আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

৫- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা

হাদীস নং: ১৩২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪২
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩৯. ইশার সময় ও তাতে দেরী করা
১৩২৭। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... ইবনে জুরায়জ (রাযিঃ) বলেন যে, আমি আতা-কে জিজ্ঞাসা করলাম, তোমার নিকট কোন সময়টি উত্তম যে, আমি একাকী বা জামাআতে ইশার নামায আদায় করব, যাকে লোকেরা আতামা বলে? আতা বলেন, আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি, নবী (ﷺ) এক রাতে এশার নামাযে উপস্থিত হতে দেরী করেন এমন কি লোক জন ঘুমিয়ে পড়ে আবার জেগে উঠে। আবার ঘুমিয়ে পড়ে আবার জেগে উঠে। তারপর উমর (রাযিঃ) উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, আস-নামায!

আতা বর্ণনা করেন যে, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বেরিয়ে এলেন, আমি এখনও যেন দেখতে পাচ্ছি যে, তার মাথা থেকে পানি পড়ছে, তখন তাঁর হাত তাঁর মাথার এক পাশে রাখা ছিল। আর তিনি বললেন- আমি যদি আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর মনে না করতাম, তাহলে তাদের এই সময় নামায আদায় করতে আদেশ দিতাম।

ইবনে জুরায়জ (রাহঃ) বলেন, আমি আতা’র কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে জিজ্ঞাসা করলাম যে, রাসূলুল্লাহ(ﷺ) কিভাবে তার মাথার উপর হাত রেখে ছিলেন এবং ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) তাঁর কাছে কিভাবে বর্ণনা করেছেন? তখন আতা তার আঙ্গুলগুলো কিছুটা ফাঁক এবং আঙ্গুলের অগ্রভাগগুলো মাথার উপরিভাগে রাখেন। তারপর এভাবে আঙ্গুলটেনে আনেন যে, তার বৃদ্ধাঙ্গুলি চেহারার দিকের কানের পার্শ্ব স্পর্শ করে। এরপর হাত নিয়ে আসেন চোখ-কানের মধ্যস্থল ও দাড়ির পার্শ্ব পর্যন্ত। তিনি এটা ধীরেও করেননি, দ্রুতও নয়, এভাবেই নিয়ে আসেন।

ইবনে জুরায়জ বলেন যে, আমি আতাকে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাতে ইশার নামায কতক্ষণ বিলম্ব করে আদায় করেছিলেন? তিনি বললেন, আমি জানি না, আতা বলেন, আমি এটাই পছন্দ করি যে, একাকীই হই বা ইমাম হিসাবে আদায় করি ইশার নামায ততক্ষণ পর্যন্ত দেরী করে আদায় করি, যেরূপ দেরী করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আদায় করেছিলেন। একাকী আদায় করার সময় দেরী করা যদি তোমার জন্য কষ্টকর হয় অথবা জামাআতে পড়া অবস্থায় যদি লোকদের জন্য কষ্ট কর হয়, তাহলে মধ্যম সময়ে এই নামায আদায় করবে। তাড়াতাড়িও করবে না অথবা বেশী দেরীও করবে না।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب وَقْتِ الْعِشَاءِ وَتَأْخِيرِهَا
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَطَاءٍ أَىُّ حِينٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ أَنْ أُصَلِّيَ الْعِشَاءَ الَّتِي يَقُولُهَا النَّاسُ الْعَتَمَةَ إِمَامًا وَخِلْوًا قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ أَعْتَمَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ لَيْلَةٍ الْعِشَاءَ - قَالَ - حَتَّى رَقَدَ نَاسٌ وَاسْتَيْقَظُوا وَرَقَدُوا وَاسْتَيْقَظُوا فَقَامَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقَالَ الصَّلاَةَ . فَقَالَ عَطَاءٌ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَخَرَجَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ الآنَ يَقْطُرُ رَأْسُهُ مَاءً وَاضِعًا يَدَهُ عَلَى شِقِّ رَأْسِهِ قَالَ " لَوْلاَ أَنْ يَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لأَمَرْتُهُمْ أَنْ يُصَلُّوهَا كَذَلِكَ " . قَالَ فَاسْتَثْبَتُّ عَطَاءً كَيْفَ وَضَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ عَلَى رَأْسِهِ كَمَا أَنْبَأَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ فَبَدَّدَ لِي عَطَاءٌ بَيْنَ أَصَابِعِهِ شَيْئًا مِنْ تَبْدِيدٍ ثُمَّ وَضَعَ أَطْرَافَ أَصَابِعِهِ عَلَى قَرْنِ الرَّأْسِ ثُمَّ صَبَّهَا يُمِرُّهَا كَذَلِكَ عَلَى الرَّأْسِ حَتَّى مَسَّتْ إِبْهَامُهُ طَرَفَ الأُذُنِ مِمَّا يَلِي الْوَجْهَ ثُمَّ عَلَى الصُّدْغِ وَنَاحِيَةِ اللِّحْيَةِ لاَ يُقَصِّرُ وَلاَ يَبْطِشُ بِشَىْءٍ إِلاَّ كَذَلِكَ . قُلْتُ لِعَطَاءٍ كَمْ ذُكِرَ لَكَ أَخَّرَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَتَئِذٍ قَالَ لاَ أَدْرِي . قَالَ عَطَاءٌ أَحَبُّ إِلَىَّ أَنْ أُصَلِّيَهَا إِمَامًا وَخِلْوًا مُؤَخَّرَةً كَمَا صَلاَّهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَتَئِذٍ فَإِنْ شَقَّ عَلَيْكَ ذَلِكَ خِلْوًا أَوْ عَلَى النَّاسِ فِي الْجَمَاعَةِ وَأَنْتَ إِمَامُهُمْ فَصَلِّهَا وَسَطًا لاَ مُعَجَّلَةً وَلاَ مُؤَخَّرَةً .
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
সহীহ মুসলিম - হাদীস নং ১৩২৭ | মুসলিম বাংলা