আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৬- মুসাফিরের নামায - কসর নামায
হাদীস নং: ১৫৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৮-১
- মুসাফিরের নামায - কসর নামায
১৫. ফরযের আগে ও পরে নিয়মিত সুন্নতের ফযীলত এবং তার সংখ্যার বিবরণ
১৫৬৭। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... আমর ইবনে আউস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনবাসা ইবনে আবু সুফিয়ান (রাহঃ) তাঁর সেই রোগের সময়— যেই রোগে তিনি মৃত্যুবরণ করেন, একটি হাদীস বর্ণনা করেন, যা বড়ই আনন্দদায়ক। তিনি বলেন, উম্মে হাবীবা (রাযিঃ) বলেছেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি দিবা-রাত্রে বারো রাক’আত (সুন্নত) নামায আদায় করবে তার প্রতিদানে তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরী করা হবে।
উম্মে হাবীবা (রাযিঃ) বলেন, যখন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এ কথা শুনেছি তখন থেকে এই নামাযগুলো কখনো ছাড়িনি। আনবাসা (রাহঃ) বলেন, আমি উম্মে হাবীবা (রাযিঃ) থেকে একথা শুনেছি, তখন থেকে আমিও তা ছাড়িনি। আমর ইবনে আউস (রাহঃ) বলেন, আমি যখন থেকে আনবাসার নিকট থেকে এ কথা শুনেছি, তখন থেকে এই নামাযগুলো ছাড়িনি। নূমান ইবনে সালিম (রাহঃ) বলেন, আমি যখন আমর ইবনে আউস (রাহঃ) থেকে এগুলোর কথা শুনেছি, তখন থেকে এগুলো আমিও ছাড়িনি।
উম্মে হাবীবা (রাযিঃ) বলেন, যখন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এ কথা শুনেছি তখন থেকে এই নামাযগুলো কখনো ছাড়িনি। আনবাসা (রাহঃ) বলেন, আমি উম্মে হাবীবা (রাযিঃ) থেকে একথা শুনেছি, তখন থেকে আমিও তা ছাড়িনি। আমর ইবনে আউস (রাহঃ) বলেন, আমি যখন থেকে আনবাসার নিকট থেকে এ কথা শুনেছি, তখন থেকে এই নামাযগুলো ছাড়িনি। নূমান ইবনে সালিম (রাহঃ) বলেন, আমি যখন আমর ইবনে আউস (রাহঃ) থেকে এগুলোর কথা শুনেছি, তখন থেকে এগুলো আমিও ছাড়িনি।
كتاب صلاة المسافرين وقصرها
باب فَضْلِ السُّنَنِ الرَّاتِبَةِ قَبْلَ الْفَرَائِضِ وَبَعْدَهُنَّ وَبَيَانِ عَدَدِهِنَّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ، - يَعْنِي سُلَيْمَانَ بْنَ حَيَّانَ - عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَوْسٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَنْبَسَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ بِحَدِيثٍ يُتَسَارُّ إِلَيْهِ قَالَ سَمِعْتُ أُمَّ حَبِيبَةَ تَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ صَلَّى اثْنَتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً فِي يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ بُنِيَ لَهُ بِهِنَّ بَيْتٌ فِي الْجَنَّةِ " . قَالَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ فَمَا تَرَكْتُهُنَّ مُنْذُ سَمِعْتُهُنَّ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . وَقَالَ عَنْبَسَةُ فَمَا تَرَكْتُهُنَّ مُنْذُ سَمِعْتُهُنَّ مِنْ أُمِّ حَبِيبَةَ . وَقَالَ عَمْرُو بْنُ أَوْسٍ مَا تَرَكْتُهُنَّ مُنْذُ سَمِعْتُهُنَّ مِنْ عَنْبَسَةَ . وَقَالَ النُّعْمَانُ بْنُ سَالِمٍ مَا تَرَكْتُهُنَّ مُنْذُ سَمِعْتُهُنَّ مِنْ عَمْرِو بْنِ أَوْسٍ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, দৈনন্দিন ছুন্নাতে মুআক্কাদা বা গুরুত্বপূর্ণ ছুন্নাত হলো ১২ রাকাত। যোহরের পূর্বের ৪ রাকাত ছুন্নাতের স্থলে রসূলুল্লাহ স. কখনো কখনো ২ রাকাতও পড়তেন। সে হিসেবে দৈনন্দিন ছুন্নাতে মুআক্কাদা ১০ রাকাত হয়। (বুখারী: ১১১০) এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ২/১২, ১৩)
বর্ণনাকারী: