ইশরাক, চাশত, আউয়াবীন ও তাহাজ্জুদের নামাজ কি নফল
প্রশ্নঃ ১১০৯৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, চাশত, ইশরাক এবং আওবীনের সালাত কী একই?? যদি ভিন্ন হয় তবে পার্থক্য কী??
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইশরাক, চাশত, আউয়াবীন ও তাহাজ্জুদ নামায নফল পর্যায়ের। রাসূলুল্লাহ (সা.) ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নাতের পর নফল আমলের প্রতি উম্মতকে উৎসাহিত করেছেন। নবী কারীম (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন--
"আমার বান্দা নফলের মাধ্যমে আমার নিকটবর্তী হতে থাকে। একপর্যায়ে সে আমার মাহবুব ও ভালোবাসার পাত্র হয়ে যায় ...।" (সহীহ বুখারী, ২ : ৯৬৩)
এরূপ নফল নামাযসমূহের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামায ফজীলতের দিক দিয়ে অন্যতম। সেই সাথে ইশরাক, চাশত ও আউয়াবীন ইত্যাদি সময়সংশ্লিষ্ট নফল নামাযেরও অনেক ফজীলতের বর্ণনা হাদীস শরীফে এসেছে।
এ ধরনের ফজীলতপূর্ণ নফল আমলের কারণে অন্যান্য নবীর উম্মতের তুলনায় এ উম্মতের বয়সসীমা কম হলেও এসব অতিরিক্ত আমলের দ্বারা ছাওয়াব বেশী হওয়ার মাধ্যমে অন্য সকল উম্মতের তুলনায় এ উম্মতের আমলের আধিক্য হবে বলে হাদীসে রয়েছে। তাই নিয়মিত ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নাত আমল আদায়ের পর যাদের সময়-সুযোগ হয়, তাদের এ নফল নামায এবং অন্যান্য নফল আমলে তৎপর হওয়া উত্তম নেক কাজ।
নিম্নে ইশরাক, চাশত, আউয়াবীন এবং তাহাজ্জুদ নামাযের সময় ও ফজীলত ক্রমানুসারে উল্লেখ করা হলো--
ইশরাকের সময় ও তার ফজীলত
------------------------------
ফজরের নামায পড়ার পর দুনিয়ার কাজকর্ম ও কথাবার্তা থেকে বিরত থেকে সূর্য ওঠা পর্যন্ত স্বীয় নামাযের জায়গায় বা (পুরুষগণ) মসজিদে অন্যকোন জায়গায় বসে কুরআন তিলাওয়াত, যিকির-আযকার তাসবীহ-তাহলীল ইত্যাদিতে লিপ্ত থাকবেন। অতঃপর সূর্যোদয়ের ১২/১৩ মিনিট পর সূর্য একটু উপরে উঠলে তখন ইশরাকের সময় হয়--ঐ সময় দুই রাক‘আত ইশরাকের নামায পড়লে এক হজ্ব ও এক উমরার সমান ছাওয়াব লাভ হবে বলে হাদীসে রয়েছে। ((জামে তিরমিযী ১ : ১৩০) এতব্যতীত আরো দুই রাক‘আতসহ মোট চার রাক‘আত পড়লে আল্লাহ তা‘আলা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার এদিনের সকল কাজের জিম্মাদার হয়ে যান বলে অপর হাদীসে উল্লেখ আছে। (জামি তিরমিযী, ১ : ১০৮)
অবশ্য যদি কেউ ফজরের নামাযের পর দুনিয়াবী কাজে লিপ্ত হয়ে যায় এবং সূর্য
ওঠার পর ইশরাক পড়ে, তাও জায়িয আছে। এতেও ইশরাক আদায় হবে।
চাশতের সময় ও তার ফজীলত
-----------------------------
সূর্য যখন আকাশে এক চতুর্থাংশ ওপরে উঠে এবং সূর্যের তাপ প্রখর হয়, তখন থেকে দ্বিপ্রহরের আগ পর্যন্ত (৯টা থেকে ১১টার মধ্যে) চাশতের সময়। তখন দুই, চার বা আট রাক‘আত নামায পড়বেন। একে চাশতের নামায বলে।
হাদীস শরীফে আছে--চাশতের দুই রাক‘আত নামাযে শরীরের সর্বমোট ৩৬০টি
জোড়ার সদকা আদায় হয়ে যায় এবং সমুদ্রের ফেনার সমান গুনাহ (সগীরা) হলেও মাফ হয়ে যায়। অপর হাদীসে আছে--তার জন্য জান্নাতে একটি বালাখানা তৈরী করা হয়। এছাড়াও হাদীসে চাশতের নামাযের আরো অনেক ফজীলত বর্ণিত হয়েছে।
আউয়াবীনের নামাযের সময় ও তার ফজীলত
-------------------------------------------
মাগরিবের ফরজ ও সুন্নাতের পর ইশার ওয়াক্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আউয়াবীনের নামাযের সময়। এ সময়ে নফলের নিয়তে কমপক্ষে ছয় রাক‘আত ঊর্ধ্বে বিশ রাক‘আত পর্যন্ত নামায পড়া যায়। এ নামাযকে আউয়াবীনের নামায বলে।
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি মাগরিবের সুন্নাতের পর ছয় রাক‘আত
নফল নামায পড়বে, সে বার বছর ইবাদতের সমান ছাওয়াব লাভ করবে। (জামে তিরমিযী, ১ : ৯৮)
তাহাজ্জুদ নামাযের সময় ও তার ফজীলত
-------------------------------------------
নফল নামাযসমুহের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তাহাজ্জুদ নামায। পাচওয়াক্ত নামায ফরজ হওয়ার পূর্বে এ নামায ফরজ ছিলো। পরবর্তীতে তা নফল গণ্য হয়। এ নামায সম্পর্কে নবী কারীম (সা.) ইরশাদ করেন, "ফরজ নামাযের পর শ্রেষ্ঠ নামায হল--রাতের নামায (তাহাজ্জুদ)।" (জামি তিরমিযী, ১ : ৯৯)
শেষ রাতে ত্রিপ্রহরের সময় (সাহরীর সময়) থেকে সুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত এ নামাযের সময়।
তবে দিনের কঠোর পরিশ্রমে যাদের শেষ রাতে ওঠা অনিশ্চিত হয়, তারা ইশার পর ঘুমানোর পূর্বে তাহাজ্জুদের নিয়তে ২/৪ রাকআত নামায পড়ে নিতে পারেন। এরপর সম্ভব হলে আবার শেষ রাতে ওঠে তাহাজ্জুদ পড়বেন। আর তখন না ওঠতে পারলে প্রথম রাত্রির সেই নামাযের কারণে তাহাজ্জুদের ফজীলত থেকে একেবারে মাহরূম হবেন না আশাকরি।
আরেকটি ফজীলতপূর্ণ নফল নামায হচ্ছে 'যাওয়ালের নামায'
--------------------------------------------------------
উল্লেখ্য, সময়সংশ্লিষ্ট উক্ত নফল নামাযসমূহ ছাড়াও 'যাওয়ালের নামায' নামে আরেকটি ফজীলতপুর্ণ নফল নামায রয়েছে। এ নামায দুপুরে সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে পড়ার সাথে সাথে আদায় করতে হয়। যেমন, নামাযের স্থায়ী সময়সূচি ক্যালেন্ডারে যোহরের যে শুরু ওয়াক্ত দেয়া হয়, সেটাই সূর্য ঢলার সময়। সেই সময় হওয়ার সাথে সাথে যাওয়ালের নামায হিসেবে চার রাক'আত নফল নামায পড়তে হয়।
এ সমযের নামাযের ফজীলত হলো-- এ সময় আল্লাহ তা'আলা আসমানের সব দরজা খুলে দেন এবং আছানীর সাথে সব ইবাদত-বন্দেগী ও দু’আ কবুল হয়। (জামি তিরমিযী, হাদীস নং ৪৭৮)
““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ১০৭১৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার নাম অপি।আমি ইশরাক,চাশত,যাওয়াল,আওয়াবিন নামায এর নিয়ম জানতে চাই,নিয়ম কি কি নামাযগুলোর??
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
[ ইশরাক ]
ফজরের নামায পড়ার পর সেই স্থানেই বসে, জিকির আজকার, দুআ দরূদ, ইস্তিগফার, কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি করতে থাকা। দুনিয়াবী কোন কথা না বলা। এভাবে যখন সূর্য উদিত হয়ে যায়। এর দশ বারো মিনিট পর যে দুই/চার রাকাত নামায পড়া হয় সেই নামাযকে ইশরাকের নামায বলা হয়। তবে ফজর নামায পড়ে দুনিয়াবী কাজে মগ্ন হয়ে গেলে সূর্য উদিত হবার পর যদি ইশরাক পড়া হয় তবুও শুদ্ধ হবে। তবে সওয়াব কিছুটা কম হবে।
عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ صَلَّى الغَدَاةَ فِي جَمَاعَةٍ ثُمَّ قَعَدَ يَذْكُرُ اللَّهَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ كَانَتْ لَهُ كَأَجْرِ حَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: تَامَّةٍ تَامَّةٍ تَامَّةٍ
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামাআতে আদায় করে, তারপর সূর্য উঠা পর্যন্ত বসে বসে আল্লাহ তা’আলার যিকর করে, তারপর দুই রাকাআত নামায আদায় করে- তার জন্য একটি হাজ্জ ও একটি উমরার সাওয়াব রয়েছে। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পূর্ণ, পূর্ণ, পূর্ণ (হাজ্জ ও উমরার সাওয়াব)। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৫৮৬]
হযরত হাসান বিন আলী রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি ফজরের নামায পড়ে, তারপর আল্লাহর জিকির করতে থাকে সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত। তারপর দুই রাকাত বা চার রাকাত নামায আদায় করে, তাহলে জাহান্নামের আগুণ তার চামড়া স্পর্শ করবে না। [শুয়াবুল ঈমান লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৩৬৭১]
[ চাশত ]
সকাল নয়টা দশটা সময় দুই রাকাত থেকে ১২ রাকাত পর্যন্ত যে নফল নামায পড়া হয় সেটাকে চাশতের নামায বা সালাতুজ জুহা বলা হয়।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: لَقِيتُ أَبَا ذَرٍّ فَقُلْتُ: يَا عَمِّ، أَقْبِسْنِي خَيْرًا، فَقَالَ: سَأَلْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا سَأَلْتَنِي، فَقَالَ: ” إِنْ صَلَّيْتَ الضُّحَى رَكْعَتَيْنِ لَمْ تُكْتَبْ مِنَ الْغَافِلِينَ، وَإِنْ صَلَّيْتَهَا أَرْبَعًا كُتَبْتَ مِنَ الْمُحْسِنِينَ، وَإِنْ صَلَّيْتَهَا سِتًّا كُتَبْتَ مِنَ الْقَانِتِينَ، وَإِنْ صَلَّيْتَهَا ثَمَانِيًا كُتَبْتَ مِنَ الْفَائِزِينَ، وَإِنْ صَلَّيْتَهَا عَشْرًا لَمْ يُكْتَبْ لَكَ ذَلِكَ الْيَوْمَ ذَنْبٌ، وَإِنْ صَلَّيْتَهَا ثِنْتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً بَنَى اللهُ لَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ “
হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমর রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আবু যর রাঃ এর সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়। তখন আমি তাকে বলি যে, হে চাচা! আমাকে কল্যাণী উপদেশ দান করুন। তিনি বললেন, তুমি যেমন আমাকে জিজ্ঞাসা করেছো, তেমনি আমিও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এমনটি জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তখন তিনি বলেছিলেন, যদি তুমি চাশতের নামায দুই রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে গাফেলদের মাঝে গণ্য করা হবে না। আর যদি চার রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে নেককারদের মাঝে গণ্য করা হবে। আর যদি তুমি ছয় রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে আনুগত্যকারীদের অন্তর্ভূক্ত করা হবে। আর যদি তুমি আট রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে সফলকাম ব্যক্তিদের তালিকায় লেখা হবে। আর যদি দশ রাকাত পড়, তাহলে সেদিন তোমার আমলনামায় কোন গোনাহ লেখা হবে না। আর যদি বার রাকাত পড়, তাহলে তোমার জন্য জান্নাতে তোমার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হবে। [সুনানুল কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৪৯০৬, মাযমাউয যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-৩৪১৮, ১৯, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৩৮৯০]
[ যাওয়াল ]
দুপুরে পশ্চিম আকাশে সূর্য ঢলার পর চার রাকআত নফল আদায় করা হয়; তাকে বলা হয় যাওয়ালের নামায বা সুর্য ঢলার নামায। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদা এই নফল আদায় করতেন। সূর্য ঢলার সময় আসমানের রহমতের দরজা খোলা হয় বিধায় তখন এই নফল পাঠের ফযীলত অধিক ।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সালামেই এই চার রাকআত নফল আদায় করতেন। (نماز مسنون)
[ আওয়াবীন ]
মাগরিবের ফরজ ও সুন্নাত পড়ার পর থেকে ইশার সময় হবার আগ পর্যন্ত যে নফল নামায পড়া হয়, সেটাকে আওয়াবীন নামায বলা হয়।
এ নামায হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। তবে রাকাত সংখ্যা নির্ধারিত নয়। ছয় রাকাতের ফযীলত হাদীসে আসছে। আবার এর চেয়ে কমবেশিও করা যাবে।
عَنْ حُذَيْفَةَ: «أَنَّهُ صَلَّى مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَغْرِبَ، ثُمَّ صَلَّى حَتَّى صَلَّى الْعِشَاءُ»
হযরত হুযাইফা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে মাগরিব নামায আদায় করলেন। ফরজ শেষে তিনি নফল পড়তে লাগলেন ইশা পর্যন্ত। [সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-১১৯৪]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ صَلَّى سِتَّ رَكَعَاتٍ بَعْدَ الْمَغْرِبِ لَا يَتَكَلَّمُ بَيْنَهُنَّ بِشَيْءٍ إِلَّا بِذِكْرِ اللَّهِ عُدِلْنَ لَهُ بِعِبَادَةِ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً»
আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ছয় রাকাত নামায মাগরিবের পর পড়বে, যার মাঝে আল্লাহর জিকির ছাড়া কোন কথা বলে না, তাহলে সে বার বছর ইবাদতের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। [সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-১১৯৫]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ صَلَّى بَعْدَ الْمَغْرِبِ سِتَّ رَكَعَاتٍ لَمْ يَتَكَلَّمْ فِيمَا بَيْنَهُنَّ بِسُوءٍ عُدِلْنَ لَهُ بِعِبَادَةِ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً.
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি মাগরিবের পর ছয় রাকাত নামায পড়ে, যার মাঝে কোন মন্দ কথা বলে না, তাহলে সে বার বছরের ইবাদতের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৪৩৫, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৩৭৪]
মোদ্দাকথাঃ ইশরাক, চাশত, যাওয়াল আওয়াবীনের নামায নফল। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নফলের নিয়ত করে পড়বেন। এই নামাযগুলো দু'রাকাআত দু'রাকাআত করে যেকোন সূরা দিয়ে পড়া যাবে।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী, ফাতাওয়া বিভাগ, মুসলিম বাংলা
গবেষক, হাদীস বিভাগ, মুসলিম বাংলা
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন