন দিয়ে বসা ও দুই হাঁটু খাড়া করে নিতম্বে ভর করে বসার বৈধতা
ইহুদি সম্প্রদায়ের মতো হওয়ায় বসার যে ভঙ্গিটি পরিত্যাজ্য
হাদীছ নং: ৮২৩
হযরত শারীদ ইবন সুওয়ায়দ রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন আমি এভাবে বসা ছিলাম। আমি আমার বাম হাত আমার পিঠে রেখে আমার ডান হাতের মাংসল স্থানে ভর করে বসা ছিলাম। তিনি বললেন, তুমি অভিশপ্তদের বসার মতো বসেছ।
-আবু দাউদ
(সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৪৮; মুসনাদে আহমাদ: ১৯৪৫৪; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৫৬৭৪; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর: ৭২৪২; হাকিম, আল মুস্তাদরাক: ৭৭০৩; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ৫৯২০; মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক: ৩০৫৭)
হাদীছ নং: ৮২৩
হযরত শারীদ ইবন সুওয়ায়দ রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন আমি এভাবে বসা ছিলাম। আমি আমার বাম হাত আমার পিঠে রেখে আমার ডান হাতের মাংসল স্থানে ভর করে বসা ছিলাম। তিনি বললেন, তুমি অভিশপ্তদের বসার মতো বসেছ।
-আবু দাউদ
(সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৪৮; মুসনাদে আহমাদ: ১৯৪৫৪; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৫৬৭৪; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর: ৭২৪২; হাকিম, আল মুস্তাদরাক: ৭৭০৩; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ৫৯২০; মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক: ৩০৫৭)
كتاب آداب النوم والاضطجاع والقعود والمجلس والجليس والرؤيا
باب جواز الاستلقاء عَلَى القفا، ووضع إحدى الرِّجلين عَلَى الأخرى إِذَا لم يخف انكشاف العورة، وجواز القعود متربعًا ومحتبيًا
823 - وعن الشَّريدِ بن سُوَيْدٍ - رضي الله عنه - قَالَ: مَرَّ بي رسولُ الله - صلى الله عليه وسلم - وَأَنَا جَالِسٌ هكَذَا، وَقَدْ وَضَعْتُ يَدِيَ اليُسْرَى خَلْفَ ظَهْرِي، وَاتَّكَأْتُ عَلَى أَليَةِ يَدي، فَقَالَ: «أَتَقْعُدُ قِعْدَةَ المَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ؟!». رواه أَبُو داود بإسنادٍ صحيح. (1)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছটিতে বসার একটি বিশেষ ভঙ্গিকে অভিশপ্ত সম্প্রদায়ের বসার ভঙ্গি সাব্যস্ত করা হয়েছে। হযরত শারীদ রাযি. কে সে ভঙ্গিতে বসা দেখে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে তিরস্কার করেন যে, কেন তিনি অভিশপ্ত সম্প্রদায়ের বসার মতো করে বসেছেন। ভঙ্গিটি ছিল এরকম যে, তিনি তাঁর বাম হাত পিঠের সঙ্গে লাগিয়ে রেখে ডান হাতের মাংসল স্থানে ভর করে বসা ছিলেন।
অভিশপ্ত সম্প্রদায় বলে ইহুদিদের বোঝানো হয়েছে। সূরা ফাতিহার শেষে যে আছে-
غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ
(তাদের পথে নয়, যারা অভিশপ্ত এবং যারা পথভ্রষ্ট), হাদীছে এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, অভিশপ্ত হল ইহুদি সম্প্রদায় আর পথভ্রষ্ট খ্রিষ্ট সম্প্রদায়। কুরআন মাজীদের বিভিন্ন আয়াতে ইহুদি জাতির প্রতি আল্লাহ তা'আলার লা'নত ও অভিশাপ বর্ষণের কথা জানানো হয়েছে। কাজেই আলোচ্য হাদীছে অভিশপ্ত জাতি বলতে ইহুদি জাতিকেই বোঝানো হবে। তারা যেহেতু এ ভঙ্গিতে বসত, তাই আমাদেরকে এভাবে বসতে নিষেধ করা হয়েছে। এক হাদীছে ইরশাদ হয়েছে-
مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
যে ব্যক্তি কোনও সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন (অনুকরণ) করে, সে সেই সম্প্রদায়ের একজন।
(সুনানে আবূ দাউদ: ৪০৩১; মুসনাদে আহমাদ: ৫১১৫; মুসনাদুল বাযযার: ৮৬০৬; তহাবী, শারহু মুশকিলিল আছার : ২৩১; তাবারানী, আল মু'জামুল আওসাত: ৮৩২৭; বায়হাকী, শু'আবুল ঈমান : ১১৫৪; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ১৯৪০১; জামে' মা'মার ইবন রাশিদ : ২০৯৮৬; সুনানে সা'ঈদ ইবন মানসূর: ২৩৭০;)
এতে সতর্ক করা হয়েছে আমরা যেন আমাদের কাজকর্ম, ভাবভঙ্গি, ধরন-ধারণ তথা কোনওকিছুতেই অন্য কোনও সম্প্রদায়ের অনুকরণ না করি। আমাদের রয়েছে স্বতন্ত্র সংস্কৃতি। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতই আমাদের মর্যাদাপূর্ণ সংস্কৃতি। তাই কোনওকিছুতেই অন্য কোনও সম্প্রদায়ের অনুকরণ করার প্রয়োজন আমাদের নেই। ইহুদি সম্প্রদায় যেহেতু অভিশপ্ত জাতি, তাই তাদের অনুকরণ অধিকতর নিন্দনীয় হবে। এজন্যই তাদের মতো করে বসায় নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত শারীদ রাযি.-কে তিরস্কার করেছেন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. বসার ভঙ্গিসহ কোনওকিছুতেই অন্য কোনও জাতির অনুকরণ করা যাবে না। ইহুদি সম্প্রদায়ের অনুসরণ অধিকতর নিন্দনীয়।
খ. আমরা সবকিছুতেই নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতের অনুসরণ করে চলব।
অভিশপ্ত সম্প্রদায় বলে ইহুদিদের বোঝানো হয়েছে। সূরা ফাতিহার শেষে যে আছে-
غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ
(তাদের পথে নয়, যারা অভিশপ্ত এবং যারা পথভ্রষ্ট), হাদীছে এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, অভিশপ্ত হল ইহুদি সম্প্রদায় আর পথভ্রষ্ট খ্রিষ্ট সম্প্রদায়। কুরআন মাজীদের বিভিন্ন আয়াতে ইহুদি জাতির প্রতি আল্লাহ তা'আলার লা'নত ও অভিশাপ বর্ষণের কথা জানানো হয়েছে। কাজেই আলোচ্য হাদীছে অভিশপ্ত জাতি বলতে ইহুদি জাতিকেই বোঝানো হবে। তারা যেহেতু এ ভঙ্গিতে বসত, তাই আমাদেরকে এভাবে বসতে নিষেধ করা হয়েছে। এক হাদীছে ইরশাদ হয়েছে-
مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
যে ব্যক্তি কোনও সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন (অনুকরণ) করে, সে সেই সম্প্রদায়ের একজন।
(সুনানে আবূ দাউদ: ৪০৩১; মুসনাদে আহমাদ: ৫১১৫; মুসনাদুল বাযযার: ৮৬০৬; তহাবী, শারহু মুশকিলিল আছার : ২৩১; তাবারানী, আল মু'জামুল আওসাত: ৮৩২৭; বায়হাকী, শু'আবুল ঈমান : ১১৫৪; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ১৯৪০১; জামে' মা'মার ইবন রাশিদ : ২০৯৮৬; সুনানে সা'ঈদ ইবন মানসূর: ২৩৭০;)
এতে সতর্ক করা হয়েছে আমরা যেন আমাদের কাজকর্ম, ভাবভঙ্গি, ধরন-ধারণ তথা কোনওকিছুতেই অন্য কোনও সম্প্রদায়ের অনুকরণ না করি। আমাদের রয়েছে স্বতন্ত্র সংস্কৃতি। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতই আমাদের মর্যাদাপূর্ণ সংস্কৃতি। তাই কোনওকিছুতেই অন্য কোনও সম্প্রদায়ের অনুকরণ করার প্রয়োজন আমাদের নেই। ইহুদি সম্প্রদায় যেহেতু অভিশপ্ত জাতি, তাই তাদের অনুকরণ অধিকতর নিন্দনীয় হবে। এজন্যই তাদের মতো করে বসায় নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত শারীদ রাযি.-কে তিরস্কার করেছেন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. বসার ভঙ্গিসহ কোনওকিছুতেই অন্য কোনও জাতির অনুকরণ করা যাবে না। ইহুদি সম্প্রদায়ের অনুসরণ অধিকতর নিন্দনীয়।
খ. আমরা সবকিছুতেই নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতের অনুসরণ করে চলব।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)