পুরুষের হাতে পায়ের লোম দূর করার বিধান
প্রশ্নঃ ১১৮৭৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ছেলেদের পুরো শরীরের লোম তোলা জায়েয কি???
যদি তার নিজের পছন্দ না হয়, সে কি তুলে ফেলতে পারবে??
দয়া করে জানাবেন ইং শা আল্লাহ।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইসলামের দৃষ্টিতে ছেলেদের হাত পায়ের লোম কাটা বা তুলে ফেলা জায়েয নয়। মানুষের শরীরের ঐ সমস্ত লোম বা চুল যেগুলো ফেলে দিতে হবে নাকি যেমন আছে তেমনি রেখে দিতে হবে সে ব্যাপারে শারিয়াহ কোনো মন্তব্য করেনি। যেমনঃ হাত-পা, শরীর, গাল, ভ্রু বা কপালের লোম। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। কেউ বলেছেন যে, এগুলো ফেলে দেয়ার অনুমতি নেই। কারণ এগুলো ফেলে দেয়ার অর্থ হলো আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করা।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ১০৫৩৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হজরত বিবি যদি চাই বুকের লোম কামিয়ে নিতে তাহলে কি কামানো যাবে?উল্লেখ্য স্বামীর সেটাতে ইচ্ছে নেই
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইসলাম ধর্মে মানুষের শরীরের লোম নিয়ে তিন ধরনের বিধান রয়েছে।
এক. লোম ফেলে দেয়া সুন্নাত। যেমন : গোফ ছোট করা, বগল ও নাভীর নিচের লোম ফেলে দেয়া ইত্যাদি সুন্নত।
দুই. লোম ফেলে দেয়া হারাম। যেমন : দাড়ি, ভ্রু ইত্যাদি।
তিন. লোম ফেলে দেয়া জায়েজ। যেমন : দাড়ি ও ভ্রু বাদে অন্য অংশের লোম।
হাদিসে লোম ফেলা না ফেলার ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা নেই। তাই একদল উলামা মনে করেন যেহেতু নিষেধ নেই সেহেতু এটা করা যাবে। পাশাপাশি আরেকদল উলামা মনে করেন, শরীয়তে যে লোম ফেলতে বলা হয়েছে এ ব্যতীত অন্য লোম ফেলা হারাম। কেননা এটা আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টির বিকৃতি করার ন্যায় গুনাহ। পুরুষের শরীরে লোম থাকা পুরুষত্বের আলামত। আর নারীদের শরীরে লোম না থাকা নারীত্বের আলামত। অতএব পুরুষদের উচিত নারীদের মত না হওয়া। শুকরিয়া
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন