আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৭২- কাফের ও ধর্মত্যাগী বিদ্রোহীদের বিবরণ
হাদীস নং: ৬৩৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮৪২ - ৬৮৪৩
- কাফের ও ধর্মত্যাগী বিদ্রোহীদের বিবরণ
২৮৫৮. বিচারক ও লোকদের কাছে (বাদীর) আপন স্ত্রী বা অন্যের স্ত্রীর উপর যখন যিনার অভিযোগ করা হয় তখন বিচারকের জন্য কি জরুরী নয় যে, তার কাছে খবর পাঠিয়ে তাকে ঐ বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করবে, যে বিষয়ে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
৬৩৭৯। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ও যায়দ ইবনে খালিদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, দু’জন লোক রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে তাদের বিবাদ নিয়ে এল। তাদের একজন বলল, আমাদের মধ্যে আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী ফায়সালা করে দিন। অপরজন বলল, আর সে ছিল উভয়ের মধ্যে অধিক বিজ্ঞ। হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী আমাদের মধ্যে বিচার করে দিন। আর আমাকে কথা বলার অনুমতি দিন। তিনি বললেনঃ বল। সে বলল, আমার ছেলে তার মজুর ছিল। মালিক (রাহঃ) বলেন, আসীফ অর্থ মজুর। সে তার স্ত্রীর সাথে যিনা করে ফেলে। লোকেরা আমাকে বলল যে, আমার ছেলের উপর শাস্তি হবে রজম। আমি এর বিনিময়ে তাকে একশ ছাগল ও আমার একজন দাসী দিয়ে দেই। তারপর আলিমদেরকে জিজ্ঞাসা করি। তারা আমাকে বললেন যে, আমার ছেলের শাস্তি একশ বেত্রাঘাত ও এক বছরের নির্বাসন। আর রজম তার স্ত্রীর ওপরই প্রযোজ্য হবে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ জেনে রেখ, কসম ঐ সত্তার যার হাতে আমার প্রাণ! অবশ্যই আমি আল্লাহর কিতাব অনূযায়ী তোমাদের উভয়ের ফয়সালা করব। তোমার ছাগল ও দাসী তোমার কাছে ফেরত আসবে এবং তার ছেলেকে একশ বেত্রাঘাত করলেন ও এক বছরের জন্য নির্বাসিত করলেন। আর উনাইস আসলামী (রাযিঃ) কে নির্দেশ দিলেন, যেন সে অপর ব্যক্তির স্ত্রীর কাছে যায় এবং যদি সে স্বীকার করে, তাহলে যেন তাকে রজম করে। সে স্বীকার করল, ফলে তাকে সে রজম করল।
كتاب المحاربين من اهل الكفر والردة
بَابُ إِذَا رَمَى امْرَأَتَهُ أَوِ امْرَأَةَ غَيْرِهِ بِالزِّنَا عِنْدَ الْحَاكِمِ وَالنَّاسِ، هَلْ عَلَى الْحَاكِمِ أَنْ يَبْعَثَ إِلَيْهَا فَيَسْأَلَهَا عَمَّا رُمِيَتْ بِهِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ، أَنَّهُمَا أَخْبَرَاهُ أَنَّ رَجُلَيْنِ اخْتَصَمَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَحَدُهُمَا اقْضِ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللَّهِ. وَقَالَ الآخَرُ وَهْوَ أَفْقَهُهُمَا أَجَلْ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَاقْضِ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللَّهِ، وَأْذَنْ لِي أَنْ أَتَكَلَّمَ. قَالَ " تَكَلَّمْ ". قَالَ إِنَّ ابْنِي كَانَ عَسِيفًا عَلَى هَذَا ـ قَالَ مَالِكٌ وَالْعَسِيفُ الأَجِيرُ ـ فَزَنَى بِامْرَأَتِهِ، فَأَخْبَرُونِي أَنَّ عَلَى ابْنِي الرَّجْمَ، فَافْتَدَيْتُ مِنْهُ بِمِائَةِ شَاةٍ وَبِجَارِيَةٍ لِي، ثُمَّ إِنِّي سَأَلْتُ أَهْلَ الْعِلْمِ فَأَخْبَرُونِي أَنَّ مَا عَلَى ابْنِي جَلْدُ مِائَةٍ وَتَغْرِيبُ عَامٍ، وَإِنَّمَا الرَّجْمُ عَلَى امْرَأَتِهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَمَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لأَقْضِيَنَّ بَيْنَكُمَا بِكِتَابِ اللَّهِ، أَمَّا غَنَمُكَ وَجَارِيَتُكَ فَرَدٌّ عَلَيْكَ ". وَجَلَدَ ابْنَهُ مِائَةً وَغَرَّبَهُ عَامًا، وَأَمَرَ أُنَيْسًا الأَسْلَمِيَّ أَنْ يَأْتِيَ امْرَأَةَ الآخَرِ، فَإِنِ اعْتَرَفَتْ فَارْجُمْهَا، فَاعْتَرَفَتْ فَرَجَمَهَا.