আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

১৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায়

হাদীস নং: ২৯৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ১২৭৭-১
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
৩৯. সাফা-মারওয়ার মাঝে দৌড়ানো (সাঈ) হজ্জের অন্যতম রুকন, এ ছাড়া হজ্জ শুদ্ধ হয় না
২৯৪৯। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... হিশাম ইবনে উরওয়া (রাহঃ) থেকে তার পিতা সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাযিঃ) কে বললাম, আমি মনে করি কোন ব্যক্তি সাফা-মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাঈ না করলে তার কোন ক্ষতি হবে না। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন কেন? আমি বললাম, কেননা আল্লাহ তা-আলা বলেছেনঃ সাফা-মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম... এ দুটোর তাওয়াফ করলে কোন ক্ষতি নেই (সূরা বাকারাঃ ১৫৮)। তখন আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, কোন ব্যক্তি সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ না করলে আল্লাহ তার হজ্জ ও উমরা পূর্ণ করেন না।

তুমি যা বলেছ যদি তাই হতো তবে আয়াতটি এভাবে হতোঃ “ঐ দুই পাহাড়ের মাঝে না দৌড়ালে কোন অসুবিধা নেই।” তুমি কি জান ব্যাপারটি কী? ব্যাপার তো ছিল এই যে, আনসারগণ জাহিলী যুগে দুটি প্রতিমার নামে* সমূদ্রের তীরে ইহরাম বাঁধত। একটির নাম ইসাফ, অপরটির নাম নায়েলা। তারা এসে সাফা-মারওয়া সাঈ করত। অতঃপর মাথা কামাতো। ইসলামের আবির্ভাবের পর তারা জাহিলী যুগে যা করত, সে কারণে সাফা-মাওয়ার মাঝে সাঈ করা খারাপ মনে করল। তাই আল্লাহ তাআলা নাযিল করলেনঃ ″সাফা-মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম,এ দুটোর তাওয়াফ করলে কোন ক্ষতি নেই″ অতঃপর লোকেরা সাঈ করে।


*বিশুদ্ধ রিওয়ায়াতে বর্ণিত রয়েছে, প্রতিমা দু'টি কখনও সমুদ্র তীরে অবস্থিত ছিল না; বরং এ দু'টি ছিল সাফা-মারওয়া পাহাড়ের উপরে।
كتاب الحج
باب بَيَانِ أَنَّ السَّعْىَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ رُكْنٌ لاَ يَصِحُّ الْحَجُّ إِلاَّ بِهِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَ قُلْتُ لَهَا إِنِّي لأَظُنُّ رَجُلاً لَوْ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ مَا ضَرَّهُ . قَالَتْ لِمَ قُلْتُ لأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ ( إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ . فَقَالَتْ مَا أَتَمَّ اللَّهُ حَجَّ امْرِئٍ وَلاَ عُمْرَتَهُ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَلَوْ كَانَ كَمَا تَقُولُ لَكَانَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا . وَهَلْ تَدْرِي فِيمَا كَانَ ذَاكَ إِنَّمَا كَانَ ذَاكَ أَنَّ الأَنْصَارَ كَانُوا يُهِلُّونَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ لِصَنَمَيْنِ عَلَى شَطِّ الْبَحْرِ يُقَالُ لَهُمَا إِسَافٌ وَنَائِلَةٌ . ثُمَّ يَجِيئُونَ فَيَطُوفُونَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ يَحْلِقُونَ . فَلَمَّا جَاءَ الإِسْلاَمُ كَرِهُوا أَنْ يَطُوفُوا بَيْنَهُمَا لِلَّذِي كَانُوا يَصْنَعُونَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ قَالَتْ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ) إِلَى آخِرِهَا - قَالَتْ - فَطَافُوا .
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
সহীহ মুসলিম - হাদীস নং ২৯৪৯ | মুসলিম বাংলা