আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

১৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায়

হাদীস নং: ২৯২৫
আন্তর্জাতিক নং: ১২৬৪-১
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
৩৫. উমরার তাওয়াফে এবং হজ্জের প্রথম তাওয়াফে রামাল (দ্রুত পদক্ষেপে অতিক্রম) করা মুস্তাহাব
২৯২৫। আবু কামিল ফুযায়ল ইবনে হুসাইন জাহদারী (রাহঃ) ......... আবুত-তুফায়ল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, বায়তুল্লাহ চারদিক তিনবার রমল করা এবং চারবার স্বাভাবিক গতিতে প্রদক্ষিণ করা সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? আপনার সম্প্রদায়ের লোকেরা তা সুন্নত মনে করে। তিনি বললেন, তারা সত্য বলেছে এবং অসত্যও বলেছে। রাবী বলেন, আমি পূনরায় জিজ্ঞাসা করলাম- “তারা সত্য বলেছে এবং অসত্য বলেছে” - আপনার এ কথার ব্যাখ্যা কি?

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মক্কায় আগমন করলে মুশরিকরা বলল, মুহাম্মাদ (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীরা শারীরিক দুর্বলতার কারণে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করতে সক্ষম হবে না। তারা তাঁর প্রতি হিংসা পোষণ করত। তাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তার সাহাবীগণকে তিনবার রমল করতে এবং চারবার স্বাভাবিক গতিতে তাওয়াফ করার নির্দেশ দেন।

আমি তাঁকে (পুনরায়) বললাম, আপনি আমাকে সাফা-মারওয়ার মাঝে সওয়ার অবস্থায় প্রদক্ষিণ সম্পর্কে অবহিত করুন, তা কি সুন্নত? কারণ আপনার সম্প্রদায়ের লোকেরা মনে করে তা সুন্নত। বললেন, তারা সত্য বলেছে এবং অসত্য বলেছে।

আমি তাকে বললাম, “তারা সত্য বলেছে এবং অসত্যও বলেছে” আপনার এ কথার ব্যাখ্যা কি? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মক্কায় এলেন। তাঁর আশেপাশে প্রচুর লোক সমাগম হলো। এমনকি যুবতী মেয়েরা পর্যন্ত (তাঁকে একটু দেখার জন্য) ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। লোকেরা বলাবলি করছিল, মুহাম্মাদ, ইনি মুহাম্মাদ। রাসুলুলাহ (ﷺ) এর সামনে লোকদের প্রহার করা হতো না। তাঁর আশেপাশে প্রচুর লোক সমাগম হওয়ার কারণে তিনি (উটে) আরোহণ করেন, অথচ স্বাভাবিক গতিতে পদব্রজে যাওয়া ও সাঈ করা উত্তম।
كتاب الحج
باب اسْتِحْبَابِ الرَّمَلِ فِي الطَّوَافِ وَالْعُمْرَةِ وَفِي الطَّوَافِ الأَوَّلِ فِي الْحَجِّ
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ الْجَحْدَرِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، قَالَ قُلْتُ لاِبْنِ عَبَّاسٍ أَرَأَيْتَ هَذَا الرَّمَلَ بِالْبَيْتِ ثَلاَثَةَ أَطْوَافٍ وَمَشْىَ أَرْبَعَةِ أَطْوَافٍ أَسُنَّةٌ هُوَ فَإِنَّ قَوْمَكَ يَزْعُمُونَ أَنَّهُ سُنَّةٌ . قَالَ فَقَالَ صَدَقُوا وَكَذَبُوا . قَالَ قُلْتُ مَا قَوْلُكَ صَدَقُوا وَكَذَبُوا قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدِمَ مَكَّةَ فَقَالَ الْمُشْرِكُونَ إِنَّ مُحَمَّدًا وَأَصْحَابَهُ لاَ يَسْتَطِيعُونَ أَنْ يَطُوفُوا بِالْبَيْتِ مِنَ الْهُزَالِ وَكَانُوا يَحْسُدُونَهُ . قَالَ فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَرْمُلُوا ثَلاَثًا وَيَمْشُوا أَرْبَعًا . قَالَ قُلْتُ لَهُ أَخْبِرْنِي عَنِ الطَّوَافِ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ رَاكِبًا أَسُنَّةٌ هُوَ فَإِنَّ قَوْمَكَ يَزْعُمُونَ أَنَّهُ سُنَّةٌ . قَالَ صَدَقُوا وَكَذَبُوا . قَالَ قُلْتُ وَمَا قَوْلُكَ صَدَقُوا وَكَذَبُوا قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَثُرَ عَلَيْهِ النَّاسُ يَقُولُونَ هَذَا مُحَمَّدٌ هَذَا مُحَمَّدٌ . حَتَّى خَرَجَ الْعَوَاتِقُ مِنَ الْبُيُوتِ . قَالَ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يُضْرَبُ النَّاسُ بَيْنَ يَدَيْهِ فَلَمَّا كَثُرَ عَلَيْهِ رَكِبَ وَالْمَشْىُ وَالسَّعْىُ أَفْضَلُ .