মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

১. একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা

হাদীস নং: ১০
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৫৮৭
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
(২) পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ মাহাত্ম্য, পরম শক্তি ও তাঁর প্রতি সৃষ্টির নির্ভরশীলতা প্রসঙ্গে
(১০) আবূ মুসা আল আশআরী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের মাঝে (দুই হাতে ভর দিয়ে শক্ত হয়ে) দণ্ডায়মান হলেন এবং বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ জাল্লা শানুহু নিদ্রা যান না, এবং নিদ্রা যাওয়া তাঁর জন্য শোভনও নয়।তিনি মীযান, (বা আমল মাপার মানদণ্ড) নীচু করেন এবং উঁচু করেন।দিবসের শুরুতে তাঁর কাছে (সারা) রাত্রির আমলসমূহ (অর্থাৎ বান্দার কৃতকর্মসমূহ) এবং দিবসের আমলসমূহ রাত্রিতে পেশ করা হয়।
(একই বর্ণনাকারী থেকে ভিন্ন ধারায় বর্ণিত আছে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা নিদ্রা যান না এবং নিদ্রা যাওয়া তাঁর পহ্মে শোভনও নয়।তিনি ন্যায়দণ্ড নীচু করেন এবং উঁচু করেন।তাঁর হিজাব বা পর্দা হচ্ছে অগ্নি (অন্য বর্ণনায় ‘নূর’ বা জ্যোতি), যদি তিনি তা অপনোদন করেন।তাঁর চেহারার ঔজ্জ্বল্য দৃষ্টি শক্তির আওতাধীন সবকিছু ভষ্মিভূহ করে ফেলবে।অতঃপর আবূ উবায়দা (রা) এই আয়াত পাঠ করেন- فَلَمَّا جَاءهَا نُودِيَ أَن بُورِكَ مَن فِي النَّارِ وَمَنْ حَوْلَهَا وَسُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ “অতঃপর সে যখন সেখানে আসল তখন ঘোষিত হল, ধন্য সে ব্যক্তি, যে আছে এ অগ্নির মধ্যে এবং যারা আছে এর চতুষ্পার্শ্বে জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ পবিত্র ও মহিমান্বিত।” (নামলঃ৮) [মুসলিম ও ইবন মাজাহ।]
كتاب التوحيد
(2) باب في عظمة الله تعالى وكبريائه وكمال قدرته وافتقار الخلق إليه
(10) (4) وعن أبي موسى الأشعري- رضي الله عنه- قال: قام فينا رسول الله- صلى الله عليه وآله وسلم - بأربع فقال: إن الله عز وجل لا ينام ولا ينبغي له أن ينام يخفض القِسط. (5)
ويرفعه يُرفع (1) إليه عمل الليل بالنهار وعمل النهار بالليل، (وعنه من طريق آخر) (2) قال: قال رسول الله- صلى الله عليه وآله وسلم - إن الله لا ينام ولا ينبغي له أن ينام يخفض القسط ويرفعه، حجابه النار (3) لو كشفها لأحرقت سبحات (4) وجهه كل شيء أدركه بصره ثم قرأ أبو عبيدة [فَلَمَّا جَاءهَا نُودِيَ أَن بُورِكَ مَن فِي النَّارِ وَمَنْ حَوْلَهَا وَسُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ]
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান