আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৭৮- কিয়ামত ও ফিতনাসমূহের বিবরণ

হাদীস নং: ৬৬২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭১১২
- কিয়ামত ও ফিতনাসমূহের বিবরণ
২৯৯৭. যখন কেউ কোন সম্প্রদায়ের কাছে কিছু বলে পরে বেরিয়ে এসে বিপরীত বলে।
৬৬২৭। আহমাদ ইবনে ইউনূস (রাহঃ) ......... আবুল মিনহাল (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনে যিয়াদ ও মারওয়ান যখন সিরিয়ার শাসনকর্তা নিযুক্ত ছিলেন এবং ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) মক্কার শাসনক্ষমতা দখল করে নিলেন, আর ক্বারী নামধারীরা (খারেজীরা) বসরার ক্ষমতায় চেপে বসল, তখন একদিন আমি আমার পিতার সঙ্গে আবু বারযা আসলামী (রাযিঃ) এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে আমরা তার ঘরে প্রবেশ করলাম। এ সময় তিনি তার বাঁশের তৈরী কুঠরীর ছায়াতলে বসা ছিলেন। আমরা তার কাছে বসলাম। আমার পিতা তার কাছ থেকে কিছু হাদীস শুনতে চাইলেন। পিতা বললেন, হে আবু বারযা! লোকেরা কী ভীষণ সংকটে পতিত হয়েছে তা কি আপনি লক্ষ্য করছেন না?
সর্বপ্রথম যে কথাটি তাঁকে বলতে শোনলাম তা হল, আমি যে কুরাইশের গোত্রসমূহের প্রতি বিরূপভাব পোষণ করি, এজন্য আল্লাহর কাছে অবশ্যই সাওয়াবের প্রত্যাশা করি। হে আরববাসীরা! তোমরা যে কিরূপ গোমরাহী, অভাব-অনটন ও লাঞ্ছনাকর অবস্থায় ছিলে তা তোমরা জান। মহান আল্লাহ তাআলা ইসলাম ও মুহাম্মাদ (ﷺ) এর মাধ্যমে সে অবস্থা থেকে মুক্ত করে তোমাদের বর্তমান অবস্থায় পৌছিয়েছেন, যা তোমরা দেখছ। আর এ পার্থিব দুনিয়াই তোমাদের মাঝে বিশৃংখলা সৃষ্টি করেছে। ঐ যে লোকটা সিরিয়ায় (ক্ষমতা দখল করে) আছে, আল্লাহর কসম। একমাত্র দুনিয়ার স্বার্থ ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে সে লড়াই করেনি।
كتاب الفتن
باب إِذَا قَالَ عِنْدَ قَوْمٍ شَيْئًا ثُمَّ خَرَجَ فَقَالَ بِخِلاَفِهِ
7112 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ، عَنْ عَوْفٍ، عَنْ أَبِي المِنْهَالِ، قَالَ: لَمَّا كَانَ ابْنُ زِيَادٍ وَمَرْوَانُ بِالشَّأْمِ، وَوَثَبَ ابْنُ الزُّبَيْرِ بِمَكَّةَ، وَوَثَبَ القُرَّاءُ بِالْبَصْرَةِ، فَانْطَلَقْتُ مَعَ أَبِي إِلَى أَبِي بَرْزَةَ الأَسْلَمِيِّ، حَتَّى دَخَلْنَا عَلَيْهِ فِي دَارِهِ، وَهُوَ جَالِسٌ فِي ظِلِّ عُلِّيَّةٍ لَهُ مِنْ قَصَبٍ، فَجَلَسْنَا إِلَيْهِ، فَأَنْشَأَ أَبِي يَسْتَطْعِمُهُ الحَدِيثَ فَقَالَ: يَا أَبَا بَرْزَةَ، أَلاَ تَرَى مَا وَقَعَ فِيهِ النَّاسُ؟ فَأَوَّلُ شَيْءٍ سَمِعْتُهُ تَكَلَّمَ بِهِ: «إِنِّي احْتَسَبْتُ عِنْدَ اللَّهِ أَنِّي أَصْبَحْتُ سَاخِطًا عَلَى أَحْيَاءِ قُرَيْشٍ، إِنَّكُمْ يَا مَعْشَرَ العَرَبِ، كُنْتُمْ عَلَى الحَالِ الَّذِي عَلِمْتُمْ مِنَ الذِّلَّةِ وَالقِلَّةِ وَالضَّلاَلَةِ، وَإِنَّ اللَّهَ أَنْقَذَكُمْ بِالإِسْلاَمِ وَبِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى بَلَغَ بِكُمْ مَا تَرَوْنَ [ص:58]، وَهَذِهِ الدُّنْيَا الَّتِي أَفْسَدَتْ بَيْنَكُمْ، إِنَّ ذَاكَ الَّذِي بِالشَّأْمِ، وَاللَّهِ إِنْ يُقَاتِلُ إِلَّا عَلَى الدُّنْيَا، وَإِنَّ هَؤُلاَءِ الَّذِينَ بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ، وَاللَّهِ إِنْ يُقَاتِلُونَ إِلَّا عَلَى الدُّنْيَا، وَإِنْ ذَاكَ الَّذِي بِمَكَّةَ وَاللَّهِ إِنْ يُقَاتِلُ إِلَّا عَلَى الدُّنْيَا»
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)