আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৭২- কাফের ও ধর্মত্যাগী বিদ্রোহীদের বিবরণ

হাদীস নং: ৬৩৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮২৭ - ৬৮২৮
- কাফের ও ধর্মত্যাগী বিদ্রোহীদের বিবরণ
২৮৪৯. যিনার স্বীকারোক্তি।
৬৩৬৮। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা ও যায়দ ইবনে খালিদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তারা উভয়ে বলেন, আমরা নবী (ﷺ) এর কাছে ছিলাম। জনৈক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, আমি আপনাকে (আল্লাহর) কসম দিয়ে বলছি, আপনি আমাদের মধ্যে আল্লাহর কিতাব মোতাবেক ফায়সালা করুন। তখন তার প্রতিপক্ষ লোকটি দাঁড়াল, আর সে তার চেয়ে বুদ্ধিমান ছিল। তাই সে বলল, আপনি আমাদের ফায়সালা আল্লাহর কিতাব অনুযায়ীই করে দিন। আর আমাকে অনুমতি দিন, তিনি বললেনঃ বল। সে বলল, আমার ছেলে এই ব্যক্তির অধীনে চাকর ছিল। সে তার স্ত্রীর সাথে যিনা করে ফেলে। আমি একশ ছাগল ও একজন গোলামের বিনিময়ে তার সাথে আপোস করে নেই। তারপর আমি আলিমদের জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা আমাকে বললেন, আমার ছেলের শাস্তি একশ বেত্রাঘাত ও এক বছরের নির্বাসন। আর রজম হল তার স্ত্রীর শাস্তি। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ কসম ঐ সত্তার যার হাতে আমার প্রাণ! অবশ্যই আমি কিতাবুল্লাহ অনুযায়ী তোমাদের উভয়ের মধ্যে ফায়সালা করব। একশ ছাগল ও গোলাম তোমার কাছে ফেরত যাবে। আর তোমার ছেলের শাস্তি হবে একশত বেত্রাঘাত ও এক বছরের নির্বাসন। হে উনাইস! তুমি প্রত্যুষে ঐ ব্যক্তির স্ত্রীর কাছে যাবে। যদি সে স্বীকার করে তবে তাকে রজম করবে। পরদিন প্রত্যুষে তিনি মহিলার কাছে গেলেন। আর সে স্বীকার করল, ফলে তাকে রজম করলেন।
আমি সুফিয়ান (রাহঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, ঐ ব্যক্তি কি এ কথা বলেনি যে, লোকেরা আমাকে বলেছে যে, আমার ছেলের ওপর রজম হবে। তখন তিনি বললেন, যুহরী (রাহঃ) থেকে এ কথা জেনেছি কিনা, এ ব্যাপারে আমার সন্দেহ ররেছে। তাই কখনো এ কথা বর্ণনা করি। আর কখনো চুপ থাকি।
كتاب المحاربين من اهل الكفر والردة
باب الاِعْتِرَافِ بِالزِّنَا
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَفِظْنَاهُ مِنْ فِي الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ وَزَيْدَ بْنَ خَالِدٍ قَالاَ كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ أَنْشُدُكَ اللَّهَ إِلاَّ قَضَيْتَ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللَّهِ. فَقَامَ خَصْمُهُ ـ وَكَانَ أَفْقَهَ مِنْهُ ـ فَقَالَ اقْضِ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللَّهِ وَأْذَنْ لِي. قَالَ " قُلْ ". قَالَ إِنَّ ابْنِي كَانَ عَسِيفًا عَلَى هَذَا، فَزَنَى بِامْرَأَتِهِ، فَافْتَدَيْتُ مِنْهُ بِمِائَةِ شَاةٍ وَخَادِمٍ، ثُمَّ سَأَلْتُ رِجَالاً مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ، فَأَخْبَرُونِي أَنَّ عَلَى ابْنِي جَلْدَ مِائَةٍ وَتَغْرِيبَ عَامٍ، وَعَلَى امْرَأَتِهِ الرَّجْمَ. فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لأَقْضِيَنَّ بَيْنَكُمَا بِكِتَابِ اللَّهِ جَلَّ ذِكْرُهُ، الْمِائَةُ شَاةٍ وَالْخَادِمُ رَدٌّ، وَعَلَى ابْنِكَ جَلْدُ مِائَةٍ وَتَغْرِيبُ عَامٍ، وَاغْدُ يَا أُنَيْسُ عَلَى امْرَأَةِ هَذَا، فَإِنِ اعْتَرَفَتْ فَارْجُمْهَا ". فَغَدَا عَلَيْهَا فَاعْتَرَفَتْ فَرَجَمَهَا. قُلْتُ لِسُفْيَانَ لَمْ يَقُلْ فَأَخْبَرُونِي أَنَّ عَلَى ابْنِي الرَّجْمَ. فَقَالَ أَشُكُّ فِيهَا مِنَ الزُّهْرِيِّ، فَرُبَّمَا قُلْتُهَا وَرُبَّمَا سَكَتُّ.