রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ
৬. সালাম-মুসাফাহার আদব
হাদীস নং: ৮৬৮
 সালাম-মুসাফাহার আদব
পরিচ্ছেদ :৯ মজলিস ত্যাগকালে এবং সঙ্গী-সাথীদের থেকে বিদায় গ্রহণকালে সালাম দেওয়া
হাদীছ নং: ৮৬৮
হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমাদের কেউ যখন মজলিসে পৌঁছবে তখন সালাম দেবে। তারপর যখন মজলিস থেকে ওঠার ইচ্ছা করবে, তখনও সালাম দেবে। পরেরটি অপেক্ষা প্রথমটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়।
-আবূ দাউদ ও তিরমিযী
(সুনানে আবু দাউদ: ৫২০৮; জামে’ তিরমিযী: ২৭০৭; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা;১০১২৯; মুসনাদে আহমাদ : ৭১৪৩; তহাবী, শারহু মুশকিলিল আছার : ১৩৫০; তাবারানী,আল মু'জামুল কাবীর: ৭১৯৭; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৪৯৩)
হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমাদের কেউ যখন মজলিসে পৌঁছবে তখন সালাম দেবে। তারপর যখন মজলিস থেকে ওঠার ইচ্ছা করবে, তখনও সালাম দেবে। পরেরটি অপেক্ষা প্রথমটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়।
-আবূ দাউদ ও তিরমিযী
(সুনানে আবু দাউদ: ৫২০৮; জামে’ তিরমিযী: ২৭০৭; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা;১০১২৯; মুসনাদে আহমাদ : ৭১৪৩; তহাবী, শারহু মুশকিলিল আছার : ১৩৫০; তাবারানী,আল মু'জামুল কাবীর: ৭১৯৭; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৪৯৩)
كتاب السلام
باب استحباب السلام إِذَا قام من المجلس وفارق جلساءه أَوْ جليسه
868 - وعن أَبي هريرة - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رسول الله - صلى الله عليه وسلم: «إِذَا انْتَهى أَحَدُكُمْ إِلَى المَجْلِسِ فَلْيُسَلِّمْ، فَإذَا أَرَادَ أَنْ يَقُومَ فَلْيُسَلِّمْ، فَلَيْسَتِ الأُولَى بِأحَقّ مِنَ الآخِرَةِ». رواه أَبُو داود والترمذي، (1) وقال: «حديث حسن».
হাদীসের ব্যাখ্যা:
সালাম দেওয়ার উদ্দেশ্য তাকে নিজের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দেওয়া। সালামের মাধ্যমে বোঝানো হয় যে, তুমি আমার দিক থেকে নিশ্চিন্ত থাকো। আমার দ্বারা তোমার কোনও ক্ষতি হবে না। কোনও মজলিসে পৌছে সালাম দিলে মজলিসে উপস্থিত লোকজন আশ্বস্ত হতে পারে যে, এই আগন্তুকের পক্ষ থেকে তাদের কোনও ভয় নেই। ফলে তারা নিশ্চিন্তমনে তাকে গ্রহণ করে নিতে পারে। এজন্যই মজলিসে পৌঁছে সালাম দিতে হয়। তাদের এই একই নিরাপত্তা ওই ব্যক্তির বিদায় গ্রহণকালেও পাওয়া দরকার। কেননা অনেক সময় মজলিসে আগন্তুক ব্যক্তি মজলিসের খবরাখবর জেনে যায়। তারপর সে ওই মজলিসের কথা অন্যত্র প্রচার করে কিংবা মজলিসের লোকজন সম্পর্কে অন্যদের অবহিত করে তাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। কাজেই এ ব্যক্তি বিদায় নেওয়ার পর যে তাদের এরকম কোনও ক্ষতি করবে না, সে বিষয়ে তাদের নিশ্চিন্ত হওয়া দরকার। সালামের দ্বারা বিদায় নিলে তারা সে নিশ্চিন্ততা লাভ করতে পারে। কাজেই বিদায় গ্রহণকালেও সালাম দেওয়া উচিত। এজন্যই হাদীছটিতে বলা হয়েছে, শেষের সালাম অপেক্ষা প্রথমবারের সালাম বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। অর্থাৎ নিরাপত্তা ও নিরুদ্বেগের ব্যাপারে প্রথমবার সালাম দেওয়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ, বিদায়কালীন সালামও তেমনি গুরুত্বপূর্ণ। সে সালামের গুরুত্ব প্রথমবারের তুলনায় মোটেই কম নয়। তাই সাক্ষাৎকালে যেমন সালাম দেওয়া হয়েছে, বিদায়কালেও তেমনি সালাম দেওয়া উচিত।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. সালাম দেওয়ার দ্বারা সালামদাতার পক্ষ থেকে কোনওরূপ ক্ষতি ও অনিষ্ট সাধিত না হওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। তাই সালামদাতার কর্তব্য সালামের এ অন্তর্নিহিত আবেদন সম্পর্কে সচেতন থাকা।
খ. মজলিসে উপস্থিত হওয়ার সময় বা কারও সঙ্গে সাক্ষাৎকালে যেমন সালাম দেওয়া হয়, তেমনি সালাম দিতে হবে বিদায়কালেও।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. সালাম দেওয়ার দ্বারা সালামদাতার পক্ষ থেকে কোনওরূপ ক্ষতি ও অনিষ্ট সাধিত না হওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। তাই সালামদাতার কর্তব্য সালামের এ অন্তর্নিহিত আবেদন সম্পর্কে সচেতন থাকা।
খ. মজলিসে উপস্থিত হওয়ার সময় বা কারও সঙ্গে সাক্ষাৎকালে যেমন সালাম দেওয়া হয়, তেমনি সালাম দিতে হবে বিদায়কালেও।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)