আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৫- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
হাদীস নং: ১১৪০
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬৭
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
১৭. রসুন-পিয়াজ, মূলা ইত্যাদি দুর্গন্ধ যুক্ত দ্রব্য খাওয়ার পর মুখে থেকে দুর্গন্ধ দূর না হওয়া পর্যন্ত মসজিদে প্রবেশ করা নিষেধ এবং এরূপ ব্যক্তিকে মসজিদ থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ
১১৪০। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রাহঃ) ......... মা’দান ইবনে আবু তালহা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমর (রাযিঃ) একদিন জুম’আর খুতবা দিলেন। এতে তিনি আল্লাহর নবী (ﷺ) ও আবু বকর (রাযিঃ) এর আলোচনা করে বললেন, আমি স্বপ্নে দেখলাম, একটি মোরগ এসে আমাকে তিনটি ঠোকর মারল। আমার মতে এর তা’বীর হচ্ছে, আমার মৃত্যু অতি নিকটবর্তী। লোকেরা আমাকে বলেছে আমার একজন স্থলবর্তী নিযুক্ত করতে। নিশ্চয় আল্লাহ তার দ্বীন ও খিলাফাতকে নষ্ট করবেন না। আর তার নবী (ﷺ) কে যা দিয়ে প্রেরণ করেছেন, তাও নষ্ট করবেন না। যদি শীঘ্রই আমার মৃত্যু এসে পড়ে, তবে খিলাফত ঐ ছয় ব্যক্তির পরামর্শের উপর রইল, যাদের প্রতি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মৃত্যু পর্যন্ত সন্তুষ্ট ছিলেন। আমি জানি, কতিপয় লোক, যাদেরকে আমি নিজ হাতে শাস্তি দিয়েছি, এ ব্যাপারে তারা ইসলামের প্রতি দোষারোপ করবে। তারা যদি তা করে, তবে তারা আল্লাহর দুশমন ও পথভ্রষ্ট কাফির।
আমি কালালা (পিতা-মাতাহীন নিঃসন্তান ব্যক্তি) ‘র সমস্যা ব্যতিত অন্য কোন কঠিন সমস্যা রেখে যাচ্ছি না। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে কালালা সম্পর্কে যতবার জিজ্ঞাসা করেছি, ততবার অন্য কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করি নি। তিনিও আমার প্রতি এ ব্যাপারে যতটা কঠোর ব্যবহার করেছেন, ততটা অন্য কোনও ব্যাপারে করেন নি। এক পর্যায়ে তিনি তার আঙুলদ্বারা আমার বুকে টোকা মেরে বললেন, হে উমর! সূরা নিসার শেষভাগের গ্রীষ্মকালীন (কালালা সম্পর্কিত) আয়াতটই কি তোমার জন্য যথেষ্ট নয়? আর আমি যদি বেঁচে থাকি, তাহলে কালালা সম্পর্কে এমন এক ফয়সালা রেখে যাব, যাকে ভিত্তি করে কুরআন জানা অজানা সকলেই ফয়সালা দিতে পারবে।
অতঃপর উমর (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহ! আমি তোমাকে সেইসব লোক সম্পর্কে সাক্ষী করছি, যাদেরকে আমি বিভিন্ন শহরে প্রশাসক (গভর্নর, সুবেদার ও অফিসার) রূপে প্রেরণ করেছি। আমি তাদেরকে এ জন্য পাঠিয়েছি যে, তারা জনগণের মধ্যে সুবিচার কায়েম করবে, তাদেরকে তাদের দ্বীন ও নবীর তরীকা শিক্ষাদান করবে, তাদের মধ্যে তাদের যুদ্ধলব্ধ মাল বণ্টন করবে এবং কোনও কঠিন সমস্যার উদ্ভব হলে তা আমার সমীপে উত্থাপন করবে।
আর হে জনমণ্ডলী! তোমরা দু’টি উদ্ভিদ ভক্ষণ করে থাক। আমি ঐ দু’টিকে অপছন্দ করি। তা হচ্ছে পিঁয়াজ ও রসূন। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে দেখেছি, যখন তিনি মসজিদের কোনও ব্যক্তি হতে ঐ দু’টির (কোন একটি গাছের) গন্ধ পেতেন, তখন তিনি তাকে ″বাকী″ প্রান্তরের দিকে বের করে দেয়ার আদেশ দিতেন। অতএব যে ব্যক্তি তা (পিঁয়াজ রসূন) খেতে চাইবে, উত্তমরূপে রান্না করে খাবে- যাতে তার গন্ধ না থাকে।
আমি কালালা (পিতা-মাতাহীন নিঃসন্তান ব্যক্তি) ‘র সমস্যা ব্যতিত অন্য কোন কঠিন সমস্যা রেখে যাচ্ছি না। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে কালালা সম্পর্কে যতবার জিজ্ঞাসা করেছি, ততবার অন্য কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করি নি। তিনিও আমার প্রতি এ ব্যাপারে যতটা কঠোর ব্যবহার করেছেন, ততটা অন্য কোনও ব্যাপারে করেন নি। এক পর্যায়ে তিনি তার আঙুলদ্বারা আমার বুকে টোকা মেরে বললেন, হে উমর! সূরা নিসার শেষভাগের গ্রীষ্মকালীন (কালালা সম্পর্কিত) আয়াতটই কি তোমার জন্য যথেষ্ট নয়? আর আমি যদি বেঁচে থাকি, তাহলে কালালা সম্পর্কে এমন এক ফয়সালা রেখে যাব, যাকে ভিত্তি করে কুরআন জানা অজানা সকলেই ফয়সালা দিতে পারবে।
অতঃপর উমর (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহ! আমি তোমাকে সেইসব লোক সম্পর্কে সাক্ষী করছি, যাদেরকে আমি বিভিন্ন শহরে প্রশাসক (গভর্নর, সুবেদার ও অফিসার) রূপে প্রেরণ করেছি। আমি তাদেরকে এ জন্য পাঠিয়েছি যে, তারা জনগণের মধ্যে সুবিচার কায়েম করবে, তাদেরকে তাদের দ্বীন ও নবীর তরীকা শিক্ষাদান করবে, তাদের মধ্যে তাদের যুদ্ধলব্ধ মাল বণ্টন করবে এবং কোনও কঠিন সমস্যার উদ্ভব হলে তা আমার সমীপে উত্থাপন করবে।
আর হে জনমণ্ডলী! তোমরা দু’টি উদ্ভিদ ভক্ষণ করে থাক। আমি ঐ দু’টিকে অপছন্দ করি। তা হচ্ছে পিঁয়াজ ও রসূন। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে দেখেছি, যখন তিনি মসজিদের কোনও ব্যক্তি হতে ঐ দু’টির (কোন একটি গাছের) গন্ধ পেতেন, তখন তিনি তাকে ″বাকী″ প্রান্তরের দিকে বের করে দেয়ার আদেশ দিতেন। অতএব যে ব্যক্তি তা (পিঁয়াজ রসূন) খেতে চাইবে, উত্তমরূপে রান্না করে খাবে- যাতে তার গন্ধ না থাকে।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب نَهْىِ مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلاً أَوْ كُرَّاثًا أَوْ نَحْوَهَا عَنْ حُضُورِ الْمَسْجِدِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، خَطَبَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَذَكَرَ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَذَكَرَ أَبَا بَكْرٍ قَالَ إِنِّي رَأَيْتُ كَأَنَّ دِيكًا نَقَرَنِي ثَلاَثَ نَقَرَاتٍ وَإِنِّي لاَ أُرَاهُ إِلاَّ حُضُورَ أَجَلِي وَإِنَّ أَقْوَامًا يَأْمُرُونَنِي أَنْ أَسْتَخْلِفَ وَإِنَّ اللَّهَ لَمْ يَكُنْ لِيُضَيِّعَ دِينَهُ وَلاَ خِلاَفَتَهُ وَلاَ الَّذِي بَعَثَ بِهِ نَبِيَّهُ صلى الله عليه وسلم فَإِنْ عَجِلَ بِي أَمْرٌ فَالْخِلاَفَةُ شُورَى بَيْنَ هَؤُلاَءِ السِّتَّةِ الَّذِينَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ عَنْهُمْ رَاضٍ وَإِنِّي قَدْ عَلِمْتُ أَنَّ أَقْوَامًا يَطْعَنُونَ فِي هَذَا الأَمْرِ أَنَا ضَرَبْتُهُمْ بِيَدِي هَذِهِ عَلَى الإِسْلاَمِ فَإِنْ فَعَلُوا ذَلِكَ فَأُولَئِكَ أَعْدَاءُ اللَّهِ الْكَفَرَةُ الضُّلاَّلُ ثُمَّ إِنِّي لاَ أَدَعُ بَعْدِي شَيْئًا أَهَمَّ عِنْدِي مِنَ الْكَلاَلَةِ مَا رَاجَعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي شَىْءٍ مَا رَاجَعْتُهُ فِي الْكَلاَلَةِ وَمَا أَغْلَظَ لِي فِي شَىْءٍ مَا أَغْلَظَ لِي فِيهِ حَتَّى طَعَنَ بِإِصْبَعِهِ فِي صَدْرِي فَقَالَ " يَا عُمَرُ أَلاَ تَكْفِيكَ آيَةُ الصَّيْفِ الَّتِي فِي آخِرِ سُورَةِ النِّسَاءِ " . وَإِنِّي إِنْ أَعِشْ أَقْضِ فِيهَا بِقَضِيَّةٍ يَقْضِي بِهَا مَنْ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَمَنْ لاَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ ثُمَّ قَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أُشْهِدُكَ عَلَى أُمَرَاءِ الأَمْصَارِ وَإِنِّي إِنَّمَا بَعَثْتُهُمْ عَلَيْهِمْ لِيَعْدِلُوا عَلَيْهِمْ وَلِيُعَلِّمُوا النَّاسَ دِينَهُمْ وَسُنَّةَ نَبِيِّهِمْ صلى الله عليه وسلم وَيَقْسِمُوا فِيهِمْ فَيْئَهُمْ وَيَرْفَعُوا إِلَىَّ مَا أَشْكَلَ عَلَيْهِمْ مِنْ أَمْرِهِمْ ثُمَّ إِنَّكُمْ أَيُّهَا النَّاسُ تَأْكُلُونَ شَجَرَتَيْنِ لاَ أَرَاهُمَا إِلاَّ خَبِيثَتَيْنِ هَذَا الْبَصَلَ وَالثُّومَ لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا وَجَدَ رِيحَهُمَا مِنَ الرَّجُلِ فِي الْمَسْجِدِ أَمَرَ بِهِ فَأُخْرِجَ إِلَى الْبَقِيعِ فَمَنْ أَكَلَهُمَا فَلْيُمِتْهُمَا طَبْخًا .